দিনাজপুর প্রতিনিধি ৫ মার্চ, ২০২১, ১২:১৮:৩২
ছবি : সংগৃহীত।
দিনাজপুর: জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ত্বীন ফলের চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন মতিউর মান্নান নামের এক কৃষক। প্রথমবারের মতো এলাকায় এই বিদেশি ফলের বাগান দৃষ্টি কেড়েছে স্থানীয়দের। ত্বীন ফল চাষাবাদে ও ভালো ফলন পেতে সব ধরনের সহযোগিতাও দিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উত্তরবঙ্গে প্রথম দিনাজপুরের নবাবগঞ্জেই ত্বীন ফলের চাষ করা হচ্ছে। এই ফল চাষাবাদে ও ভালো ফলন পেতে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাগান পরিদর্শনসহ মতিউর নামের ওই কৃষককে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। ত্বীন ফল একটি অপ্রচলিত ও বিদেশি ফল। তবে এটি অত্যন্ত সুস্বাদু। এটির ওষধি গুণাবলি রয়েছে। কেউ চাইলে ওই চাষির থেকে চারা নিয়ে এ ধরনের বাগান করতে পারবেন। গাছে বেশ ভালো ফল ধরেছে ও পাকতে শুরু করেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি এসব ফল বাজারজাত করতে পারবেন।
এই ফল চাষাবাদের বিষয়ে কৃষক মতিউর মান্নান বলেন, করোনার কারণে ব্যবসা বাণিজ্য না থাকায় পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। এরপর বোনের পরামর্শে ও তার অনুপ্রেরণয় আমি বেশ কিছু বাগান পরিদর্শন করি। এর মধ্যে আমার কাছে ত্বীন ফলের বাগান সবচেয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ও উচ্চফলনশীল ফল হিসেবে এবং লাভজনক হিসেবে মনে হয়েছে। যার কারণে এই ফলের বাগান করার সিন্ধান্ত নেই। সে মোতাবেক গত বছরের অক্টোবরে মাসে গাজীপুর থেকে ৫ জাতের ৯০০ ত্বীন ফলের চারা এনে ৪ বিঘা জমিতে চাষ শুরু করি। চারা রোপণের দেড় মাসের মাথায় ফল আসতে শুরু করে। এখন বাগানের যে ৯০০ গাছ রয়েছে তার সবকটিতেই ফল এসেছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে এগুলো পেকে যাবে। এরপর আমি এগুলো বাজারজাত করতে শুরু করবো।
তিনি বলে, বাগান করতে গিয়ে ২৩ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। প্রথমে ভয় পেলেও বর্তমানে বাগানের যে অবস্থা তাতে করে আমি খুব খুশি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমার যে ব্যয় হয়েছে সেগুলো ফিরতে শুরু করবে।
নিউজজি/ এসআই