এস এল টি তুহিন, বরিশাল ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১৮:১১:১৬
ছবি : নিউজজি
বরিশাল: কীর্তনখোলা নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই’র বার্ষিক মাহফিলের ৩য় দিনে শুক্রবার সর্ববৃহৎ জামাতে জুমার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। চরমোনাই’র ময়দানে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির উপস্থিতিতে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে স্মরণকালের বৃহত্তম জুমার জামাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমান দলে দলে আল্লাহর সন্তুষ্ঠি লাভের আশায় ও গুনাহ মাপের জন্য কিছু সময় সৃষ্টি কর্তার আনুকূল্য পেতে সিজদায় মগ্ন হন।
মুসল্লিদের ঢল নেমেছিল ঘাটে লঞ্চ ভেড়ানোর জায়গা না থাকায় ছোট ছোট যন্ত্রচালিত টলার ও নৌকায় মুসল্লিরা মাঠে এসেছেন। আল্লাহ জিকিরের ধ্বণিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে ময়দান। আর এই জুমার নামাজে দেশি-বিদেশি অগণিত মানুষ ময়দানে কাতারে কাতারে শামিল হয়ে নামাজ আদায় এবং মোনাজাতে শরিক হন। জুমার নামাজের খুতবা পাঠ ও নামাজের ইমামতি করেন চরমোনাই’র পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মাদ রেজাউল করীম। নামাজে বরিশালের অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। চরমোনাই মাহফিলে এতো বিশাল পরিসরে এটাই প্রথম জুমার জামাত বলে জানা গেছে। এবারের মাহফিলে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে মুসল্লিদের সমাগম হয়েছে।
জানা যায়, প্রতি বছর চারটি মাঠে মুসল্লিদের নিয়ে সমাবেশ হতো। বাড়ানো হয়েছে পাঁচ নাম্বার মাঠ। বৃহত্তম জুমার জামাতে শরিক হয়ে নামাজ আদায় করতে শুক্রবার সকাল থেকেই বরিশাল শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে চরমোনাই’র দিকে ঢল নেমেছিল টুপি-পাঞ্জাবি পরা লাখ লাখ মানুষের। কীর্তনখোলা নদীর তীরের চারপাশে যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই দেখা যায় শুধু সাদা পাঞ্জাবি আর টুপি পরা মানুষের ভিড়। নামাজের সময় মূল প্যান্ডেলের বাইরে পাকা রাস্তা পর্যন্ত মুসল্লিদের নামাজে অংশ গ্রহণ করতে দেখা গেছে। নামাজের সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী স্বেচ্ছাসেবক ছিল বিশেষ সতর্ক অবস্থায়। টহল জানান দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি।
আগামীকাল শনিবার সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই মাহফিল। বয়ানে বলন বেশি বেশি মৃত্যুর কথা স্মরণ করে দুনিয়ার লোভ লালসা ত্যাগ করে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিতে সকল কাজকর্ম করার উপদেশ দেন। কুরআন হাদিসের উদ্বৃতি দিয়ে জাহান্নামের ভয়াবহতা বর্ননা করেন এবং জান্নাতের নেয়ামতের বিবরণ দেন। জাহান্নামের ভয়াবহতার বর্ননা শুনে মাহফিলে আসা মুসুল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোবারক করীম, প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম, মুফতী সৈয়দ এছহাক মো. আবুল খায়ের, মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, প্রমুখ।
নিউজজি/এসএম