রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ , ১৬ রমজান ১৪৪৬

দেশ
  >
জাতীয়

বাজেটে উচ্চ ঋণ গ্রাস করছে স্থায়িত্বশীলতার সুযোগ: নাগরিক নেতৃবৃন্দ

নিউজজি প্রতিবেদক ১৮ মে , ২০২৪, ১৯:১৮:৫১

165
  • ছবি: নিউজজি

ঢাকা: বাজেটে উচ্চ ঋণ স্থায়িত্বশীলতার সুযোগ গ্রাস করছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, আসন্ন বাজেটে ঘাটতি কমাতে যে নজিরবিহীন ঋণ নেওয়া হচ্ছে, তা শেষ পর্যন্ত মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে টিকে থাকার পথ রুদ্ধ করবে। এতো উচ্চ হারের ঋণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে অন্তরায়।

আজ শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মুখে ইক্যুইটিবিডি আয়োজিত আসন্ন ২০২৪-২৫ বাজেট সংক্রান্ত নাগরিক সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা। ইক্যুইটিবিডির প্রধান সঞ্চালক রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ সঞ্চালনা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দ। 

এতে বক্তৃতা করেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, ক্লিনের হাসান মেহেদী, আন্তর্জাতিক গ্রামীন নারী দিবস উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আরা রুমি, ওয়াটার কিপারস বাংলাদেশের মামুন কবীর, বিডিসিএসও প্রসেসের ওমর ফারুক ভুইয়া, ইক্যুইটিবিডির আবুল হাসান, ইয়ং চেঞ্জমেকারের সোহানুর রহমান সোহান, অনলাইন নলেজ সোসাইটির প্রদীপ কুমার রায় প্রমূখ।

সমাবেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির দুরাবস্থা তুলে ধরে সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রায় দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে মৎস খাতে। অথচ বছরে ৩-৪ দফা মৎস আহরণে নিষেধাজ্ঞার সময় দরিদ্র জেলে পরিবারগুলো কী করবে, বাজেটে তার কোনো বিধান নেই।

জলবায়ু-জনিত বাস্তুচ্যুতি বিষয়ক কৌশলপত্র বাস্তবায়নের বাজেটে বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানান তিনি। ইক্যুইটিবিডির মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, ২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান সাড়ে আট হাজার মানুষ। আসন্ন বাজেটে সড়ক ও জনপথ খাতে ৮৭ হাজার কোটি টাকা বাজেট থাকলেও নিরাপদ সড়কের জন্য এত প্রাণহানী প্রতিরোধের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। যাত্রী বিমা বাবদ বিমা কম্পানি বছরে ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

অথচ দুর্ঘটনার শিকার পরিবারগুলো কোনো ক্ষতিপূরণ পায় না। বিডিসিএসও প্রসেসের ওমর ফারুক ভুইয়া বলেন, আসন্ন বাজেটের পরিমাণ হলো ৮.৫ লাখ কোটি টাকা, যেখানে ঋণের পরিমাণ হলো ২.৭৫ লাখ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে মাথাপিছু ঋণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮০ ডলারে। এই বিপুল পরিমাণ ও নজিরবিহীন ঋণ সাধারণ মানুষের অনেক জীবনরক্ষাকারী খাতে সুযোগ হ্রাস করবে।

ক্লিনের হাসান মেহেদী বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, ২০২৫ সালের মধ্য অন্তত ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্জন করবে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত তা মাত্র ৩ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সমাপনী বক্তব্যে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পুরো বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়াটি আমলানির্ভর ও অগণতান্ত্রিক। এমনকি এখানে সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণও প্রশ্নসাপেক্ষ।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন