নিউজজি ডেস্ক ২৯ এপ্রিল , ২০২০, ০১:০৫:২০
লকডাউনের সুযোগে জঙ্গিরা নতুন কৌশলে শক্তি বাড়াচ্ছে
ঢাকা : করোনা আতঙ্কে ভুগছে পুরো বিশ্ব। দেশে দেশে চলছে লকডাউন। এ সময়ে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ঘৃণা ছড়িয়ে দিতে এবং অনলাইনে বেশি বেশি সময় ব্যয় করা যুবকদের দলে টানতে তীব্র প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন খোদ জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
করোনা লকডাউনের সুযোগ নিচ্ছে জঙ্গিরা এমন দাবি করে সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, লকডাউনের কারণে অনলাইনে বেশি বেশি সময় কাটাচ্ছে যুবকরা। আর এই সুযোগ নিয়ে নিজেদের দল ভারি করতে উঠেপড়ে লেগেছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো। যুবকদের হতাশাকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো তাদের দলে টানতে চাচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারির আগে তিনি বলেছিলেন, প্রতি পাঁচজন তরুণ-তরুণীর মধ্যে একজনই শিক্ষা, প্রশিক্ষণ বা চাকরি পাচ্ছেন না এবং প্রতি চারজনের একজন হিংস্রতা বা দ্বন্দ্ব দ্বারা আক্রান্ত। এমন পরিস্থিতিতে হতাশ যুবকদের সহজেই নিজেদের ফাঁদে ফেলতে পারে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলো।
গুতেরেস জাতিসংঘ সুরক্ষা কাউন্সিলের 'যুব, শান্তি ও সুরক্ষা' বিষয়ক বৈঠকে বলেছিলেন যে, এই হতাশাগ্রস্থ যুবসমাজ সত্যিকার অর্থে তৈরি হয়েছে ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের ব্যর্থতায়। ফলে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা হ্রাস পাচ্ছে। যখন যুব সমাজের মাঝে এমন হতাশা দেখা দেয় তখন চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর জন্য তাদের ক্রোধ এবং হতাশাকে কাজে লাগানো খুব সহজ এবং উগ্রপন্থীকরণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
জাতিসংঘ মহাসচিব পড়াশুনা স্থগিত করা, চাকরি হারানো, পারিবারিক মানসিক চাপ, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা এবং অন্যান্য সমস্যায় জর্জরিত যুব সমাজকে কাজে লাগানোর উপর জোর দিয়েছেন।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কভিড-১৯ এর ফলস্বরূপ অতিরিক্ত ৪ কোটি ২০ লাখ থেকে ৬ কোটি ৬০ লাখ শিশু 'চরম দারিদ্র্যের' মধ্যে পড়তে পারে এবং বিশ্বের ৯১ শতাংশ শিক্ষার্থীর স্কুল জীবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ১৯১টি দেশের ১৫০ কোটিরও বেশ শিক্ষার্থী পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েছে। এর ফলে শিক্ষা ব্যবস্থাগুলো ভেঙে পড়বে, শিশুদের উন্নত ভবিষ্যতের সম্ভাবনার মারাত্মক ক্ষতি হবে এবং সম্ভাব্যভাবে তরুণদের মধ্যে র্যাডিকালাইজেশনের বীজ ছড়িয়ে পড়বে। যা শান্তি ও সুরক্ষার জন্য হুমকির সৃষ্টি করবে। সূত্র- ইন্ডিয়া টুডে।