রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ , ২৬ রজব ১৪৪৬

শিক্ষা

গুচ্ছ থেকে বের হতে কুবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিলো ছাত্রশিবির ও সমন্বয়করা

কুবি প্রতিনিধি ১১ ডিসেম্বর , ২০২৪, ১৯:০০:২৩

84
  • গুচ্ছ থেকে বের হতে কুবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিলো ছাত্রশিবির ও সমন্বয়করা

কুবি: গুচ্ছের সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্যের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সমন্বয়করা স্মারকলিপি প্রদান করেন।

ছাত্রশিবিরের দেয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, `গুচ্ছ একটি জটিল, অস্বচ্ছ এবং বৈষম্যমূলক পদ্ধতি। এ পদ্ধতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের স্বকীয়তা হারাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতকরণে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় নিজস্ব প্রশ্ন কাঠামোতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া যাচ্ছে না বলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের যাচাইয়ের সুযোগ কমে যাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈচিত্র্য কমছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত প্রতিটি ব্যাচে সিট ফাঁকা থাকছে, যার হার পূর্ববর্তী যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।‘

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, `আমরা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। গুচ্ছের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমগুলো অবনতির দিকে যাচ্ছে তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মানও কমছে। এই দিকগুলো বিবেচনা করে আমাদের মনে হয়েছে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।‘

একই বিষয়ে স্মারকলিপি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। সমন্বয়কদের দেয়া স্মারকলিপিতে গুচ্ছে থাকার কারণে নয়টি সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়৷ সমস্যাগুলো হলো—ভর্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা, বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হচ্ছে, প্রশ্নপত্রের বৈচিত্র্যের অভাব, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানদণ্ড উপেক্ষা, একাধিক সুযোগ হারানোর ঝুঁকি, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য জটিলতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা হারানো, মেধার সঠিক মূল্যায়নের অভাব এবং অতিরিক্ত সময়ের অপচয়।

এ ছাড়া স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গুচ্ছপদ্ধতি থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা পুনঃপ্রবর্তন করা এবং আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়া অনুরোধ জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক নাঈমুর রহমান বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিভিন্ন অসুবিধা থাকার কারণে এই প্রক্রিয়া থেকে বের হওয়ার জন্য ভিসি মহোদয়ের কাছে স্মারক লিপি নিয়ে যাই। উক্ত বিষয়ে যাওয়ার পরে স্যার বলেছে এখনো পর্যন্ত এই পদ্ধতিতে না থাকার পক্ষে এবং গত কালকের মিটিং না থাকতে চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি। উনি মিটিংয়ে জানিয়েছেন থাকলে সবাই থাকবে না হয় আমরাও থাকব না। এই বিষয়ে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর একটা মিটিং আছে সেখান তিনি এটা উল্লেখ্য করবেন বলেছে ন৷’

স্মারকলিপির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে শুরুতে গুচ্ছতে না থাকার বিষয়ে মতামত জানিয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনার মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, অন্তত এই বছর যেন গুচ্ছতেই থাকি। আমাদের আসলে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বে যাওয়ার সুযোগ নেই। এবছর অন্তত গুচ্ছেই থাকছি। তারপরও আমাদের উপাচার্যদের একটা মিটিং রয়েছে। আমি সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর কথা জানাব। তারপর ফাইনালি সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’

নিউজজি/নাসি  

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন