সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ , ১৭ রমজান ১৪৪৬

খেলা

আলির বোলিং ঝলক আর হৃদয়-মালানের ব্যাটে চড়ে ফাইনালে বরিশাল

ক্রীড়া ডেস্ক ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৫, ২১:৫৮:০৭

260
  • দাপুটে ইনিংস খেলার পথে তাওহিদ হৃদয় -ছবি: ক্রিকইনফো

তারকা সমৃদ্ধ দল নিয়েও নিজেদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। তবে দলটির মতো ভুল করেনি আরেক তারকা সমৃদ্ধ দল ফরচুন বরিশাল। সোমবার মোহাম্মদ আলির অসাধারন বোলিং নৈপুণ্যে জয়ের ভীত পেয়ে যায় দলটি। পরে তাওহিদ হৃদয় ঝড় আর ডেভিড মালানের সময় উপযোগি ব্যাটিংয়ে ভর করে চিটাগং কিংসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে পৌঁছে গেল তামিম ইকবালের দল। এ নিয়ে এ আসরে টানা ফাইনালে ওঠার রেকর্ডও গড়ল তারা।  

মিরপুরে প্রথম কোয়ালিফায়ারে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে চিটাগং কিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। জবাব দিতে নেমে তাওহিদ হৃদয় (৫৬ বলে ৮২*) ও ডেভিড মালানের (২২ বলে ৩৪*) ব্যাটে চড়ে সহজেই ৯ উইকেট হাতে রেখে ১৬ বল হাতে রেখে  লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ফরচুন বরিশাল। এর সঙ্গে সঙ্গে ফের বিপিএলের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল দলটি। 

ফাইনালের টিকিট নিশ্চিতের লক্ষ্যে সোমবার ব্যাট করতে নেমে ধীরে শুরু করেন বরিশালের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও তাওহিদ হৃদয়। তবে দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে স্বরুপে ফেরার আভাস দেন হৃদয়। এদিকে চতুর্থ ওভারে আলিস আল ইসলামের বলে পরপর দুটি চার হাঁকিয়ে খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তামিম। তবে শেষ পর্যন্ত বরিশাল অধিনায়ক সেটা পারেনি। ইনিংসের ৯ম ওভারে খালেদ আহমেদের করা চতুর্থ বলে খাজা নাফের হাতে ধরা পড়েন। ফেরার আগে তামিম করেন ২৬ বলে ৪ চারে ২৯ রান। 

তামিম ফিরলেও বরিশালের পথচলা থামাতে পারেনি চিটাগংয়ের বোলাররা। এক প্রান্ত আগলে রাখেন হৃদয়। অন্যদিকে ডেভিড মালান খেলেন ধীরে ধীরেই। রান তোলার চাপ খুব একটা না থাকায় এ জুটি সিঙ্গেলস-ডাবলসের ওপর নির্ভর করেই দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেন। এরমধ্যে হৃদয় ১৪তম ওভারেই শুরুতেই আলিস আল ইসলামকে ২টি চার হাঁকান। সঙ্গে সঙ্গে এ ব্যাটার ৪৫ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। এর পরের ওভারেই তিনি খালেদকে ছক্কায় স্বাগত জানান। ১৬তম ওভারে শরিফুলের বলে ৩টি চার হাঁকান হৃদয়। তাতে বরিশালের জয় পাওয়ায় শুধু অপেক্ষাটা বাড়ায়। শেষ পর্যন্ত সেটা শেষ হয় দ্রুতই। সঙ্গে সঙ্গে টানা বিপিএলের ফাইনালে ওঠার আনন্দে মাতে বরিশাল। তাওহিদ হৃদয় ৫৬ বলে ৯ চার ও ২ ছয়ে ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন। এদিকে  ডেভিড মালানের ২২ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।  

এর আগে টস জিতে আগে বল হাতে নামে বরিশাল। শুরুতেই কাজা নাফিকে তুলে নেন কাইল মেয়ার্স। তার দুর্দান্ত এক ইন সুইংয়ে বোল্ড হন পাকিস্তানের এ ব্যাটার। ২ বল খেলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তিনে নেমে ব্যর্থ হন গ্রাহাম ক্লার্কও। ৬ বল খেলে ৬ রান করেন তিনি। একই পথে হাঁটেন মোহাম্মদ মিথুন-হায়দার আলিরাও। টপ অর্ডারের এমন ব্যর্থতায় ৩৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় তারা।

চিটাগংকে টানার চেষ্টা করেন পারভেজ হোসেন ইমন ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। তারা পঞ্চম উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েন । ৩৬ রান করে ইমন ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর  শামীমকে আর কেউই যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। শামীম থামেন ৪৭ বলে ৭৯ রান করে। এই ইনিংস খেলার পথে ২৯ বলে ফিফটি করেন তিনি। যে কারণে লড়াইয়ের পুঁজি পায় দলটি। 

বরিশালের হয়ে মোহাম্মদ আলি একাই শিকার করেন ৫ উইকেট। বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে সোমবার চিটাগং কিংসের বিপক্ষে নতুন বলে মোহাম্মদ মিথুনের উইকেট নেন আলি। পরে শেষ ওভারের ৪টি মিলিয়ে ৪ওভারে ২৪ রান খরচায় তার শিকার ৫টি। প্রায় তিন বছর ও ৩১ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটিই তার প্রথম ৫ উইকেট। চলতি বিপিএলে তার আগে ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন শুধু তাসকিন আহমেদ ও ফাহিম আশরাফ। 

নিউজজি/সিআর/নাসি 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন