শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ , ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

ফিচার
  >
ব্যক্তিত্ব

নীলুফার ইয়াসমিন: বাংলা গানের স্নিগ্ধময়ী সঙ্গীতশিল্পী

নিউজজি ডেস্ক ১০ মার্চ , ২০২৫, ১৪:৩০:১৯

108
  • ছবি: ইন্টারনেট

বিখ্যাত পরিবারের সদস্য তিনি। বোন সাবিনা ইয়াসমিন ও ফরিদা ইয়াসমিন দেশের বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী। স্বামী খান আতাউর রহমান কিংবদন্তি নির্মাতা, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক। আবার একমাত্র সন্তান আগুন, তিনিও জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা।

না, এসব পরিচয় দেয়ার কোনো মানে হয় না। কারণ নীলুফার ইয়াসমিন নিজেই একজন বরেণ্য শিল্পী। বাংলা গানের স্নিগ্ধ সঙ্গীতশিল্পী তিনি। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন একুশে পদকও। গুণী এই সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৩ সালের ১০ মার্চ তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের শুরু থেকে আমৃত্যু একজন নিয়মিত শিল্পী হিসেবে গান গেয়েছেন নীলুফার ইয়াসমিন। এছাড়া তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও গান করেছেন। যেমন- শুভদা, অরুণ-বরুন-কিরণমালা, জোয়ার ভাটা, আবার তোরা মানুষ হ, সুজন সখী, যে আগুনে পুড়ি, জীবন-তৃষ্ণা , জলছবি ইত্যাদি।

নীলুফার ইয়াসমিনের গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- এক বরষার বৃষ্টিতে ভিজে, এতো সুখ সইব কেমন করে, তোমাকে পাবার আগে, আগুন জ্বলেরে, জীবন সেতো পদ্ম পাতার শিশির বিন্দু, পথের শেষে অবশেষে বন্ধু তুমি, যদি আপনার লয়ে এ মাধুরী, এত কান্নাই লিখা ছিল ভাগ্যে আমার, যে মায়েরে মা বলে কেউ ডাকে না, প্রতিদিন সন্ধ্যায়, মাগো আমার যে ভাই, এখনো কেন কাঁদিস ও পাখি, ফুলে মধু থাকবেই, নীল পাখি ওরে, দিওনা দিওনা ফেলে দিও না।

১৯৯৫ সালে নীলুফার ইয়াসমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগের নজরুল সঙ্গীত বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত সেখানেই নিয়োজিত ছিলেন।

শিল্পী হিসেবে নীলুফার ইয়াসমিনের জনপ্রিয়তা শুধু দেশের গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বিদেশেও ছিল ব্যাপক। তিনি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ফ্রান্স, পাকিস্তান ভ্রমণ করেন এবং সঙ্গীত পরিবেশন করে প্রচুর প্রশংসা অর্জন করেন।

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে নীলুফার ইয়াসমিন বাচসাস পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, নজরুল সঙ্গীতে অবদান স্বরূপ নজরুল পদক ও একুশে পদক-সহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছিলেন।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগে নজরুল সঙ্গীতে তার অবদানের কথা চিরস্মরণীয় করে রাখতে তার নামে নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগে পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে।

নিউজজি/পিএম/নাসি 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন