নিউজজি ডেস্ক ১৩ ফেব্রুয়ারি , ২০২১, ১৪:১৭:৪৪
সংগৃহীত
ঢাকা: মেঘালয়ের শীতের হিমেল বাতাসকে বিদায় দিয়ে আসছে বসন্ত। পাতা ঝরে পড়ে গাছ গাছে সুবজ পাতার কুঁড়ি বিকশিত হচ্ছে। এরই মধ্যে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর শিমুল বাগানে ফুটতে শুরু করেছে বসন্তের শিমুল ফুল।
তাহিরপুরের মানিগাঁও গ্রামে যাদুকাটা নদীর তীর ঘেঁষে ১০০ বিঘা জমির ওপর তিন হাজার শিমুল গাছ নিয়ে গড়ে ওঠেছে এই শিমুল বাগান। সুহালা গ্রামের প্রয়াত শিক্ষানুরাগী ও ব্যবসায়ি জয়নাল আবেদীন বাগানটির প্রতিষ্ঠা করেন বাণিজ্যিকভাবে তুলা উৎপাদনের জন্য। কিন্তু এখন সুবিশাল শিমুল বাগান পর্যটকদের অন্যতম ভ্রমণ তীর্থ হয়ে ওঠেছে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দল বেঁধে পর্যটকরা শিমুল বাগানের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসেন। বসন্তের শুরুতেই কিছু কিছু গাছে সীমিত আকারে শিমুল ফুল ফুটেছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে পুরো বাগানে ফুল ফুটে উঠবে। ফুল ফুটুক বা না ফুটুক প্রকৃতি প্রেমীরা ছুটির দিনসহ বিশেষ দিনগুলোতে বেড়াতে আসেন। তারা উপভোগ করেন শিমুল বাগানের অপার সৌন্দর্য্য ও যাদুকাটা নদী।
ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে সুনামগঞ্জ আবদুজ জহুর সেতুর মোড়ে নেমে মোটরসাইকেল বা সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে শিমুল বাগান থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগবে। বাস ও সিএনজি ভাড়া আসা যাওয়া বাবদ খরচ হবে তিন হাজার টাকা।
বাগান মালিক ও বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাখাব উদ্দিন বলেন, বাগানে শিমুল ফুল ফুটতে শুরু করেছে। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে পুরো বাগানে ফুল ফুটবে। তারপরও পর্যটকদের আনাগুনা থেমে নেই। করোনাকালেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা শিমুল বাগান দেখতে আসেন।
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব সময় পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসে। তবে শীতে পর্যটকের সংখ্যা অনেকগুণ বেড়ে যায়। ছুটির দিনে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় হয়। তবে শিমুল গাছে ফুল ফুটার পর থেকে ঝরে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত শতশত পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকে বাগান। এখানে এসে অনেকেই বনভোজন করেন। পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনের জন্য স্থানীয়ভাবে সুসজ্জিত ঘোড়ার ওপর ওঠে ছবি তোলার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া, তাদের সুবিধার জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হয়।
নিউজজি/আইএইচ