রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ , ২৬ রজব ১৪৪৬

দেশ

হারিয়ে যাচ্ছে বাউফলের ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্য

বাউফল প্রতিনিধি ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৮:০৯:০৪

69
  • হারিয়ে যাচ্ছে বাউফলের ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্য

বাউফল: অপরিকল্পিত আবাসস্থল, আন্তরিকতা, প্রয়োজনীয় পরিচর্যা, রোপনের সঠিক তত্ত্বাবধানের অভাবে কালের বিবর্তনে ও আধুনিকতার ছোয়া পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্য সামগ্রী। অধিকাংশ কারুশিল্পীরা মৃত্যুবরণ করেছেন এবং তাদের উত্তরসূরীরা বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে যাচ্ছে যার ফলে এলাকা থেকে বাঁশ ও বেত নির্ভরশিল্প হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। একসময় গ্রামের হাঁট-বাজারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের বাঁশের তৈরি শিল্প যেমন কুলা, ডালা, হাঝি বেতের জলডাঙ্গা, মাছ ধরার ফাঁদ, মাছ রাখার খাড়ই, ধান ও অন্যান্য ফসল সংরক্ষণের পাত্রসহ বিভিন্ন রকম কারুশিল্প।

এছাড়াও বাঁশের খুঁটি, বেড়া ঘরের দরজা, জানালা ঘরের চালা ইত্যাদির উপকরণ তৈরি হত বাঁশ থেকে। গ্রামের খড়ের ঘরগুলো এক সময় বাঁশ দিয়েই নির্মাণ করা হত। বেত দিয়ে তৈরি হয় ঢালা, হাঝি এছাড়াও ছোট ছেলে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে এগুলোতে বাঁশের তৈরি মতো এখন আর চোখে পড়ছে না উপজেলার কালাইয়া, বগা, বিলবিলাস, কালীশুরী, কাছিপাড়া, হাজিরহাট, চন্দ্রদ্বীপ, নওমালা এ সমস্ত বাজারগুলোতে এখন আর আগের মতো বাঁশের তৈরি সামগ্রী তেমন চোখে পড়ে না সরেজমিনে এমনটাই চিত্র ফুটে ওঠে। মৌসুম এলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের  অলিপুরা, পশ্চিম বিলবিলাসাসের কিছু কারিগর বাঁশের তৈরি পণ্যসামগ্রী তৈরি করেন। মৌসুম শেষ হলে অনেক পরিবারকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়।

সদর ইউনিয়নের বলরাম সিকদার জানান, ইরি ও আমনধান উঠলে আমরা কিছু বাঁশ কিনি চড়া দামে পর অনেক কষ্ট করে কিছু ঢালা-হাঝি, চালন, কুলা, পালই, খাঁচা বানাই গাড়ই ভাড়া ও খাজনা দেয়ার পর তেমন লাভ হয় না। পানের বরজে ও নির্মাণ শিল্পে বাঁশের ব্যাপক ব্যবহার হওয়ার কারণে বাঁশের দাম বেশি। আমরা সরকারিভাবে কোনও সহায়তা পাইলে ভালো হইত।

নিউজজি/নাসি

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন