শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ , ১৯ রমজান ১৪৪৫

দেশ

ঈদ শেষে এবার মানুষের স্রোত ঢাকামুখী

নিউজজি প্রতিবেদক ২২ জুলাই, ২০২১, ১০:১০:৫৫

424
  • ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর বিধি-নিষেধে শিথিলতা শেষ হচ্ছে।

এদিকে, 'বিধি-নিষেধে শিথিলতা আর বাড়ানো হচ্ছে না এবং আগামীকাল শুক্রবার (২৩ জুলাই) আবারো শুরু হচ্ছে ১৪ দিনের ফের কঠোর বিধি-নিষেধ'- গতকাল বুধবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেনের এমন ঘোষণার পর ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে কর্মজীবীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে স্রোত নেমেছে রাজধানীর  কর্মজীবী  মানুষের। তাদের ভাষ্য, আগামীকাল ফের ১৪ দিনের ফের কঠোর বিধি-নিষেধ শুরু হলে তাঁরা আর কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন না। এজন্য তাঁদেরকে  গণপরিবহনে ভাড়াও গুনতে হচ্ছে বেশি। ফলে নৌঘাটগুলোতে এখন উপচে পড়া ভিড়। নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাইও।

বাংলাবাজার-শিমুলিয়ায় দেখা যায়, ভোর থেকেই নৌপথে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভিড় আরো বাড়ছে। এদিকে, সকাল থেকেই প্রখর রোদে যাত্রীরা হেঁটে ঘাটে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ঘাট এলাকায় পুলিশ, নৌপুলিশ ও বিআইডাব্লিউটিসিকে হিমশিম খেতে দেখা যায়। কোথাও দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষণ।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা হলে অনেকে বলেন, প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আবার ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে। অনেক দিন পর গিয়ে দুই দিনেই ফিরে আসা কষ্টদায়ক। বাড়িতে যেতে না যেতেই ফেরার সময় হয়ে যায়। তাই ঈদের আনন্দ থাকলেও কিছুটা খারাপও লাগছে।

বিআইডাব্লিউটিসি সূত্র জানায়, ঢাকামুখী মানুষের চাপ সামলাতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৩৩টি লঞ্চ ও ১৯ ফেরি চালু রাখা হয়েছে।

ঘাট ব্যবস্থাপক মো. সালাম মিয়া জানান, ঈদে শেষ কর্মস্থল ফেরা মানুষের যত চাপই হোক বিআইডাব্লিউটিসি প্রস্তত রয়েছে। সবগুলো ফেরি সার্ভিসে নিয়োজিত। ঈদে সেবা দেয়ার জন্য কাউকে ছুটি দেয়া হয়নি। আমরা সর্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছি।

সারা দেশে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এ বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরো ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে বিধিনিষেধেও বিশেষ ব্যবস্থায় রপ্তানিমুখী পোশাক ও শিল্প কারখানা খোলা ছিল। এরপর ঈদুল আজহার কারণে ১৫ জুলাই থেকে লকডাউন শিথিল করা হয়।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঈদের ছুটি শেষে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত আবারো কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই সময় সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

নিউজজি/এস দত্ত

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন