শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ , ৫ জুমাদাউস সানি ১৪৪৬

দেশ

গজারিয়ায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি ১৮ জুন, ২০২৪, ১৬:৩৩:১৪

213
  • ছবি : সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জ: গজারিয়ায় ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় হালিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হালিমা আক্তার উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের উত্তর ফুলদী গ্রামের রাকিব হোসেন প্রধানের স্ত্রী। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বললেও নিহতের স্বজনদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হালিমাকে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে উত্তর ফুলদী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম প্রধানের ছেলে রাকিব হোসেন প্রধানের সাথে পার্শ্ববর্তী পানির চর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে হালিমা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৯ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।

সম্প্রতি শাশুড়ি ডালিয়া বেগমকে ধার হিসেবে দেয়া ২৫ হাজার টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে রাকিবর সাথে তার স্ত্রীর কলহ শুরু হয়। সোমবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।

নিহত গৃহবধূর মা ডালিয়া বেগম বলেন, রাকিব আমার কাছ থেকে আগে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। পরে রাকিবের কাছ থেকে আমি ২৫ হাজার টাকা নেই। হিসেব করলে রাকিবের কাছে আরো টাকা পাব। পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে রাকিব-ডালিয়ার প্রায়ই ঝগড়া হতো।

তিনি আরো বলেন, সকালে রাকিবের বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয় আমার মেয়ে স্ট্রোক করেছে। দ্রুত মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখি, সে ফাঁস নিয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, বিষয়টি কৌশলে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

নিহতের স্বামী রাকিব হোসেন প্রধান বলেন, সব সংসারেই টুকটাক ঝগড়া হয়। কিন্তু এ ঘটনায় সে তার জীবন শেষ করে দেবে ভাবতে পারিনি। ঘটনার সময় আমি কাঁচপুরে ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়িতে আসি। বিষয়টি যারা হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছে, তারা মিথ্যাচার করছে।

গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি হত্যা না কি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

নিউজজি/এসএম

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন