রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ , ২৬ রজব ১৪৪৬

শিক্ষা

স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নোবিপ্রবির শরীরচর্চা বিভাগের পরিচালকের বিরুদ্ধে

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি ১০ ডিসেম্বর , ২০২৪, ১৪:২৮:০৩

98
  • স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নোবিপ্রবির শরীরচর্চা বিভাগের পরিচালকের বিরুদ্ধে

নোবিপ্রবি: নোবিপ্রবিতে অনুষ্ঠিত আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের সিএসটিই বনাম আইসিই বিভাগের মধ্যকার খেলায় সাবেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ এবং শরীরচর্চা বিভাগের বিরুদ্ধে তথ্য লুকানোর অভিযোগ উঠেছে।

গত ৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত সিএসটিই বনাম আইসিই বিভাগের মধ্যে অনুষ্ঠিত খেলায় আইসিই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী খলিলুর রহমান অংশগ্রহণ করে। খলিলুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের অনার্সের এবং ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ব্যাপারে খেলার প্রথমার্ধ শেষে সিএসটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা শরীরচর্চা বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শরীরচর্চা বিভাগ আইসিই বিভাগের বরাত দিয়ে জানায় খলিলুর রহমানের রেজাল্ট টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রকাশিত হয়। শরীরচর্চা বিভাগের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় যে, কোনো শিক্ষার্থীর রেজাল্ট টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রকাশিত হলে তাকে খেলায় অংশগ্রহণ না করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।

শরীরচর্চা বিভাগ খলিলের করা গোলকে বাদ দিয়ে সিএসটিই বিভাগকে খেলায় অংশগ্রহণে আমন্ত্রণ জানায়। কিন্ত সিইসটিই বিভাগের খেলোয়াড়েরা দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় ফিরতে অস্বীকৃতি জানায়। টুর্নামেন্টের আয়োজক শরীরচর্চা বিভাগের পক্ষ থেকে সিইসটিই বিভাগের কয়েকজন শিক্ষককে মাঠে উপস্থিত করানো হয় যেন শিক্ষকদের অনুরোধে সিএসটিই বিভাগের খেলোয়াড়েরা খেলতে বাধ্য হয়। সিএসটিই বনাম আইসিই বিভাগের মধ্যকার খেলা শেষে সিএসটিই বিভাগের খেলোয়াড়েরা জানতে পারে খলিলুর রহমানের মাস্টার্সের রেজাল্ট ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ সালে প্রকাশিত হয়। তখন সিএসটিই বিভাগ সেদিন(০৫ ডিসেম্বর) বিকেলে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শরীরচর্চা বিভাগে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

০৪ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে প্রকাশ করা শরীর-চর্চা বিভাগের স্মারক ২০১৪/১০৮ নোটিশে বলা হয়েছে, যারা বিভাগের নিয়মিত ছাত্র নয় তারা খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সিএসটিই বিভাগ অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে বলে জানায়।

গত রোববার (০৮ ডিসেম্বর) অভিযোগের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে নোবিপ্রবি শরীরচর্চা বিভাগের পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত) ও আইসিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। শরীরচর্চা বিভাগের অফিসে যোগাযোগ করলে পরিচালক বরাবর যোগাযোগ করতে বলা হয়। সিদ্ধান্ত জানাতে বারবার এদিক থেকে সেদিকে ঘুরিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে সিএসটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সিএসটিই বিভাগের অধিনায়ক রাকিন শরীরচর্চা বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, শরীরচর্চা বিভাগ আইসিই বিভাগের দেয়া মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমাদের সম্মানিত শিক্ষকদেরকে মাঠে আনিয়ে খেলতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে খেলায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে আমরা প্রমাণসহ অভিযোগ জানালেও শরীরচর্চা বিভাগ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বরং সিদ্ধান্ত জানাতে অনেক গড়িমসি করেছে। সেদিন আইসিই বিভাগ না হয়ে অন্য বিভাগ হলে এতক্ষনে খেলা স্থগিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হতো বলেও মন্তব্য করেন রাকিন।

এ ব্যাপারে শরীরচর্চা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও আইসিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত মাঠে চূড়ান্ত হয়েছে। সাবেক শিক্ষার্থী খলিলুর রহমানের তথ্য গোপন করে খেলায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

তবে টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং-এ উপস্থিত থাকা একজন শিক্ষক জানিয়েছেন, আইসিই বিভাগের তথ্য গোপনের ব্যাপারে কোনো আলোচনাই সভায় উত্থাপিত হয়নি। বরং মাঠের সিদ্ধান্তকে চুড়ান্ত হিসেবে বিবেচনা করে পরবর্তী ম্যাচ গুলো চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ ব্যাপারে জানতে আইসিই বিভাগের অধিনায়ক ওমর জানান, খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সত্য এবং তার সমাধান মাঠেই করা হয়।

নিউজজি/নাসি

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন