মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ , ২১ রজব ১৪৪৬

অর্থ ও বাণিজ্য
  >
সাক্ষাৎকার

শখের বশে তৈরি পালঙ্কের দাম ১ কোটি টাকা

আব্দুল্যাহ আল নোমান ২৪ জানুয়ারি , ২০২৩, ১৫:১৩:৫৯

233
  • ছবি: নিউজজি

ঢাকা: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার পল্লী চিকিৎসক নুরুন্নবী (৫০) শখের বশে তৈরি করেছেন পরী পালঙ্ক । ঢাকার পূর্বাচলে আয়োজিত ২৭ তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় পরী পালঙ্কটি বিক্রির জন্য এনেছেন তিনি। পালঙ্কটি বিক্রির জন্য নুরুন্নবী দাম হাক্কাচ্ছেন ১ কোটি টাকা। 

প্রতিদিনই হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় জমাচ্ছেন এক কোটি টাকা দাম চাওয়া পালঙ্কটিকে একটু দেখতে। মেলার ২৩ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাম বলেছেন ক্রেতারা। কাঙ্খিত দাম পাওয়ায় পালঙ্কটি বিক্রি করছেন না নুরুন্নবী। 

কী আছে এই পালঙ্কটিতে যার কারণে এক কোটি টাকা দাম হাকাচ্ছেন নুরুন্নবী। জানতে চাইলে তিনি নিউজজি২৪’কে বলেন খাটের চারকোণে রয়েছে চারটি নারীর অবয়ব। এদের ‘কল্পনার পরী’ নাম দিয়েছেন তিনি। এই রকম ছোট-বড় আরও ১২ টি পরী রয়েছে খাটটিতে। বড় চার পরীর হাতে আছে চারটি প্রজাপতি। এ ছাড়া খাটের চারকোণে চারটি বিশেষ নকশার চাঁদ, ৬ টি সূর্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। 

খাটটি তৈরির প্রক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে ২০০ ফুট ফাইবার সেগুন কাঠ কিনেন তিনি। এরপর সে কাঠ থেকে ভালো মানের ৮৫ ফুট ফাইবার সেগুন কাঠ দিয়ে এই তৈরি করেন এই পরী পালঙ্ক খাট। 

নুরুন্নবী বলেন, মনের কল্পনা থেকে কাগজে এঁকে খাটটির নকশা করেন তিনি। পরে সেভাবে নকশা প্রণয়ন করে খাট বানানো শুরু করেন মিস্ত্রি আবুবকর। একজন সহযোগী নিয়ে খাটটি তৈরি করতে ৩ বছর দুইমাস সময় লেগেছে মিস্ত্রী আবুবকরের। সাথে একনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ছিলেন নুরুন্নবী নিজেই। 

এবারের বাণিজ্যমেলার চতুর্থ দিন থেকে খাটটি প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হয়। মেলায় খাটটি দেখা শোনার কাজ করছেন নুরুন্নবীসহ আটজন কর্মচারী। তিনি বলেন, দর্শনার্থীদের ভিড়ের কারণে খাওয়া-বিশ্রামের সময়টুকুও পান না এইসব কর্মচারীরা। মানুষের অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে আশে পাশের স্টলগুলো বেচা-বিক্রি হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে ২৪ জানুয়ারির (মঙ্গলবার) পর থেকে স্টলে থাকলেও পরী পালঙ্ক খাটটি স্টলে না রেখে বাণিজ্যমেলার আশপাশে কোথাও রাখবেন বলে নিউজজি২৪কে নিশ্চিত করেছেন নুরুন্নবী। এসময় দর্শনার্থীরা নুরুন্নবীর সাথে যোগাযোগ করে খাটটি দেখার সুযোগ পাবেন।  

তবে এখন পর্যন্ত খাটটি কেনার জন্য আটজন গ্রাহক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। খাটের দাম এক কোটি চাওয়া হলেও কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে আগ্রহী আছেন নুরুন্নবী। কাঙ্খিত দামে খাটটি কেউ কিনতে চাইলে খাটটির সাথে একটি আর ওয়ান-৫ মোটরসাইকেল ও এক ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ গিফট হিসেবে পাবেন বলেও জানান খাটটির এই সত্ত্বাধিকারী। 

খাটটি আদৌ বিক্রি না হলে কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক নুরুন্নবী নিউজজিকে জানান, কাঙ্ক্ষিত দামে খাটটি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি। তবে যদি বিক্রি করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এটিকে জাদুঘরে রাখার চেষ্টা করব। আর বিক্রি করতে পারলে এর লভ্যাংশের একটি অংশ প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে জমা দিবেন জানান নুরুন্নবী।

নিউজজি/এএন/নাসি 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন