রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ , ২৪ মুহররম ১৪৪৭

খেলা

স্যামি বলছেন- পুরানের দেখানো পথে আরও অনেকেই হাঁটবেন

ক্রীড়া ডেস্ক জুন ১২, ২০২৫, ১৩:৫৩:২৯

172
  • ছবি: ইন্টারনেট

মাত্র ২৯ বছর বয়সেই আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার সিন্ধান্ত জানিয়ে দেন নিকোলস পুরান। এরপরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ও ড্যারেন স্যামি জানিয়েছেন, সামনে এই প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।  আগামী দিনগুলোতে ক্যারিবীয়দের জাতীয় দলের মর্যাদার জন্য খেলার জন্য উৎসাহিত করাটাই স্যামির জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে।

টি-টোয়েন্টিতে পুরানই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাত্র ৮ মাস আগে তার অবসরের ঘোষণায় কেউ কেউ অবশ্য অবাক হচ্ছেন না কারণ তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলোর অতিআকাংক্ষিত খেলোয়াড়দের একজন।

২০১২ ও ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জেতানো স্যামি বর্তমানে ক্যারিবীয়দের  কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি  জানিয়েছেন, পুরান অবসরের ঘোষণা দেয়ার আগেই তাকে ছাড়া দল সাজানোর পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছিলেন, ‘আমার অবচেতন মন আমাকে বলছিল এ রকম কিছু হতে পারে। নিকোলাস আমাকে একটা লিখিত বার্তা পাঠিয়েছিল এবং তার এজেন্টের সঙ্গে আমার কথোপকথন হয়...যখন আমরা যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে প্রথম কথা বলি এবং তার সঙ্গে আমার যখন কথা হয়, আমি জিজ্ঞেস করি, "তোমাকে কি শুধু যুক্তরাজ্য সফরের জন্যই পাওয়া যাবে না নাকি অনির্দিষ্টকালের জন্য?" এবং তার প্রতিক্রিয়া থেকেই আমি বুঝতে পারি সবচেয়ে বাজে ঘটনার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত, তার মতো প্রতিভাকে আমার দলে পেতে ভালো লাগবে। কিন্তু আমি কারো ক্যারিয়ার নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না বা করতে চাইও না...আমি তাকে শুভকামনা জানিয়েছি, সে দলকে শুভকামনা জানিয়েছে। এখন সামনে তাকাতে হবে, এখন থেকে নিকোলাস পুরানকে ছাড়াই খেলার পরিকল্পনা সাজাতে হবে। বিশ্বকাপ সামনে রেখে আমাদের সম্মান জানাতে হবে যে, সে আমাদের আগেভাগে বলেছে যে কারণে আমরা তাকে ছাড়া পরিকল্পনা সাজানোর পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছি।’

স্যামি যখন পুরানের অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন, তখন তিনি জানান যে, সাউদাম্পটনে মঙ্গলবারের টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে দলের মিটিংয়ে তিনি তার খেলোয়াড়দের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি গায়ে চাপানো নিয়ে নিজের গর্বের কথা শেয়ার করেছিলেন।

তিনি বলেন,  ‘আমি অবাক হইনি, আমি আজ দলীয় মিটিংয়ে ছেলেদের একটা কথা বলেছিলাম; আমাদের হাতে কিছুই নেই। এটা প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আমি ২০০৪ সালে এই মাঠেই প্রথম ম্যাচ খেলি, আর আজকে আমি গ্যালারিতে সেই একই মানুষদের দেখছি, যারা ২১ বছর আগেও এখানে ছিল। তারা এখনও আসে, খাবার নিয়ে আসে, ঠিক আগের মতোই। তারা এসব করে আসছে বহু আগে থেকেই...স্যার ভিভ রিচার্ডস এবং অন্যদের সময় থেকেই।’

স্যামি এ সময় ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, পুরানের দেখানো পথে সামনের দিনে আরও অনেক খেলোয়াড় ক্যারিয়ারের অল্প বয়সেই একই পথে হাঁটতে পারেন,  ‘আমি মোটামুটি নিশ্চিত সামনের দিনে আরও অনেকেই এই পথে হাঁটবেন। এটাই এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বাস্তবতা। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো জায়গা থেকে আসা আমাদের জন্য ব্যাপারটা আরও কঠিন। আমরা যে ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই, খেলোয়াড়দের ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতীকের জন্য খেলতে উৎসাহিত রাখা—তা খুবই কঠিন। তাই আমি অবাক হই না। সবাই দেখছেন হাইনরিখ ক্লাসেন, কুইন্টন ডি ককের মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। তারা তো অবসরই নিয়ে নিয়েছে। এসব আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’

নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন