বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ , ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফিচার
  >
ইতিহাস ও ঐতিহ্য

প্রভাতফেরী

নিউজজি ডেস্ক ২০ ফেব্রুয়ারি , ২০২১, ১২:৩০:৩২

646
  • ছবি : ইন্টারনেট থেকে

ঢাকা : একুশ। এই একটি শব্দ চোখের সামনে ভেসে উঠতেই আমরা শিহরিত হই। আমাদের শরীর কেঁপে ওঠে। আমাদের মনে পড়ে মাথা নত না করার উজ্জ্বল কথকতা। আমরা নড়ে উঠি। ঘুরে দাঁড়াই। সটান বুকে স্লোগান ধরি দৃপ্ত স্বরে। আমরাই একমাত্র জাতি, যারা মায়ের ভাষাকে সমুন্নত রাখতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছি। সেই ১৯৫২। সেই একুশ ফেব্রুয়ারি। আমাদের শহীদ ভাইয়েরা। বুক খালি হয়ে যাওয়া মায়েরা। সেই থেকে একুশের ভোর মানেই খালি পায়ে শহীদ মিনার অভিমুখে যাত্রা আমাদের। আমরা জানি প্রভাতফেরী বলে। 

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সালাম, বরকত, রফিক, শফিকের রক্তের সোপান পাড়ি দিয়ে পেয়েছি মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার। প্রতি বছর ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রভাতফেরী করে শহীদ মিনারে লাখো মানুষের ঢল নামে। কিন্তু কেমন ছিল প্রথম প্রভাতফেরী? 

১৯৫৩ সালে কেন্দ্রীয় সর্বদলীয় কর্মপরিষদ ২১ ফেব্রুয়ারি স্মরণে শহীদ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেই সিদ্ধান্তে সম্মতি দেন তখনকার আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। এবছরই ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররা শান্তিপূর্ণভাবে ২১ ফেব্রুয়ারি পালনের উদ্দেশ্যে প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নেন। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে সর্বস্তরের মানুষ খালি পায়ে প্রভাতফেরীতে অংশগ্রহণ করেন এবং শহীদ মিনারে গিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। সারাদিন মানুষ শোকের চিহ্নস্বরূপ কালো ব্যাজ ধারণ করেন। 

দিন উপলক্ষে সে সময় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির এই আয়োজনের মধ্য দিয়েই শুরু হয় প্রভাতফেরীর আনুষ্ঠানিকতা। 

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে দিনটি কখনো জাতীয় শোক দিবস, কখনোবা জাতীয় শহীদ দিবস হিসাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। 

২০০১ সাল থেকে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। 

তথ্য ও ছবি – ইন্টারনেট। 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন