মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ , ২১ রজব ১৪৪৬

ফিচার

আজ হাসন রাজার মৃত্যুবার্ষিকী

নিউজজি ডেস্ক ডিসেম্বর ৬, ২০২৪, ১২:৩০:১১

114
  • সংগৃহীত

মরমী সাধক হাসন রাজার ১০২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। লোকে বলে বলে রে, ঘর বাড়ি ভালা না আমার; বাউলা কে বানাইলো রে এরকম আড়াই শতাধিক লোকগানের রচয়িতা তিনি। প্রখ্যাত এ সাধক ১৯২২ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া গ্রামে লক্ষণশ্রী পরগনার ধনাঢ্য জমিদার দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী এবং মোসাম্মৎ হুরমত জান বিবির ঘর আলোকিত করে জন্ম নেন মরমী সাধক হাসন রাজা।

হাসন রাজা দেখতে বেশ সুপুরুষ ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন স্বশিক্ষিত। তিনি সহজ-সরল সুরে প্রায় সহস্রাধিক গান এবং পংক্তি রচনা করেছেন। হাসন যৌবনে ছিলেন ভোগবিলাসী এবং সৌখিন। প্রতি বছর বিশেষ করে বর্ষাকালে নৃত্য-গীতের ব্যবস্থাসহ নৌকাবিহারে চলে যেতেন এবং বেশ কিছুকাল ভোগ-বিলাসের মধ্যে নিজেকে নিমজ্জিত করে দিতেন।

এই ভোগবিলাসের মাঝেও হাসন প্রচুর গান রচনা করেছেন। বাইজী দিয়ে নৃত্য এবং বাদ্যযন্ত্রসহ এসব গান গাওয়া হত। সেই গানের মাঝেও অন্তর্নিহিত রয়েছে নশ্বর জীবন, স্রষ্টা এবং নিজের কৃত কর্মের প্রতি অপরাধবোধের কথা।

হাসন রাজার স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারে গড়ে তোলা হয়েছে একটি জাদুঘর যার নাম ‘মিউজিয়াম অব রাজাস’। এখানে দেশ বিদেশের দর্শনার্থীরা হাসন রাজা ও তার পরিবার সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে প্রতিদিন ভিড় করেন।

এ ছাড়াও সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়ায় এলাকায় সুরমা নদীর কোল ঘেঁষা হাসন রাজার স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে পারিবারিকভাবে করা হয়েছে হাসন রাজা মিউজিয়াম। এখানে রাখা হয়েছে কালোত্তীর্ণ এ সাধকের ব্যবহৃত কুর্তা, খড়ম, তরবারি, পাগড়ি, ঢাল, থালা, বই ও নিজের হাতের লেখা কবিতার ও গানের পান্ডুলিপি।

স্থানীয়দের দাবি, সরকারি পৃষ্টপোষকতায় সুনামগঞ্জে হাসন রাজাকে নিয়ে গবেষণা ইনস্টিটিউট বানানো হোক এবং প্রতিবছর হাসন মেলার আয়োজন করা হোক।

নিউজজি/ পি.এম

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন