বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ , ২১ জুমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

দেশ
  >
জনপদ

বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানকে সংবর্ধনা প্রদান

রাজশাহী প্রতিনিধি ৭ অক্টোবর , ২০২৪, ১৯:৫৭:৩৮

322
  • বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানকে সংবর্ধনা প্রদান

রাজশাহী: বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সদ্য যোগদানকৃত চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিএমডিএর প্রধান কার্যালয় চত্বরে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে তাকে এই সবংর্ধনা দেয়া হয়। 

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব)। ড. এম আসাদুজ্জামান সোমবারই বিএমডিএর নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। পরে তাকে সবংর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে থেকে তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএমডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুল  হোদা, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শমসের আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরীফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম মাহফুজুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার বসাক, প্রকল্প পরিচালক রেজা মোহাম্মদ নূরে আলম, বিএমডিএর সচিব এনামুল কাদির সহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

বিএমডিএর জনসংযোগ শাখা জানায়, ১৯৪৯ সালের পহেলা নভেম্বর রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন ড. আসাদুজ্জামান। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত স্যার ম্যাকডোনাল্ড অ্যান্ড পার্টনারের কনসালটেন্ট হিসাবে বিএডিসিতে চাকরি করেন। প্রকল্পের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৯৭৭ সালে বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে যাত্রা শুরু। পরে সুযোগ হয় বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ ও ভূ-উপরিস্থ সেচ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের।

দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞরা যখন মতামত দিয়েছিলেন রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলে  সেচ প্রদান সম্ভব নয়। এমন মতামতের বিপক্ষে বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেন তিনি। পুরো বরেন্দ্র এলাকা ঘুরে কারিগরি তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের উপস্থাপন করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ১৯৮২-৮৩ সালে কারিগরি তথ্য সমৃদ্ধ রিপোর্ট তৈরি করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপর পক্ষে বিপক্ষে মতামত সুপারিশ আর তৎকালীন বিএডিসির কর্মকর্তাদের নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় ডিপ-টিউবওয়েল বসানোর। ১৯৮৬ সালে প্রজেক্টের উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে পদোন্নতি দেয়া হয়। শুরু হয় বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কর্মযজ্ঞ। আসে একের পর এক সফলতা। ঠাঁ-ঠাঁ বরেন্দ্র হিসাবে পরিচিত এক ফসলের জায়গায় তিন ফসল উৎপন্ন হয়। সবুজে ভরে যায় চারিদিক। বৃহত্তর রাজশাহী থেকে রংপুর জেলা পর্যন্ত পুরো উত্তরাঞ্চলজুড়ে বরেন্দ্র প্রকল্পের কর্মকাণ্ড বিস্তৃত হয়।

ড. আসাদুজ্জামানের বড় ভাই হলেন বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক। তাদের মাতা এরআগে রত্নগর্ভা মায়ের স্বীকৃতিও পান।

নিউজজি/নাসি

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন