বরিশাল অফিস ২০ জানুয়ারি, ২০২১, ২০:২২:২৭
ছবি : নিউজজি
বরিশাল: ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শহিদ আসাদ দিবস পালিত হয়েছে। শহিদ আসাদের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে শহিদ আসাদ পরিষদ। বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে ‘আসাদের চেতনা চির বহমান রক্ত থেকে রক্তে’ এমন শ্লোগান নিয়ে আসাদ পরিষদ বরিশাল শাখার আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
আসাদ পরিষদ বরিশাল শাখার সভাপতি ডা. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন সাবেক ও বর্তমান ছাত্র নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তব্য রাখেন সাবেক কৃষকলীগ সভাপতি ৭৯-এর ছাত্র নেতা খান আলতাফ হোসেন ভুলু, বরিশাল জেলা ওয়াকার্স পার্টি সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নিলু, শিক্ষক নেতা ও সাবেক ছাত্র নেতা অধ্যাপক মহসিন-উল–ইসলাম হাবুল, সাবেক বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ড সচিব অধ্যাক্ষ আব্দুল মোতালেব, গণ সংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির আহবায়ক দেওয়ান আব্দুর রসিদ নিলু, জাসদ জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাড. আ. হাই মাহাবুব, গণফোরাম বরিশাল জেলা সভাপতি অ্যাড, হিরণ কুমার দাস মিঠু, বাসদ বরিশাল জেলা সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী, আসাদ পরিষদ বরিশাল শাখার সাধারণ সম্পাদক রতন চক্রবর্তী।
এছাড়ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ বিভিন্ন প্রর্যায়ের তরুন ছাত্র নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, তখনকার আওয়ামী লীগ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বৈরাচারী আয়ুবখানের বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর আন্দোলন তীব্র হতে থাকে। তখন ৬৯-এর গণ আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদ রাজপথে পুলিশের গুলিতে মারা যায়। আসাদের মৃত্যু স্বৈরাচারী আয়ুব সরকারের দ্রুত পতন ঘটিয়েছিল। শুধু তাই নয় পরবর্তী সময়ে আসাদ হয়ে উঠেছিল সকল আন্দোলন-সংগ্রামের উপমা। আসাদ চেয়েছিল স্বৈরাচার মুক্ত শোষণহীন সমাজ। কিন্তু স্বাধীনতার রজত জয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে এসেও আজ পর্যন্ত শোষনহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা হয়নি। স্বাধীনতা অর্জনের এত বছর পরও সেই স্বৈরাচারী ভাবধারা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি বলেই আজও আমরা গণতন্ত্রহীন হয়ে বসবাস করছি। এর আগে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক শহিদ আসাদের প্রতিকৃর্তিতে আসাদ পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নিউজজি/এসএম