মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ , ১৮ রমজান ১৪৪৬

ফিচার
  >
মানচিত্র

শহর কলকাতার জানা-অজানা

নিউজজি ডেস্ক ২০ আগস্ট , ২০২০, ১৫:২৪:৫৫

9K
  • শহর কলকাতার জানা-অজানা

ঢাকা : বাঙালি মাত্রই যে শহরের অলিগলি থেকে প্রায় সবকিছুকে আপন করে ভেবে ফেলে সেটা শহর কলকাতা। সাহিত্যে ও চলচ্চিত্রের কল্যাণে এটা হয়েছে, এতে দ্বিমত নেই কারোই। নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে যে শহর এখনও দারুণ উজ্জ্বল, সেটা কলকাতাই। আজকের আয়োজন কলকাতার ইতিহাস ও অন্যান্য।  

শিবের তান্ডব নৃত্যকালে সতীর দেহের একটি অংশ কালীঘাটে পড়েছিল। কালীঘাট মন্দিরটির নামানুসারেই সম্ভবত কলকাতার নামকরন করা হয়েছে বলে গল্পে গল্পে বলেছেন অনেকেই, আর তা অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্যতাও পেয়েছে। আবার কেউ মনে করেন, কলিকাতা নামটি খাল ও কাটা অর্থাৎ খনন করা শব্দদুটি থেকে উৎপন্ন হয়ে থাকতে পারে। এই অঞ্চলে কলিচুন ও দাতা বা নারকেলের ছোবড়া প্রচুর উৎপাদিত হতো । সে জন্যেই এই শহরের নাম হয়েছে কলিকাতা । এমনটাও বলেন কেউ কেউ। সে যাই হোক, এ নগরীর গোড়াপত্তন হয় ১৬৯০ সালে তিনটি গ্রামকে ঘিরে , কলিকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুর।

সুতানুটি ছিল সে সময়ে ঐ অঞ্চলের সুতা এবং বোনা কাপড়ের একটি বাণিজ্য কেন্দ্র। কলকাতার নিকটবর্তী চন্দ্রকেতুগড়ে (চব্বিশ পরগনা জেলায় এবং কলকাতা শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তরপূর্ব দিকে একদা ভাগীরথী নদীর অন্যতম প্রবাহ বিদ্যাধরী নদীর কূল ঘেঁষে এর অবস্থান।) প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য চালিয়ে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে এই অঞ্চলটি বিগত দুই হাজার বছরেরও বেশি সময়কাল ধরে জনবসতিপূর্ণ। মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একাধিক গ্রন্থে হুগলি নদীর তীরবর্তী কলিকাতা গ্রামের উল্লেখ পাওয়া যায়।

গবেষকদের নানান বর্ণনায় এসেছে - ১৬৯০ খিস্টাব্দে জব চার্নক গোবিন্দপর, সুতানুটি ও কলকাতাকে কেন্দ্র করে কলকাতা নগরির পত্তন করেছিলেন। ইংরেজরা ১৭০০ সালের দিকে এখানে দুর্গ নির্মাণ করেন এবং তখন থেকে নগরায়ন শুরু হয়। এর মধ্যে অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে যায়। ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ও নিহত হওয়ার পর মুর্শিদাবাদ থেকে সবকিছু গঠনমূলকভাবে প্রবাহিত হয় কলকাতার দিকে।

এত দ্রুত নগরায়ন হতে থাকে যে, সেবাধর্মী সব রকম সুবিধা নিয়ে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম নগরীতে পরিণত হয়। অতঃপর ১৭৭৩ সালে হুগলী নদীর পাড়ে সে কলকাতা ত্রিটিশ ভারতের রাজধানীর গৌরব লাভ এবং বিশ্বের অন্যতম বন্দর হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯০৫ সালে বঙ্গ বিভাগ হয়। কিন্তু তা আন্দোলনের মুখে রদ হয় ১৯১১ সালে। 

কথিত আছে, তখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে লন্ডনের পরই কলকাতা দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হিসেবে বিবেচিত হতো। নানা কারণে ১৯১২ সালে দিল্লীতে রাজধানী স্থানান্তরিত হওয়ার পর শুধু অবিভক্ত বাংলার রাজধানী হিসেবে কলকাতা সচল থাকে। তথাপিও কলকাতায় বিস্তৃতি ও বিভিন্ন রকম উন্নতি ক্রমবর্ধমান গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে।

ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে কলকাতা শহর দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। শহরের দক্ষিণে যে অংশে ব্রিটিশরা বাস করতেন সেটিকে বলা হত হোয়াইট টাউন এবং উত্তরে যে অংশে ভারতীয়েরা বাস করত সেটিকে বলা হত ব্ল্যাক টাউন।

১৮৫০-এর দশক থেকে কলকাতা শহর বস্ত্রবয়ন ও পাটশিল্পে বিশেষ সমৃদ্ধি অর্জন করতে শুরু করে। এর ফলে ব্রিটিশ সরকার এখানে রেলপথ ও টেলিগ্রাফ প্রকল্পের মতো পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক প্রকল্পে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেন। ব্রিটিশ ও ভারতীয় সংস্কৃতির মিশ্রণে শহুরে বাঙালিদের মধ্যে এক নব্য বাবু শ্রেণির উদ্ভব ঘটেছিল। এই বাবুরা ছিলেন সাধারণত উচ্চবর্ণীয় হিন্দু, ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ও সংবাদপত্রের পাঠক। পেশাগতভাবে এঁরা ছিলেন জমিদার, সরকারি কর্মচারী বা শিক্ষক।

ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার নবজাগরণ নামে পরিচিত যে যুগান্তকারী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্কার আন্দোলন বাঙালি সমাজের চিন্তাধারা ও রুচির আমূল পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছিল তার পটভূমিও ছিল এই কলকাতা শহর। বাংলার নবজাগরণ শুধু বাংলা নয়, সমগ্র ভারতের পথপ্রদর্শক হয়েছিল। এই আন্দোলনের পুরোধাপুরুষেরা ছিলেন রাজা রামমোহন রায়, হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও, রামতনু লাহিড়ী, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রামকৃষ্ণ পরমহংস, কেশবচন্দ্র সেন, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।

কলকাতা মহানগরী তার সাহিত্যিক, শৈল্পিক ও বৈপ্লবিক ঐতিহ্যগুলির জন্য বিশ্ববিদিত। এই শহর কেবলমাত্র ভারতের পূর্বতন রাজধানীই ছিল না, বরং আধুনিক ভারতের শিল্প ও সাহিত্য চেতনার জন্মস্থানও ছিল। শিল্প ও সাহিত্যের প্রতি কলকাতাবাসীদের বিশেষ আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে; নতুন প্রতিভাকে গ্রহণ করার ঐতিহ্য কলকাতাকে তাই পরিণত করেছে "প্রচণ্ড সৃজনীশক্তিধর এক শহরে"।এই সকল কারণে কলকাতাকে অনেক সময় "ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী" বলে উল্লেখ করা হয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - এশিয়ার প্রথম সাহিত্যে নোবেল বিজেতা এবং ভারতের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা। বাংলা তথা ভারতীয় সাহিত্যের এই দিকপালের জন্ম ও মৃত্যু কলকাতায়। ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে কলকাতাকেন্দ্রিক সাহিত্যিকদের হাত ধরে বাংলা সাহিত্যের আধুনিকীকরণ সম্পন্ন হয়। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় , মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম  ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করে চলেন শহরের পরবর্তী প্রজন্মের খ্যাতিমান সাহিত্যিকেরা। এঁদের মধ্যে উল্লেখনীয় হলেন জীবনানন্দ দাশ, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব বসু, আশাপূর্ণা দেবী  প্রমুখ। বর্তমান প্রজন্মের সাহিত্যিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব গুহ, মহাশ্বেতা দেবী, সমরেশ মজুমদার সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় জয় গোস্বামী প্রমুখ।

কলকাতা শহরের সাংগীতিক ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধ থেকেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বহির্বঙ্গ থেকেও বহু বিশিষ্ট সংগীতস্রষ্টা ও গায়ক কলকাতায় এসে বসতি স্থাপন করেন। এর ফলে অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলা গানে একটি বিশেষ কলকাতা-কেন্দ্রিক ধারার সৃষ্টি হয়, যা অধুনা "পুরাতনী" নামে পরিচিত।এই সময়কার সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় এবং উল্লেখযোগ্য সংগীতস্রষ্টা-গায়ক হলেন বাংলা টপ্পাসংগীতের জনক রামনিধি গুপ্ত (নিধুবাবু); তার রচিত টপ্পাগান আজও জনপ্রিয়। নিধুবাবুই বাংলায় প্রথম দেশাত্মবোধক গান "নানান দেশে নানান ভাষা, বিনে স্বদেশীয় ভাষা মিটে কি আশা"-র রচয়িতা।

সেযুগের অন্যান্য বিশিষ্ট সংগীতস্রষ্টা-গায়কেরা হলেন রাম বসু, হরু ঠাকুর, গোপাল উড়ে, রূপচাঁদ পক্ষী, শ্রীধর কথক প্রমুখ। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলা গানে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ও ব্রহ্মসংগীতের অবদানও অনস্বীকার্য।কলকাতার জনসমাজে কবিগান, তরজা, আখড়াই-হাফ আখড়াই, টপ্পা প্রভৃতি গানের বিশেষ জনপ্রিয়তা ছিল। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে কলকাতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুলপ্রসাদ সেন, রজনীকান্ত সেন ও কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গানের চর্চা শুরু হয়।

রবীন্দ্রসংগীত চর্চা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে কলকাতা এক বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী। এই শহরের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং "গীতবিতান", "রবিতীর্থ", "দক্ষিণী" প্রভৃতি রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষায়তন বিশেষ খ্যাতিসম্পন্ন। কলকাতা-কেন্দ্রিক উল্লেখযোগ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীরা হলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক, কুন্দনলাল সায়গল, দেবব্রত বিশ্বাস, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্র, সাগর সেন, চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়, সুমিত্রা সেন প্রমুখ; এবং একালের বিশিষ্ট শিল্পীদের মধ্যে প্রমিতা মল্লিক, স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত, শ্রাবণী সেন, ইন্দ্রাণী সেন, শ্রীকান্ত আচার্যের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নজরুলগীতির ক্ষেত্রে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ধীরেন বসু, অঞ্জলি মুখোপাধ্যায় প্রমুখ শিল্পীরা।

দ্বিজেন্দ্রগীতি-অতুলপ্রসাদী-রজনীকান্তের গানে উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হলেন কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়, মঞ্জু গুপ্ত, শর্বাণী সেন, নূপুরছন্দা ঘোষ প্রমুখ।বিংশ শতাব্দীর শেষ পর্বে কলকাতা-কেন্দ্রিক গীতিকার-সুরকার ও গায়ক-গায়িকারা বাংলা আধুনিক গানে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। বিশিষ্ট গীতিকার-সুরকারেরা হলেন সলিল চৌধুরী, হিমাংশু দত্ত, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, নচিকেতা ঘোষ, মোহিনী চৌধুরী, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, কমল দাশগুপ্ত প্রমুখ। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কৃষ্ণচন্দ্র দে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শচীন দেববর্মণ, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, মান্না দে, কিশোরকুমার, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। 

বাংলা চলচ্চিত্র ও মূলধারার হিন্দি চলচ্চিত্র কলকাতায় সমান জনপ্রিয়। শহরের ফিল্ম স্টুডিও টালিগঞ্জে অবস্থিত; এই কারণে বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পকে "টলিউড" নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। সত্যজিৎ রায় কলকাতার একজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯১ সালে তিনি তার সারা জীবনের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ অস্কার পুরস্কার পেয়েছিলেন।

তার জন্ম ও কর্মস্থল ছিল কলকাতা। সেই জন্য তার বহু ছবিতে কলকাতার জীবনযাত্রার ছবি ধরা পড়েছে। ১৯৭০-এর দশকে সত্যজিৎ রায় সমকালীন কলকাতাকে আর্থ-সামাজিক সমস্যাগুলিকে কেন্দ্র করে নির্মিত তিনটি ছবি পরিচালনা করেছিলেন। এগুলি হল প্রতিদ্বন্দ্বী , সীমাবদ্ধ ও জন অরণ্য । এই তিনটি ছবি "কলকাতা ট্রিলজি" নামে পরিচিত।

সত্যজিৎ রায় ছাড়াও একাধিক কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালকের কর্মজীবন গড়ে উঠেছে এই শহরকে কেন্দ্র করেই। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মৃণাল সেন , তপন সিংহ, ঋত্বিক ঘটক  এবং আধুনিক চিত্র পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, অপর্ণা সেন, গৌতম ঘোষ ও ঋতুপর্ণ ঘোষ  কলকাতার বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সুচিত্রা সেন, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

কলকাতার উৎসবগুলি প্রকৃতিগতভাবে দুই প্রকার। যথা: ধর্মীয় উৎসব ও ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব। কলকাতার জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় হিন্দু উৎসবগুলি এই শহরে সর্বাধিক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। দুর্গাপূজা কলকাতার বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব।প্রতিবছর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে আশ্বিন-কার্তিক মাসে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

কলকাতার দুর্গাপূজা শহরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণও বটে। হিন্দুদের অন্যান্য উৎসবগুলির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, জগদ্ধাত্রী পূজা, পৌষ সংক্রান্তি, সরস্বতী পূজা, শিবরাত্রি, দোলযাত্রা, পয়লা বৈশাখ, রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী ও বিশ্বকর্মা পূজা;এবং অবাঙালি হিন্দুদের উৎসবগুলির মধ্যে দীপাবলি, ধনতেরস ও ছটপূজা সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামি উৎসবগুলির মধ্যে ঈদুল ফিতর, ঈদুজ্জোহা, মহরম, শবেবরাত ইত্যাদি; খ্রিষ্টান উৎসবগুলির মধ্যে বড়দিন ও গুড ফ্রাইডে; বৌদ্ধ উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা; জৈন উৎসব মহাবীর জয়ন্তী এবং শিখ উৎসব গুরু নানক জয়ন্তীও মহাসমারোহে পালিত হয়।

ছবি ও তথ্য – ইন্টারনেট 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন