শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ , ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দেশ

‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির নয়, বিশ্বের নিপীড়িত মানুষেরও নেতা ছিলেন’

নিউজজি প্রতিবেদক ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ২০:৪৭:২৫

342
  • ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির নয়, বিশ্বের নিপীড়িত মানুষেরও নেতা ছিলেন’

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির নেতা ছিলেন না, তিনি বিশ্বের সকল নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষেরও নেতা ছিলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সিনিয়র সদস্য তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাব সাধারণ বিধি ১৪৭ এর আওতায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আলোচনার এক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি তার প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন।

এর আগে, আজ বুধবার সংসদে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেন।

সুবর্ণ জয়ন্তীর আলোচনায় তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার আগে কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী হত্যা করতে পারেনি। বাংলাদেশের কিছু কুলাঙ্গার মীরজাফর এ মহান নেতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। তাকে হত্যা করে স্বাধীনতার আদর্শকে এবং দেশের উন্নয়নকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়। আজ জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ আবার মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারায় ফিরে এসেছে। খুনিদের বিচার হয়েছে। রায় কার্যকর হয়েছে। এমনকি ৭১ এর মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হয়েছে। এখনও চলছে।

তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে এসে  শেখ হাসিনা দলের পতাকা হাতে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছেন। সে থেকে তিনি নিষ্ঠার সাথে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন শুধু মধ্যম আয়ের দেশ নয়, উন্নয়নশীল দেশের পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ আজ অনেক উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের এ অর্জন আজ স্বীকৃতিও পেয়েছে। 

তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর আজীবন স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ। ঘাতকরা তা হতে দেয়নি। আজ তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা পিতার সে স্বপ্নের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশ আজ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সিনিয়র সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তাকে ছাড়া বাংলার স্বাধীনতা আসতো না। এ মহান নেতার জন্ম না হলে বাঙালি আজও পশ্চিমাদের গোলাম হয়ে থাকতে হতো। তিনিই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে  রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। 

শেখ সেলিম বলেন, ১৯৭৫ সালে কিছু কুলাঙ্গার এ অবিসংবাদিত নেতাকে সপরিবারে হত্যা করে  বাংলাদেশ তথা বাঙালি জাতিকে বিশ্বের কাছে কলঙ্কিত করেছে। অথচ, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো। ঘাতকরা তা হতে দেয়নি। তিনি আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা, ছাত্রজীবন, আন্দোলন সংগ্রামের জীবন তুলে ধরেন। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতিকে শুধু স্বাধীনতা উপহার দিয়ে ক্ষ্যান্ত থাকেননি, এ মহান রাষ্ট্রনায়ক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ধাপে ধাপে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত করার কাজ শুরু করেছিলেন। দেশকে এগিয়ে নিয়েও যাচ্ছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তা হতে দেয়নি। তবে বঙ্গবন্ধু বাঙালির হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তার আদর্শের ভিত্তিতে আজ দেশ পরিচালিত হচ্ছে। আর দেশ এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হতে চলেছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ এ প্রস্তাবের জন্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণে বস্তুনিষ্ঠভাবে বাংলাদেশের গত ৫০ বছরের অর্জন-ব্যর্থতা, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, সংসদে সাধারণ আলোচনার প্রস্তাবটি দেশের প্রত্যেকের জন্য গর্বের ও সম্মানের।

আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন- সরকারি দলের মাহবুব-উল-আলম হানিফ, বেনজির আহমেদ, মীর মোশতাক আহমেদ রবি, র আ ম ওবায়দুল মোকাতাদির চৌধুরী, সিমিন হোসেন (রিমি), তাহজিব আলম সিদ্দিকী, সাইমুম সরোয়ার কমল, মো. ইকবাল হোসেন, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর আহমেদ।

নিউজজি/ওএফবি

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন