শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ , ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার
  >
পাঠক বিভাগ

ফিরে আসুক বই পড়ার সংস্কৃতি

শুভ বর্মণ পার্থ ২৪ জুলাই , ২০১৭, ১৩:০৬:২৯

6K
  • ফিরে আসুক বই পড়ার সংস্কৃতি

একবিংশ শতাব্দীতে এসে আমরা কি বই পড়ার সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছি! আজকাল বইয়ের যথেষ্ট প্রচার সত্ত্বেও পাঠকের সংখ্যা কমছে। কয়েক বছর আগে বই পড়া বাঙালি সংস্কৃতির অংশ ছিল। অনেক আড্ডার প্রধান বিষয় ছিল গল্প বা উপন্যাসের চরিত্র, পটভূমি বিশ্লেষণ। কিন্তু আমরা সেই সংস্কৃতি হারাতে বসেছি প্রযুক্তির আতিশয্যে। ফরাসি কবি ও ঔপন্যাসিক আনতোল ফ্রঁস একবার দুঃখ করে বলেছিলেন, আমার মাথার চারদিকে যদি অসংখ্য চোখ থাকত, তাহলে এই সুন্দরী ধরণির সম্পূর্ণ সৌন্দর্য একসঙ্গে দেখতে পারতাম। নিজেকে তিনি সান্ত্বনাও দিয়েছেন এই বলে, যদিও আমার এত চোখ নেই, তবু আমার মনের চোখ মাত্র একটি বা দুটি নয়। মনের চোখ বাড়ানো বা কমানো সম্পূর্ণ আমার হাতে। জ্ঞান-বিজ্ঞান যতই আমি আয়ত্ত করতে থাকি ততই মনের চোখ ফুটতে থাকে। আর এ জ্ঞান আয়ত্ত করার প্রধান উপকরণ বই।

আমার স্যার বইকে বসিয়েছেন মাতৃস্থানে। কী গভীর দর্শন। তিনি বলেছেন, জন্মের পর মা যেমন শিশুকে সেবা দিয়ে একটু একটু করে গড়ে তোলেন, তেমনি বর্ণমালা থেকে শুরু করে ছড়া-কবিতা-গল্প-উপন্যাস-মহাকাব্য পাঠ করেই আমরা জ্ঞানের ভাণ্ডার পূর্ণ করায় ব্রতী হই।

বই মানুষের চরিত্র গঠনের পাশাপাশি বিবেককে জাগ্রত করে এবং মানুষকে মানবিক করে তোলে। দেশ ও বিশ্ব সম্পর্কে নানা রকম তথ্য-উপাত্ত জোগায়। অন্য দেশের সংস্কৃতি, জীবনাচার, রাজনীতি ও অর্থনীতি সম্পর্কে বিস্তর ধারণা দেয়। তাই আমরা যেন কখনো বই পড়ার বিকল্প না খুঁজি। আমাদের মধ্যে আবার ফিরে আসুক বই পড়ার সংস্কৃতি।

শুভ বর্মণ পার্থ

সিলেট।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন