নিউজজি ডেস্ক ২৯ এপ্রিল , ২০২০, ১৪:২৭:৩৮
করোনা ভাইরাস কি দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হতে পারে?
ঢাকা : খুব অল্প সময়ের মধ্যে একাধিকবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কার্যত হয়েছে এমন খবর পাওয়া গেছে। কেউ কেউ বলেছেন মানুষ সত্যি সত্যিই দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছে। অনেক গবেষক মনে করেন ভাইরাস অনেক সময় শরীরের ভেতর ঢুকে আক্রমণ না করে, ঘাপটি মেরে থাকে, তারপর হঠাৎ একদিন তার উপস্থিতি জানান দেয়।
একটি ব্যাপারে সব বিজ্ঞানী একমত যে আসল বিষয়টা হল কোন রোগী ভাইরাস মুক্ত হয়ে গেছেন একথা বলে তাকে বিভ্রান্ত না করে তাকে পরীক্ষা করা।
মানব দেহে ভাইরাস প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য কোন মানুষকে দুবার সংক্রমিত করা হয়নি। কিন্তু বিশেষ ধরনের এক জোড়া বানরের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
পরীক্ষা চালানোর জন্য এই বানরদের দুবার সংক্রমিত করা হয়েছে। একবার করা হয়েছে যাতে তারা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে এবং তিন সপ্তাহ পর দ্বিতীয়বার করা হয়েছে। খুবই সীমিত পরিসরের এই পরীক্ষায় দেখা গেছে খুবই অল্পদিনের মধ্যে তাদের ভেতর দ্বিতীয়বার কোন উপসর্গ দেখা যায়নি।
সমস্যাটা হচ্ছে যারা সংক্রমণের শিকার হয়েছে, পরীক্ষায় তাদের প্রায় প্রত্যেকের শরীরে কিছু না কিছু পরিমাণ অ্যান্টিবডি পাওয়া যাবে। কিন্তু সকলের ক্ষেত্রে সেটা প্রয়োজনীয় মাত্রার নাও হতে পারে।
বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিবডিই শুধু করোনাভাইরাস জীবাণুর গায়ে সেঁটে বসতে পারে এবং ভাল কোষগুলোকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। চীনে সেরে ওঠা ১৭৫ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, এদের শতকরা ৩০ ভাগের মধ্যে এই বিশেষ অ্যান্টিবডির মাত্রা খুবই কম। সে কারণেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ‘সেরে ওঠার জন্য শরীরের এই বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারার ক্ষমতাটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
আরেকটি বিষয় হল, সঠিক অ্যান্টিবডি হয়ত আপনার মধ্যে ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি করবে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনার শরীর থেকে এই জীবাণু উধাও হয়ে যাবে। ফলে এই জীবাণু আপনার শরীরে বাসা বেঁধে থাকলে আপনি কিন্তু অন্যকে সংক্রমিত করতে পারবেন।
এছাড়াও, সংক্রমণ বা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে, তার স্থায়িত্ব কতকাল, সেটা থেকেও বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবেন এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো আদৌ কতটা সম্ভব। এধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তরই এখন হন্যে হয়ে খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা।