রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ , ২৬ রজব ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবিতে পোষ্য কোটা বহাল রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাবি প্রতিনিধি ১১ ডিসেম্বর , ২০২৪, ১৯:১০:২৫

102
  • রাবিতে পোষ্য কোটা বহাল রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ১ম বর্ষে ভর্তিতে পোষ্য কোটা বহাল রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (১১ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এই মানববন্ধন করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের, “পোষ্য কোটা নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক”, “লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে”, “আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম! সংগ্রাম!”, “একশন একশন, ডাইরেক্ট একশন”,সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।

মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মেশকাত বলেন, পোষ্য কোটার সবচেয়ে বড় সমস্যা আসন নষ্ট করা। কিন্তু এর থেকেও বড় প্রশ্ন হলো পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়ে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে উঠলে একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বানাব। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে অবশ্যই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে আসতে হবে। তাই আমাদের পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়ে শিক্ষক হওয়ার এই পথ বন্ধ করে দিতে হবে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, জুলাই আগস্টের আন্দোলনে ২০ হাজারেরও বেশি ভাই আহত হয়েছেন। তাদের এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম যেখানে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সুযোগ সুবিধা পাবে। । নতুন বাংলাদেশে কোনও আত্মীয় সভা গঠন করার জন্য মুগ্ধ—আবু সাঈদরা বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন করে নাই। পোষ্য কোটার মতো যদি একটি লুটপাট সিন্ডিকেট যদি বন্ধ করতে না পারি তাহলে জুলাই বিপ্লবের চেতনা নষ্ট হবে। আমাদের বুকে যত রক্ত আছে যত শক্তি আছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথে দাঁড়িয়ে থাকব।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাবি সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, কোটা সংস্কার করতে গিয়ে শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়ে গেলেও পোষ্য কোটার মতো একটি অযৌক্তিক কোটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাল বাহনা শুরু করেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই আমরা আমাদের জায়গা থেকে বিন্দু পরিমাণ সরে যায় নাই। আমরা আগে আমাদের কোটা সংস্কার চিন্তা করব তারপর আপনাদের প্রশাসন সংস্কার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত দিনগুলোতে ছোট ছোট কিছু প্রতিবাদী সমাবেশ করেছে। কিন্তু আজকের মানববন্ধনের উদ্দেশ্য ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সারাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে এই পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার করার আহ্বান জানানো। আমরা এই পোষ্য কোটাকে সমূলে উৎপাটন করতে চাই।

মানবন্ধনে অংশগ্রহণরত বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারী বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বাচ্চাদের পোষ্য কোটা আন্দোলন করতে দেখছি আমার আবু সাইদ—আবু রায়হানের মায়ের রক্তের কান্না, সারা বাংলাদেশের মায়ের কান্না ভেসে উঠছে। আমি মেধাবীদের দাম দিতে চাই, মেধাবীদের সাথে থাকতে চাই। আমিও পোষ্য কোটার অন্তর্ভুক্ত হলেও আমি এই অযৌক্তিক কোটা চাই না।

প্রসঙ্গত, ১৪ নভেম্বর স্নাতক ১ম বর্ষে ভর্তিতে পোষ্য কোটা ১% কমিয়ে ৩% রাখা হলে ১৪ নভেম্বর রাতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর পোষ্য কোটাকে লাল কার্ড প্রদর্শন, পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে উন্মুক্ত বিতর্ক, পোষ্য কোটাকে প্রতীকী কবর, পোষ্য কোটার প্রতীকী কবরের পাশে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচিসহ নানা আন্দোলনের মাধ্যমে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন রাবি শিক্ষার্থীরা।

নিউজজি/নাসি

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন