নিউজজি ডেস্ক ২৭ মে , ২০১৮, ১৫:০৯:১১
দর্জি দোকানে চূড়ান্ত ব্যস্ততা
ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নামি-দামি বিপনী বিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানগুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। তবে যারা নিজেদের পছন্দমতো কিংবা একটু ভিন্ন ডিজাইনের ফিটিং পোশাক পরতে পছন্দ করেন ভিড় করছেন রাজধানীর নামদামি থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন দর্জির দোকানে। গ্রাহকদের মনের মতো করে পোশাক তৈরি করতে রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জিবাড়ির কারিগররাও। কাপড় কাটা, সেলাই করা আর ট্রায়াল দেয়ার কাজ নিয়েই এখন জমে আছে দর্জিপাড়া।
কারিগরদের কেউ ব্যস্ত কাস্টমারদের কাপড় অর্ডার নিতে, কেউ আবার ব্যস্ত মাপ বুঝে নিতে, কাপড়ের অর্ডার নিতে এভাবেই কাজের ভিড়ে হিমসিম খাচ্ছেন দর্জিপাড়ার লোকেরা। কোনো কোনো টেইলার্সের মালিক এরই মধ্যে নতুন কারিগরও নিয়োগ দিচ্ছেন। কেউ আবার চাহিদা অনুযায়ী কারিগর খুঁজেও পাচ্ছেন না। তবে যে কোনো প্রকারে কাস্টমারদের মনের মতো পোশাক তৈরি করে তাদের হাতে তুলে দেওয়া পযর্ন্ত এভাবে দর্জিরা ব্যস্ত থাকবেন চাঁদ রাত পযর্ন্ত।
রাজধানীর নামীদামি টেইলাস গুলোর মধ্যে সেঞ্চুরি, আইডিয়াল, টপটেন, ফাইভ মাস্টার, ট্রেস কিং, মিউল্যান্ড, এলিগেন্স অন্যতম। এছাড়া নিউমার্কেট, ইস্টার্ন মল্লিকা, গাউসিয়ার মামনি, শিল্পী, সূচনা, অঙ্গনা, সুরুচি, খান, প্রাইড এসব নামকরা টেইলার্সের সঙ্গে জমে উঠেছে পাড়া-মহল্লার টেইলার্সগুলো।
এ টেইলার্সগুলোতে সুতির কামিজ বানাতে খরচ পড়ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মতো। এক সেট সালোয়ার কামিজ বানাতে খরচ হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। গোল ফ্রক লং ফ্রকসহ আধুনিক ডিজাইনের পোশাক বানাতে খরচ হচ্ছে ৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা পযর্ন্ত। টেইলার্স ভেদে ছেলেদের শার্টের মজুরি ৩৫০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা। প্যান্টের মজুরি ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা। ছোটদের পোশাকের মজুরি নেয়া হচ্ছে ডিজাইন ভেদে ৪০০ থেকে ১০০০টাকা।
ঢাকার দর্জিপাড়াখ্যাত নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, গাউসিয়া, চাঁদনী চক, ইস্টার্ন মল্লিকা, ইর্স্টান প্লাজা ঘুরে দেখা গেছে কারিগররা বিরামহীন সেলাই করে চলেছেন একের পর এক নতুন পোশাক। এরই মাঝে অনেকেরই হাতে তুলে দেয়া হয়েছে নতুন পোশাক। শবেবরাতের পর থেকেই অর্ডার নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তবে ১৫ রোজার পর থেকেই অর্ডার নেওয়া বন্ধ। অনেক কাজ জমা হয়েছে। অর্ডার নিতে হিমশিম খাচ্ছে। চাঁদ রাতের মধ্যেই আবার এসব তৈরি করে দিতে হবে।
৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করা হয়। তবে কারিগর ও কাটিং মাস্টার আরও বেশি থাকলে আরও অর্ডার নেয়া যেত। মেয়েদের ফ্লোর টাচ গাউন, লেহেংগা, লং কামিজের পাশাপাশি সালোয়ার কামিজের বেশি অর্ডার পাচ্ছেন বলে জানান কারিগরেরা।
সব মিলে দর্জিপাড়ার ব্যস্ততা কিন্তু দেখার মতো। দিনরাত খেটেখুটে অপেক্ষা ঈদের দিনটি হাসিমুখে উদযাপন।
ছবি ও তথ্য – ইন্টারনেট