বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ , ২৭ রমজান ১৪৪৬

শিল্প-সংস্কৃতি

সঙ্গীতসাধক শৈলজারঞ্জন মজুমদার

নিউজজি ডেস্ক ২৪ মে, ২০২৪, ০১:১৭:৩৫

137
  • সঙ্গীতসাধক শৈলজারঞ্জন মজুমদার

ঢাকা: শৈলজারঞ্জন মজুমদার রবীন্দ্রসঙ্গীতের বিশেষজ্ঞ সাধক, প্রশিক্ষক ও রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠ সহচর। অবিকৃত ও বিশুদ্ধরূপে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা এবং এর প্রচার-প্রসারে খোদ রবীন্দ্রনাথ জীবদ্দশায় যে ক’জন শিষ্যের ওপর নির্ভর করতেন তাদের মধ্যে তার নামটি সর্বাগ্রগণ্য। কিংবদন্তিতুল্য এই সঙ্গীতসাধক পুরো জীবন রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং রবীন্দ্র-সান্নিধ্যে সমর্পণ করেছেন। বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন ছাড়াও রবীন্দ্রনাথের দুই শতাধিক গান ও বেশ কিছু গীতিনাট্যের স্বরলিপি তৈরি করে রবীন্দ্রসঙ্গীত-প্রেমীদের কাছে সহজবোধ্য করে তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি স্বরলিপি সম্পাদনা ও প্রকাশের দায়িত্বও পালন করেছেন।

অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে দুই বাংলায় তৈরি করেছেন অগণিত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন বেশ কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত সংগঠন প্রতিষ্ঠায়। বিশ্বব্যাপী যাদের কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত অপূর্ব মহিমায় শোভা পেয়েছে এবং পাচ্ছে তাদের বেশিরভাগ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শৈলজারঞ্জনেরই শিষ্য।

শৈলজারঞ্জন মজুমদার ১৯০০ সালের ১৯ জুলাই নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাহাম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা রমণীকিশোর দত্ত মজুমদার ছিলেন নেত্রকোনার ডাকসাইটে আইনজীবী। মাতা সরলা সুন্দরী গৃহিণী। শৈশবে ঠাকুরমা সৌদামিনী দেবীর কাছে সঙ্গীতে হাতেখড়ি গ্রহণের পর সঙ্গীত সাধনা হয়ে ওঠে তার জীবনের ব্রত। জামতাড়া জংবাহাদুর করোনেশন হাইস্কুলে কিছুদিন পড়াকালে ইংরেজি শিক্ষক সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সাহচর্য তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। 

তিনি ১৩১৪ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ শৈলজারঞ্জনকে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে নিয়ে যান। ঠাকুরবাড়িতে উপাসনা, গুণীজনদের বক্তৃতা এবং রবীন্দ্রনাথের গান শুনে মুগ্ধ হন তিনি। কলেজে পড়ার পাশাপাশি চালিয়ে যান সঙ্গীতচর্চা। এই সঙ্গীতগুরু ১৯৯২ সালের ২৪ মে ভোররাতে কলকাতার সল্টলেকের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন