শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ , ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জীবনযাত্রা
  >
ফ্যাশন

ডিসিআরইউ বর্ষসেরা ফ্যাশন ডিজাইনার আনিসুজ্জামান আনিস

নিউজজি প্রতিবেদক ১৪ জুন , ২০১৯, ০০:২১:২০

3K
  • ডিসিআরইউ বর্ষসেরা ফ্যাশন ডিজাইনার আনিসুজ্জামান আনিস

ঢাকা কালচারাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিসিআরইউ) প্রবর্তীত ‘ডিসিআরইউ শোবিজ এ্যাওয়ার্ড-২০১৮’-এর বর্ষসেরা ফ্যাশন ডিজাইনারের পুরষ্কার পেলেন আনিসুজ্জামান আনিস। সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে এই এ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম খালিদ এম.পি।

আধুনিক বিশ্বে পোশাকের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বেড়েছে, বেড়েছে সচেতনতাও। পোশাকে নকশার ক্ষেত্রে পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ পরিবর্তনের কারণটাই ফ্যাশন ডিজাইনকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। সে হিসেবে গত পাঁচ বছরে আমাদের দেশে গড়ে উঠেছে অনেক মেধাবী ফ্যাশন ডিজাইনার। 

সৃজনশীলতাই একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার প্রথম শর্ত। নতুন কিছু করার মাধ্যমেই এ পেশায় অর্জন করা যায় ভিন্ন একটি পরিচয়। এই প্রজন্মের তেমনই একজন মেধাবী ফ্যাশন ডিজাইনার আনিসুজ্জামান আনিস। যার ডিজােইনে প্রতিনিয়ত দেখা মিলে নতুনত্ব এবং বিষয়-বৈচিত্র্যতা। যা এরই মধ্যে সর্বস্তরের ফ্যাশন সচেতনদের নজর কেড়েছে।

সেরা ডিজাইনারের পুরষ্কার প্রাপ্তি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আনিসুজ্জামান আনিস বলেন, ‘আমি প্রথমে মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ডিসিআরইউকে অনেক ধন্যবাদ যে, তারা এত এত ডিজাইরারের মধ্য থেকে আমাকে নির্বাচন করেছেন। আমার কাজের মূল্যায়ন করেছে। আমি মনে করছি এটা আমার সাধনারই ফল। দীর্ঘদিন এমন একটি চ্যালেঞ্জিং কাজে জড়িয়ে আছি। আমি মনে করি ফ্যাশন সময়ের বাহন। মূলত ফ্যাশন নিয়ে নিজের ভাবনাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এই পেশায় জড়িয়েছি। প্রমান হলো কোন চেষ্টাই বিফলে যায় না। ডিসিআরইউর এই স্বীকৃতি আমাকে আরো দায়িত্ববান করবে বলে মনে করছি।’

এই পেশায় সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয় কোনটি? এমন প্রশ্নের উত্তরে আনিস বলেন, ‘ফ্যাশনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয় হচ্ছে ক্রেতাসাধারণের পছন্দ বা চাহিদাটি বুঝতে পারা। কোন সময়ে কোন ফ্যাশন চলবে সেটা বুঝে মৌলিক ডিজাইনের পোশাক তৈরি করাটাই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। এ ছাড়াও বিদেশি পোশাকের ভিড়ে দেশীয় পোশাক তৈরি করে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাটাও বিরাট চ্যালেঞ্জ।’

বর্তমান প্রজন্ম অর্থাৎ নতুন ডিজাইনারদের সম্পর্কে নিজের মূল্যায়নের কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই ভালো করছেন। আমার বিশ্বাস নতুন প্রজন্মের ডিজাইনাররা এই সেক্টরটিকে আরেকটি নতুন মাত্রা দেওয়ার জন্য ক্রিয়াশীল। অবশ্যই আমাদের সেক্টর এগিয়ে চলেছে, নতুন প্রাণ দিচ্ছে নতুন উদ্দীপনা। যারা এ ব্যবসায় আসতে চান, তাদের অবশ্যই এ ক্ষেত্রে ফ্যাশন থাকতে হবে এবং অবশ্যই প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে। ধৈর্য রাখতে হবে। সাফল্যের কোনো শর্টকাট রাস্তা নেই। আপনার মেধা, ধৈর্য, পরিশ্রম ও সততা এবং সঠিক সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত আপনাকে এগিয়ে নেবেই। সবসময় এই বিশ্বাসটা ধারণ করতে হবে।’

নিউজজি/এসএফ

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন