মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ , ১ জিলকদ ১৪৪৬

দেশ

র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা নিতে আসা অবসরপ্রাপ্ত আনসার গ্রেফতার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ১৭ মার্চ, ২০২৫, ১৭:৩১:১৫

112
  • র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা নিতে আসা অবসরপ্রাপ্ত আনসার গ্রেফতার

টাঙ্গাইল: র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা নিতে আসা অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য হানিফ খান (৪৪) ওরফে সোহেল রানা নামে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় মামলা হয়েছে।

মামলাটি মো. আমিনুর সিকদার নামের এক ব্যক্তি মির্জাপুর থানায় দুই জনের নাম উল্লেখসহ ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে এই মামলাটি করেন।

মামলার অন্য আসামি- মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের টাকিয়া কদমা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন।

এর আগে গত রোববার (১৬ মার্চ) রাতে উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের চকবাজার এলাকা থেকে অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য হানিফ খানকে মির্জাপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন। হানিফ খান টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার হাবলা উত্তর পাড়া গ্রামের বক্তার খানের ছেলে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য হানিফ খান রোববার বিকেলে একটি গুম ও হত্যা মামলার তদন্তের নাম করে মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর চকবাজার এলাকায় যান। পরে এক পর্যায়ে তিনি কৌশলে মামলার আসামির কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

এ সময় তিনি ২ লক্ষ টাকায় হত্যা মামলা নিষ্পত্তি করার প্রতিশ্রুতি দেন। তার কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ জনক হওয়ায় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করেন।

পরে খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজনের উপস্থিতি বেড়ে যায়। সে ইতোপূর্বে নিজেকে র‌্যাব সদস্য, পিবিআই, সেনা সদস্য পরিচয় দিয়ে ওই এলাকায় চাঁদাবাজি করেছে।

পুলিশের চাকরি দেয়া, মামলার তদন্ত রিপোর্ট পক্ষে-বিপক্ষে দেওয়া, পাওনা টাকা তুলে দেয়াসহ বিভিন্ন কাজের কথা বলে মানুষের কাছ থেকে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে এলাকার লোকজন পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ আনোয়ার বলেন, কয়েক দিন পূর্বে প্রতারক অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য হানিফ খান র‌্যাব পরিচয় দিয়ে মোবাইলে স্থানীয় কয়েক জনের কাছে টাকা দাবি করেন।

রোববার টাকা দেয়ার কথা বলে কৌশলে তাকে এলাকায় আনা হয়। পরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার অন্য আসামি বিল্লাল হোসেন জানান, ৫/৬ বছর আগে পরকীয়া করে টাকিয়া কদমা উত্তর পাড়া গ্রামের ইউনস আলীর স্ত্রী রওশন আরা বেগম গর্ভবতী হন। তারপর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। রওশন আরা আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে খুন করা হয়েছে এ বিষয়টি তখন আলোচনায় ছিল।

এ ছাড়া উত্তরকদমা তেতুলা বিলে দুলালের স্ত্রীর বস্তাবন্দি কঙ্কাল পাওয়া যায়। ঘটনা দুটি অমীমাংসিত থাকায় হানিফ খান র‌্যাব সদস্য পরিচয় দেয়ায় তাকে ঘটনা দুটি তদন্তের জন্য ইনফরমেশন দিয়েছেন বলে তিনি জানান।

এ প্রসঙ্গে, মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, জনতার হাতে আটক র‌্যাবের সদস্য পরিচয় দেয়া হানিফ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

নিউজজি/নাসি

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন