শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ , ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার
  >
ভ্রমণ

মেঘের ছোঁয়া সাজেক চূড়ায়

মোঃ হুমায়ূন কবির লিঠু ১৯ ডিসেম্বর , ২০১৯, ১৭:১২:৩৬

18K
  • ছবি: মোঃ হুমায়ূন কবির লিঠু

চল না ঘুরে আসি,

মেঘ পাহাড়ের পথেতে,

যেখানে মেঘেদের দমকা মিছিলে,

ডানা মেলে উড়ব সকলে।

চল না ঘুরে আসি,

গগন ছোঁয়া পাহাড় চূড়ায়।

যেখানে দৃষ্টি দিলে মনটা জুড়ায়।

হৃদয় যে প্রশান্তি কুলায়।

যার তুলনা নাই রে,

যার তুলনা নাই।

সে যেন মেঘ কুয়াশার মায়াবী “সাজেক”।।

উন্মাদনার শুরুটা এভাবেই, সেখান থেকেই সাজেক ভ্রমণ পূর্ববর্তী উত্তেজনার সূচনা। অপরুপ মায়াবী সাজেকের সৌন্দর্য নিয়ে কতই না আগ্রহ, রুটিন আড্ডা-মিটিং, ভ্রমনের পূর্ব রাতে চূড়ান্ত সাক্ষাতকার; যেন দারুচিনি দ্বীপ সিনেমার দৃশ্যমান প্রতিচ্ছায়া লক্ষণীয় আমাদের সপ্নডানার সকল ক্লান্তিবিহিন স্বপ্নদ্রষ্টা ডানা মেলা পাখিদের। যে পাখিরা উদগ্রীব হয়ে মুখিয়ে ছিল প্রতীক্ষার অপরুপা সাজেকে মেঘের সংস্পর্শে ডানা ছেড়ে উড়াল দেবার অপেক্ষায়।

বাস বা ট্রেনে নয়, বরং মোটরসাইকেল যোগে মেঘ পাহাড়ের পথে ভ্রমণটা একটা ভিন্ন মাত্রা নিয়ে এসেছিল। মিরপুর পল্লবী হতে ১০ টি বাইকে ১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখে আমরা ১৯ জন যাত্রা শুরু করি। স্বপ্নদ্রষ্টা পাখিরা হল, লিঠু, আল-আমিন, সম্রাট, রুবেল, জুবায়ের, শেফা, রাজু, মাসুদ, তৈয়ব, তুষার, নিরব, সোহাগ, ইমরান, অনিক, তানভীর, জহির তুষার এবং মাহাদি। এদিকে রনি আর ফিরোজ বাইকে ধারকতা না থাকায় বাসে রওনা করে। সম্মুখভাগের রাহাবার ছিল জুবায়ের এবং পেছনাংশের জিম্মাদারিতে ছিল মাহাদি। তারা সহ সকল বাইকাররা কিছু বিচ্ছিন্ন মুহূর্ত ছাড়া দায়িত্বশীল বাইকিং করেছে আলহামদুলিল্লাহ্‌। রাত ৮:০০ টায় পল্লবী থেকে সবাই যাত্রা শুরু করে সবাই হানিফ ফ্লাইওভারে উঠার পূর্বক্ষণে চঞ্চল চালক আল-আমিন ফ্লাইওভারের ক্রসিং এর সাথে সজোরে মাথায় আঘাত পায়। এই সামান্য ফাড়ার মধ্য দিয়ে আল্লাহ যেন বুঝিয়ে দিল, পুরোটা পথ খুব সতর্কতার সাথে চলতে হবে। তারপর সবগুলো বাইক ক্রমানুসারে সাজিয়ে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া সেরে নিয়ে শৃঙ্খলার সাথে একটানা বাইকিং করে কুমিল্লার মিয়ামি রেস্টুরেন্টে রাতের খাবারের বিরতি নিই। বেশ দীর্ঘক্ষণ বাইকিং এর পর খিচুরি দিয়ে ভোজন শেষে সবারই শরীরটা একটু ছেড়ে দিয়েছিল। ব্যাপার না, গা ঝাড়া দিয়ে আবার যাত্রা শুরু।

ঝিরিঝিরি ঠাণ্ডা হাওয়ায় টানা ২ ঘণ্টার বাইকিং এর পর চট্টগ্রামের বারইহাট। তখন চা-কফির মাঝারি মাত্রার একটা যাত্রা বিরতি সবারই প্রাপ্য ছিল, তাই ভুল না করে নিজেদের চাঙা করে নিলাম। কারন এবারই সূচনা করতে হবে দুঃসাহসিক এই অভিযানের, ঢুকে পরলাম ভয়ংকর কুয়াশাচ্ছন্ন, আঁকাবাঁকা, কোণাকোণি, উচু-নিচু, সরু, পিচঢালা খাগড়াছড়ির রাস্তায়। মধ্যরাত্রি হওয়ায় অন্যান্য ছোট যান না থাকায় বড় কোন দুর্ঘটনার আশংকা কিছুটা কম থাকলেও ঘন কুয়াশায় বন্ধু জহির তুষারের চশমা ঘোলা হয়ে বড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলেও সহবাইকারদের সহযোগিতায় ও আল্লাহর কৃপায় বিপদমুক্ত হয়। ধন্যবাদ তৈয়বকে, সে পরে বাকি ঝুঁকিপূর্ণ পথ তুষারের প্রতিস্থাপক বাইকারের ভুমিকা দক্ষতার সাথে পালন করে। ঘন কুয়াশার প্রকোপ কিছুটা লাঘবের জন্য ফজর পর্যন্ত আমরা রামগড় পৌরসভা ভবনের সামনে ৩০-৪০ মিনিটের বিরতি বিরতিতে হালকা চা-নাস্তা ও নামাজ সেরে নিলাম।

তারপর আবার রওনা করে পথিমধ্যে একবার ফটো সেশন বাদে বিরতিহিনভাবে খাগড়াছড়ি শহরে সকাল ১০ টার খানিক আগে পৌছাই।

এদিকে বাসে রওনা করা রনি আর ফিরোজ ফজর ওয়াক্তেই খাগড়াছড়ি পোঁছে আমাদের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষমাণ ছিল। বেশ তাড়াহুড়োর সাথে সব্বাই ডিম, পরোটা, সবজি দিয়ে সেরে নিলাম সকালের নাস্তা, এখনও দীর্ঘ ৭০ কিঃমি পাহাড়ি রাস্তা পেরিয়ে দেখা মিলবে সেই কাঙ্ক্ষিত মায়াভরা সাজেক। বাসে আসা দুই বন্ধু একটি চান্দের গাড়িতে যাবার বন্দোবস্ত করে নেয় আর আমরা বাইকাররা আনুমানিক দেড় ঘণ্টা চমৎকার পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা পাড়ি দিয়ে মূল সাজেকের রাস্তায় প্রবেশের পূর্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট তথ্য প্রদানের জন্য বাঘাইহাট সেনাক্যাম্পে পোঁছালাম। তথ্য প্রদান শেষে একটু সামনে এগিয়ে মাসালং ক্যাম্পের পিছনে চান্দের গাড়ির লম্বা সারি থাকলেও তা উপেক্ষা করে সম্মখে থাকার সুযোগ হয় আমরা বাইকার হওয়ায়। মাসালং থেকে শেষ ১৪ কিঃমি পাহাড়ি রাস্তার ধারের কুঠি বাড়িগুলোর বাচ্চারা প্রত্যেককে হাত নেড়ে আতিথিয়তা বিনিময়, সরু আঁকাবাঁকা পাকা রাস্তায় চলতে চলতে অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগের সেই মুহূর্তের অনুভূতি কিভাবে বর্ণনা করব?? তবে এই পথে বাইকিং এ যথেষ্ট ঝুকিও ছিল বটে, বিশেষ করে শেষ ১ কিঃমি পথ ছিল অতীব চ্যালেঞ্জিং এবং এই পথের জটিলতার শিকার হয় আমাদের একটি বাইক। আমরা প্রতীক্ষিত সাজেক ভ্যালির চূড়ায় পোঁছে দেখি ইমরান আর অনিক নেই। ঐ শেষ ১ কিঃমি পথের কোন এক ঢালুতে পড়ে যায় ওরা, পরে ইমরান সিঙ্গেল চালিয়ে আসে আর দীর্ঘ সময় পর পায়ে হেঁটে ট্র্যাকিং করে অত্যন্ত পরিশ্রান্ত অবস্থায় ফিরে আসলে আমাদের স্নায়ুচাপ স্বাভাবিক হয়। ওদিকে চান্দের গাড়িতে আসা রনি ও ফিরোজ অনায়াসেই আমাদের সাথে মিলিত হয়ে যায়। সময় তখন দুপুর ১:৩০, পূর্ব বুকিং দেয়া অবকাশ কটেজের সামনে দাড়িয়ে রুম বুঝে পাবার অপেক্ষার সময়ে একে অপরের পানে দৃষ্টি দিয়ে দেখি প্রত্যেকের বিধ্বস্ত রুপ, সেকি ক্লান্তির ছাপ অথচ নিরব নামক অতি দায়িত্ববান ছোকরাটায় সব রুমের চাবি পেয়েও আমাদের বাইরে দাড় করে রেখে গোসল সেরে বেড়িয়ে এসে আমাদের কটেজে প্রবেশ করতে বলে। সবাই কিঞ্চিৎ চটলাম ঠিকই তবে বেহায়াটা একটু মুচকি হেসে সব হজম করে নিল। অবকাশ কটেজের তৃতীয় তলা পুরোটা আমাদের বুকিং ছিল, উঁচুতে হওয়ায় বারান্দা থেকে ভিউ ছিল অবর্ণনীয়ও। সবাই পরিচ্ছন্ন হয়ে ভক্তির সাথে দুপুরের খাবার সেরে ঘণ্টা দেড়েক সময় নিলাম অত্যাবশ্যকীয় ঘুমের জন্য।

সতেজ ঘুম শেষে সবাই চা-পানি খেয়ে স্নিগ্ধ বিকেল বেলায় বেড়িয়ে গেলাম অপরুপ সাজেকের রুপ, মাধুর্যের সঙ্গে মিশে ডানামেলা পাখির বেশে হারিয়ে যেতে। সেদিন সাজেক ছিল মায়াবী, দৃষ্টিনন্দন, নয়নাভিরাম; মন জুড়ানো গগনে মেঘের মিতালী, সূর্যাস্তের অতুলনীয় দৃশ্যের স্মৃতি ধারন করতে ফটো সেশনও কম হল না।

স্বর্ণালী সন্ধ্যা পেরিয়ে হালকা শীতল হাওয়ায় মুখরিত রাতের অনেকটা সময় হ্যালিপ্যাডে কাটিয়ে রাতের খাবার শেষে কটেজে গিয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিই, কারন পরদিন সকাল ১০ টায় সাজেক ভ্যালি ছেড়ে যেতে হবে। আর ঘুম, হইলে তো হইছিলই; সবাই কটেজে গিয়েই আড্ডার আসর সাজালাম, আনন্দ হৈচৈ, সুস্থ-অসুস্থ বিনোদন, বারান্দায় পসলা পসলা মেঘের ছোঁয়ার সেই অনুভূতি বলে বোঝানোর নয়। এরই মধ্যে মাঝ রজনীতে উন্মাদনার চরমে গিয়ে হ্যালিপ্যাডে অবস্থান নিয়ে মনের আনন্দে নেচে-গেয়ে, আড্ডা, মজা করে সাজেককে জানিয়ে দিলাম, তোমার আমন্ত্রণে আমাদের ভ্রমণের সার্থকতা শতভাগ তৃপ্ত হয়েছে। ঊষা লগণে কংলাক পাহাড় থেকে সূর্য উদয় দেখার পূর্ব পরিকল্পনা থাকলেও সারারাতের আমোদপ্রমোদের পর সামান্য ঘুমোতে গিয়ে তা অধরাই থেকে গেল বটে, তারপরও শেষ বিদায়ের আগে কংলাক দর্শন নিয়ে তাকে সুপ্রভাত জানিয়ে আসি। কংলাকের আপ্যায়নে ছিল পাহাড়ি লাল আঁখ এবং পাকা পেপে।

মিষ্টি রোদেলা ২১শে ফেব্রুয়ারির সেই প্রভাতে কংলাক চূড়া থেকে সাজেককে দেখে এমনই মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে গেলাম, যেন প্রত্যেক ফুল, পাখি, মেঘ আবেগী চাহনিতে আমাদের কানে প্রতিধ্বনি দিয়ে বলছিল সপ্নডানার ভ্রমণ পিয়াসীরা যেও না, থেকেও যাও আরও একটা দিন।

কিন্তু নির্মম বাস্তবতাকে মেনে কংলাককে আবার আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সকাল ১০ টার মধ্যে কটেজ ছেড়ে হালকা চা-নাস্তা সেরে প্রত্যেকের বাইক সারিবদ্ধ করে সাজেক পানে শেষ দৃষ্টি দিয়ে প্রিয় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম।

সাজেকে ওঠার আর নামার অ্যাডভেঞ্চার কিন্তু আলাদা। অত্যন্ত সাবধানতার সাথে প্রতিটা ক্ষণ সুক্ষ নজরে অতি বিপদজনক ৩ কিঃমিঃ পথ অতিবাহিত করে তাড়াহুড়ো ছাড়া ঠাণ্ডা মেজাজে স্বাভাবিক গতিতে সেই চমৎকার পাহাড়ি পথ দিয়ে খাগড়াছড়ি শহরে এলাম। মধ্যাহ্নভোজ সেরে রনি ও ফিরোজকে বাসে উঠিয়ে দিয়ে আমরা যথারীতি গন্তব্যস্থলের দিকে আবারও বাইক প্রারম্ভ করলাম। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা সেই চেনা পথে লম্বা বাইকিং করে পথিমধ্যে গতদিনে সময় পার করা ঐ রামগড় পৌরসভার সামনে আবারও ঘণ্টা খানেকের যাত্রা বিরতি নিয়ে নিলাম। সামান্য শুকনো নাস্তার পাশাপাশি রাজু আর নিরব পুকুরে গোসলও সেরে নিল। শেষ বিকেলের আলো থাকতে থাকতেই পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা পার করে বারইহাট পোঁছালাম। ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত বাইকার আর পিলিওনেরা মোটামুটি দীর্ঘ সময় নিয়ে ভারিখাবার খেয়ে কফি পান করে নিলাম। সাঁঝ পেরিয়ে গেছে, এখনও যেতে হবে অনেকটা পথ, বাসের দুই বন্ধু ইতোমধ্যে বিস্তর এগিয়ে গিয়েছে। বিরতিহীন ঢাকা পৌঁছাবার চিন্তা করলেও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এসে আমার বাইকার রুবেল চাচ্চু তার শ্বশুরবাড়ি যাবার বায়না ধরে, এমন বায়নায় না করি কিভাবে; চাচ্চুকে বিদায়ের পর শরীর, মন চনমনে করতে চা বিরতি শেষে কিছু পথ এগোতেই খুবই অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক ভাবে মাসুদ-রাজুর বাইকটি একটি গ্যারেজের গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনা ঘটে। তবুও সৌভাগ্য এই যে, দুটি বাইক বাদে বাকিরা দ্রুত সময়ের মধ্যে একত্রিত হয়ে ওদের প্রাথমিক সেবা দেবার পাশাপাশি ঘাতক গাড়িটি আটকিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিই। ওয়ান ওয়ে হওয়ায় সামনে এগিয়ে গেলে পেছনে ফেরা অসম্ভব, তাই তানভীর আর ইমরানের বাইক সামনে এগিয়ে যাওয়ায় কোন কারনে তানভীর পেছনে না ফিরলেও ইমরান তার পিলিওন অনিককে নিয়ে বাড়তি ৪০ কিঃমিঃ ঘুরে এসে আমাদের বিপদ মুহূর্তে যুক্ত হয়। সকলের সম্মিলিত শক্তিতে মাসুদের বাইকের ক্ষতিপূরণও আদায় করতে সমর্থ হই। রাজু ও মাসুদ আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় চালক-পিলিওনে কিছুটা রদবদল এনে আবার যাত্রা করলাম। অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক সময়ে বাড়ি ফিরতে না পারলেও রাত ১২-১৩ টার মধ্যে পোঁছাবার আশা করেছিলাম কিন্তু সে আশাও নিরাশ হয় দীর্ঘ যানজটে। ইতোমধ্যে বাসে আসা রনি ও ফিরোজ ভালভাবে পৌঁছে যায়। তখন মোটামুটি সবার সাথে ঢাকায় অপেক্ষমাণ স্বজনেরা যোগাযোগ চালাতে পারছিলো না মোবাইলে চার্জ খতম হয়ে যাওয়ায়। অবশেষে ঢাকা – সাজেক – ঢাকা আনুমানিক ৬৯০ কিঃমিঃ দুঃসাহসিক বাইক যাত্রার সমাপ্ত হয়।

অসাধারণ, স্মরণীয়, শিক্ষণীয়, দুঃসাহসিক, রোমাঞ্চকর, প্রাণবন্ত এই ভ্রমণ ছিল প্রতীক্ষা আর অধরার অসম সমীকরণ, মিল বন্ধনের সার্থক বোঝাপড়া, প্রত্যাবর্তনে বেদনার নীল ক্ষত, মেঘ-কুয়াশার আলতো স্পর্শের পরম অনুভূতি; ইচ্ছা-অনিচ্ছা, প্রত্যাশা-অপ্রত্যাশা, আনন্দ, উত্তেজনা আর উৎফুল্লতার উষ্ণ প্রতিফলন।

তাইতো আমরা সপ্নডানার ভ্রমণ পিয়াসীরা আজও বারংবার গেয়ে যাই-

আজ বাধ ভাঙার দিন, সবুজ ছোঁয়ার দিন

আজ স্বপ্নডানার ভ্রমন পিয়াসীদের মুক্ত আকাশে ছুটে চলার দিন…

সাজেক, তুমি সবুজ ক্যানভাস

সাজেক, তুমি নীল পাহাড়ের ডাক

সাজেক, তুমি দিগন্তের প্রাণ

সাজেক, তুমি স্বপ্ন ডানার গান…

সাজেক, তুমি রাঙামাটির হাতছানি,

বনে-বনে, পাহাড়ে-পাহাড়ে তুমি ভ্রমণ পিয়াসীর স্বপ্নরানী…

আজ বাধ ভাঙার দিন, সবুজ ছোঁয়ার দিন

আজ স্বপ্নডানার ভ্রমন পিয়াসীদের মুক্ত আকাশে ছুটে চলার দিন…

চলো ছুটে চলি পাখির ডানায়

উড়ে যাই কোন সুদূর অজানায়,

সাজেক তুমি নীল পাহাড়ের কাব্য,

তুমি এলোমেলো পাহাড়ী পথের ছুটে চলা গল্প...

সাজেক তুমি ভ্রমণ পিয়াসীর স্বপ্নডানায়।।

 

নিউজজি/এল

 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন