সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ , ১৭ রমজান ১৪৪৬

দেশ

বিদ্যালয়ের মাঠ কেটে রাস্তা নির্মাণের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৪:৩২:৫৩

145
  • বিদ্যালয়ের মাঠ কেটে রাস্তা নির্মাণের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে টেকানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আসলাম এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে। গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগন।

মানববন্ধন শেষে  বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সদস্য মো. মারুফ মোরশেদ আরমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

মানববন্ধন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গ্রামের রাস্তার কাজে ব্যবহারের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আসলাম এন্টারপ্রাইজ টেকানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে নিয়ে যায়। এছাড়া রাস্তা নির্মাণের জন্য আনা ব্লক ফেলে রেখে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের মাঠও দখল করে রেখেছে তারা। ফলে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠে দৈনিক সমাবেশ, খেলাধুলা ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান করতে পারছে না। এসকল বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করেও তার কোন সুরাহা পায়নি।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সদস্য মো. মারুফ মোরশেদ আরমান বলেন, রাস্তার কাজ হবে ভাল কথা, তার জন্য স্কুলের মাঠ থেকে কেন মাটি কেটে নেয়া হবে? রাস্তার কাজের জন্য ব্লক কেন স্কুলের মাঠে রাখা হবে? সরকার তো স্কুলের মাঠ থেকে মাটি নিতে বলেনি, মাটি কেনার জন্য ঠিকাদারকে সরকার আলাদা বরাদ্দ দিয়েছে। মাটি কেটে নেয়া এবং ব্লক ফেলে রাখার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে শিক্ষার কোনো পরিবেশ পাচ্ছে না। আমরা এর প্রতিকার চাই।

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মন্টু চৌধুরী বলেন, যারা এসকল কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। বিদ্যালয়ের স্বার্থে আমরা গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ আছি।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়হাম রাব্বি বলেন, স্কুলের মাঠে ব্লক ফেলে রাখা ও মাটি কেটে নেয়ায় আমরা মাঠে খেলতে পারি না। স্কুলে আসা-যাওয়া করতে অসুবিধে হয়। বর্ষাকালে পানির উপর দিয়ে স্কুলে যেতে হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আসলাম এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মাজহারুল হুদা বলেন, ঐ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আমাদের কাছে একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। এতদিন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ভয়ে আমরা কিছু করতে পারিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাছরিন বলেন, বিদ্যালয়ের মাটি কেটে নেয়ার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজজি/নাসি

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন