নিউজজি ডেস্ক ৯ জানুয়ারি , ২০১৯, ১৩:৩১:৪০
বিশ্বরঙ এ ব্রাইডাল কালেকশন
প্রাচীনকালের মিহি মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে জামদানি শাড়ি বাঙ্গালী নারীদের অতি পরিচিত ছিল। মসলিনের উপর নকশা করে জামদানি কাপড় তৈরি করা হয়। জামদানি বলতে সাধারণতঃ শাড়িকেই বোঝানো হয়। তবে জামদানি দিয়ে নকশী ওড়না, কুর্তা, পাগড়ি, রুমাল, পর্দা প্রভৃতিও তৈরি করা হত।
এদেশের অন্যতম ফ্যাশন ব্রান্ড “রঙ” ১৯৯৪ সাল থেকে ভিন্নধর্মী কাজের জন্যই ফ্যাশন সচেতনদের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সিক্ত, অবনত চিত্তে সেই ভালোবাসারই প্রতিদান আজকের “বিশ্বরঙ”। বিগত সময়ে বাংলাদেশের ফ্যাশন জগতে ফ্যাশন সচেতনদের জন্য অন্তঃপ্রান প্রচেষ্টার ফসল তার নিরীক্ষামূলক কাজ। এ দেশের ঐতিহ্য- শখের হাড়ী, নকঁশী পাখা, বাংলার পটচিত্র, রিক্সা মোটিফ, কান্তজী মন্দির টেরাকোটার মত মহামূল্যবান মোটিফকে পোশাকের অলংকরণ হিসেবে ব্যবহার করে দেশীয় ফ্যাশনকে নিয়ে যেতে চেয়েছেন সমৃদ্ধির শিখরে।
জামদানির পূর্ণবিকাশের বিপননে শাড়িকে সমুন্নত রেখে ভিন্নমাত্রায় প্যাটানের ব্যাবহার করে নতুন রূপ দিয়েছেন জামদানির লেহেঙ্গা, শেরওয়ানি, পাঞ্জাবি, উত্তরীয়, প্রিন্সকোট ইত্যাদিতে। দেশীয় বিয়ের পোশাকের সংস্কৃতিকে বিদেশী পোশাক সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে উত্তরনের সামান্য প্রচেষ্টা মাত্র। মূলত জামদানি বংশপরম্পরায় একটি বয়ন শিল্প মাধ্যম। বর্তমানে বিপনন সংকটে এ বয়ন শিল্প, বয়ন শিল্পিরা এ পেশাথেকে বিপনন সংকটের কারনেই ঝুকছে অন্য পেশায়। এ সংকট থেকে উত্তরনের মাধ্যমেই সম্ভব আমাদের এই ঐতিহ্যকে সমুন্নতরাখা। এ সংকট থেকে উত্তরনের পথ দেখাতেই জামদানির ভিন্ন ভিন্ন ব্যাবহারের মাধ্যম নিয়ে নিরিক্ষা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন বিপ্লব সাহা। ব্যাবহার যত বেশি হবে বিপনন তত বেশি হবে। বাঁচবে শিল্প, বাঁচবে বয়ন শিল্পি, আমরা ফিরে পাবো আমাদের সোনালী ঐতিহ্য।