ক্রীড়া ডেস্ক ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২১, ১৩:৪৬:৪৭
ছবি: ইন্টারনেট
চেষ্টা করেছিলেন মার্কাস স্টয়নিস ও ড্যানিয়েল স্যামস। কিন্তু একবারে শেষ বেলায় তারা থেমে গেল। যে কারণে আজ ডানেডিনে ছক্কাবৃষ্টির জমজমাট এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ রানে জেতে নিউজিল্যান্ড। এরফলে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কিউরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডের মালিক এই ম্যাচেই হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল।
ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ড আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে তোলে ২১৯ রান। মার্টিন গাপটিল খেলেন ৫০ বলে ৯৭ রানের ইনিংস। কেন উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে আসে ৫৩, শেষ দিকে ঝড় তোলেন জিমি নিশাম। অপরাজিত ছিলেন ৪৫ রানে। রান তাড়ায় ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ায় করতে পারে ২১৫।
বৃহস্পতিবার রান তাড়া করতে নেমে ১৩ ওভারেই ১১৩ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ৪ উইকেট হাতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সামনে তখন ৭ ওভারে ১০৭ রান করার সমীকরণ। সপ্তম উইকেটে স্টয়নিস ও স্যামসের ব্যাটিং তাণ্ডব ও রেকর্ড জুটিতে জমে ওঠে ম্যাচ। সপ্তম উইকেটে তারা ৩৭ বলেই করে রেকর্ড ৯২ রান। ৬ বলে ১৫ রানের সমীকরণ নিয়ে শুরু করা শেষ ওভারের প্রথম বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে স্যামস। ২ চার ও ৬ ছক্কায় ১৫ বলেই ৪১ রান করেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাত্রই চতুর্থ ম্যাচ খেলা স্যামস। সে সময় অজিদের জিততে দরকার ছিল ৩ বলে ১৫ রান। ঠিক তখনই লং অন দিয়ে ছক্কা মেরে দেন স্টয়নিস। তাই সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ৯ রান। কিন্তু পারেননি না স্টয়নিস, পঞ্চম বল মারতে গিয়ে লং অনে টিম সাউদির হাতে ধরা পড়েন তিনি। ম্যাচের ফল নিয়ে সব সংশয়ও শেষ তখনই। যাওয়ার আগে ৩৭ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৮ রান করেছেন স্টয়নিস। শেষ বলটায় ঝাই রিচার্ডসন চার মেরে এরপর শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছেন।
এরআগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কিউইরা টিম সাইফার্টকে হারায় শুরুতে। দ্বিতীয় উইকেটে গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসন গড়েন নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড ১৩১ রানের জুটি। ২৭ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পথে ৪টি ছক্কা মারেন গাপটিল। ফিফটির পর ছক্কা মারেন আরও ৪টি। নবম ছক্কার চেষ্টাই ডেকে আনে বিপদ। সীমানায় দারুণ ক্যাচ নেন স্টয়নিস। সেঞ্চুরি না পেলেও ৮ ছক্কার পথে রোহিত শর্মাকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড নিজের করে নেন গাপটিল। পরে উইলিয়ামসন বিদায় নেন ৩৫ বলে ৫৩ রান করে। শেষ দিকে নিশামের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে কিউইরা পার হয় দুইশ। ৬ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন তিনি ১৬ বলে ৪৬ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নিউজিল্যান্ড : ২০ ওভারে ২১৯/৭ (গাপটিল ৯৭, সাইফার্ট ৩, উইলিয়ামসন ৫৩, নিশাম ৪৫*, ফিলিপস ৮, কনওয়ে ২, স্যান্টনার ০, সাউদি ৬, জেমিসন ০*; স্যামস ৪-০-৪৬-১, অ্যাগার ৩-০-৩০-০, জাই রিচার্ডসন ৪-০-৩৯-১, কেন রিচার্ডসন ৪-০-৪৩-৩, জ্যাম্পা ৪-০-৪৩-১, স্টয়নিস ১-০-১৭-০)।
অস্ট্রেলিয়া : ২০ ওভারে ২১৫/৮ (ওয়েড ২৪, ফিঞ্চ ১২, ফিলিপি ৪৫, ম্যাক্সওয়েল ৩, স্টয়নিস ৭৮, অ্যাগার ০, মার্শ ০, স্যামস ৪১, জাই রিচার্ডসন ৪*, কেন রিচার্ডসন ০*; সাউদি ৪-০-৪৭-১, বোল্ট ৪-০-৩০-০, জেমিসন ৪-০-৫৬-০, স্যান্টনার ৪-০-৩১-৪, সোধি ৩-০-৪১-২, নিশাম ১-০-১০-২)।
ফল : নিউ জিল্যান্ড ৪ রানে জয়ী।
সিরিজ : ৫ ম্যাচ সিরিজে নিউজিল্যান্ড ২-০তে এগিয়ে।
ম্যাচ সেরা : মার্টিন গাপটিল।
নিউজজি/সিআর