নিউজজি প্রতিবেদক জানুয়ারী ১৩, ২০২১, ১৬:৪৯:১৭
শুভ জন্মদিন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
হাতেগোনা যে’কজন শিল্পীর মধ্যমে দেশে রবীন্দ্রসঙ্গীত বিস্তার লাভ করেছে, জনপ্রিয় হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। বিশিষ্ট এই শিল্পী চার দশকের বেশি সময় ধরে রবীন্দ্রসঙ্গীতের চর্চা করে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে এই গান ছড়িয়ে দিচ্ছেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
খ্যাতিমান এই সঙ্গীতশিল্পীর জন্মদিন আজ। শুভ জন্মদিন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ১৯৫৭ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি রংপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
বন্যার সঙ্গীত চর্চার শুরু হয় ছায়ানট থেকে। পরবর্তীতে তিনি ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে শিক্ষা লাভ শেষে দেশে ফিরে আসেন তিনি। অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু ১৯৭১ সালে দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ায় পাঠ্যজীবনে ইতি টানেন তিনি।
ছোটবেলা থেকে সঙ্গীত নিয়েই রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার ধ্যানজ্ঞান। তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর শিক্ষা লাভ করেছেন। গান দিয়ে তিনি কেবল বাংলাদেশ নয়, ভারতেও ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।
কর্মজীবনে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ১৯৯২ সালে তিনি নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন সঙ্গীত শিক্ষার প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’। যা দেশের অন্যম বড় ও সফল সঙ্গীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে এ পর্যন্ত বহু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ ও ‘ছিন্নপত্র’ ইত্যাদি।
সঙ্গীতে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা লাভ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক। এছাড়া ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সঙ্গীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতেও তিনি বেশ কিছু পদক পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বঙ্গভূষণ। ২০১৭ সালে তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
ব্যক্তিগত জীবনে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা দুসন্তানের জননী। তার স্বামী জি এইচ চৌধুরী। বন্যার মেয়ে প্রিয়দর্শিনী, ছেলে অর্ক দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে লেখাপড়া শেষ করে সেখানেই চাকরি করছেন।
নিউজজি/কেআই