শামীম চৌধুরী জানুয়ারী ২০, ২০২১, ২০:০২:৫১
উইকেট প্রাপ্তির উদযাপন বন্ধু তামিমের সঙ্গে ভাগাভাগি করছেন সাকিব।ছবি-ক্রিকইনফো
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে সাকিব ফিরেছেন গত নভেম্বরে,বঙ্গবন্ধু টোয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে। ফেরাটা তার হয়নি সুখকর। ৯ ম্যাচে ১১০ রানের পাশে পেয়েছেন ওই আসরে ৬ উইকেট।
সর্বশেষ বিশ্বকাপে যে ছেলেটি ২ সেঞ্চুরি,৫ ফিফটিতে ৬০৬ রানের পাশে পেয়েছেন ১১ উইকেট-সেই সাকিবকে বঙ্গবন্ধু টি-২০তে অনেকটা অচেনাই মনে হয়েছে।
তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের সাকিব,আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাকিবের মধ্যে ব্যবধান যে বিস্তর,আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে নেমে অফুরন্ত প্রানশক্তি ফিরে পান,তার দৃষ্টান্ত আরও একবার করেছেন উপস্থাপন।
৪৮৭ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই স্বরূপে হাজির বিশ্বসেরা বাঁ হাতি অল রাউন্ডার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে আছে তার ২ বার ৫ উইকেট, ৯ বার ৪ উইকেট। ফিরেই ৪ উইকেট (৪/৮)। ৬.২-২-৮-৪- সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ডটাও করেছেন সাকিব প্রত্যাবর্তন ম্যাচে।ওভারপ্রতি খরচা মাত্র ১.০৯ ! এর আগে ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল ১০-৪-১১-৩,ওভারপ্রতি খরচা ১.১০! ১২ বছর আগে মিরপুরে সেই কিপ্টে বোলিংয়ের রেকর্ডকে গেছেন ছাড়িয়ে সাকিব ! এমন বোলিংয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ম্যাচে হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ !
ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরমেন্স কখনও কাউন্ট করেন না সাকিব, কাউন্ট করেন আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সিরিয়াসনেটা শো করেন আন্তর্জাতিক ম্যাচে। বুধবার ম্যাচ শেষে অবলীলায় তা বলেছেন বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার-'একটু আগেও আমি ওখানে বলে এসেছি এগুলো আমার কাছে কাউন্ট করে না। এটলিস্ট আমার কাছে নয়। আমার কাছে ম্যাটার করে না। আমার কাছে ম্যাটার করে আমি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব কিভাবে করি। সেদিক থেকে হ্যাপি।'
১৬ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনে ছিল প্রত্যাশার চাপ, পড়েছেন স্নায়ুচাপে। সেই স্নায়ুচাপ উতরে বোলিংয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারলেও ব্যাটিংয়ে (৪৩ বলে ১৯) ম্যাচ ফিনিশ করতে না পারায় পুরোপুরি তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারছেন না সাকিব- 'ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারলে আরো ভালো লাগত।'
পারফর্ম করতে কপালও লাগে, তা মনে করছেন সাকিব-'কেউ কি কোনো কিছু প্রত্যাশা করতে পারে। চেষ্টা সব সময় মানুষ করে। ভালো করা খারাপ করা আলটিমেটলি কপালের ব্যাপার। একজন খেলোয়াড় সব সময় তার দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা করতে পারে।'