রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ , ২৪ মুহররম ১৪৪৭

খেলা

বড় ভাইদের থেকে পাওয়া শিক্ষাটা ক্যাপ্টেনসিতে কাজে লাগাতে চান মিরাজ

ক্রীড়া ডেস্ক জুন ১৩, ২০২৫, ১২:১৫:১৫

114
  • ছবি: ইন্টারনেট

জাতীয় দলে আসার আগে থেকেই নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনায় ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অবশেষে ১ বছরের জন্য এবার তার কাঁধে উঠেছে ওয়ানডের নেতৃত্ব। বিসিবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর নেতৃত্ব পেয়ে শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি। সেখানে তিনি জানান, বড় ভাইদের থেকে পাওয়া শিক্ষাটা ক্যাপ্টেনসিতে কাজে লাগাতে চান। 

জাতীয় দলে মিরাজের ক্যারিয়ারের শুরুটা করেছিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের অধীনে। সব সংস্করণ মিলিয়ে মিরাজ সবচেয়ে বেশি ৪১ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব আল হাসানের অধীনে। মাশরাফি বিন মর্তুজার অধীনে ৩৮ আর তামিম ইকবালের নেতৃত্বে খেলেছেন ৩৫ ম্যাচ। নানা সময়ে তাদের কঠিন পরিস্থিতি সামলে নিতে দেখেছেন তিনি খুব কাছ থেকে। 

মিরাজ জানিয়েছেন, অধিনায়ক হিসেবে তার কাজে আসবে বিভিন্ন সময়ে মাশরাফি–সাকিব আল হাসান–তামিম ইকবালের অধীনে খেলার অভিজ্ঞতা, ‘বাংলাদেশ দলে (ওয়ানডেতে) আমার অভিষেক হয়েছিল মাশরাফি ভাইয়ের অধীনে। আমি (খেলোয়াড় হিসেবে) অনেক অধিনায়ককে পেয়েছি। এটা আমার জন্য ভালো লাগার বিষয় যে তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যেটা আমি হয়তো আমার এই অধিনায়কত্বের সময়ে কাজে লাগাতে পারবো।’

গতকাল বিসিবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর নেতৃত্ব পেয়ে আজ সকালে সংবাদ সম্মেলনে এলেন মিরাজ। জানিয়েছেন, সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি-সাকিবদের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষাটাই কাজে লাগাতে চান নিজে। নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক বললেন, ‘মাশরাফি ভাইয়ের অধীনে আমার অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশ দলে। আমি অনেক অধিনায়ককে পেয়েছি। এটা অবশ্যই আমার জন্য ভালো লাগার বিষয়। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যেটা হয়তো আমি আমার ক্যাপ্টেনসিতে কাজে লাগাতে পারব।’

গত বছর নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে মিরাজ চারটি ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এবার তিনি এক বছরের মেয়াদে বাংলাদেশের অধিনায়ক। খেলোয়াড়দের সহায়তা এবং স্বাস্থ্যকর ড্রেসিংরুমের প্রত্যয় তাঁর, ‘এখন তো অবশ্য আমাদের দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসেছে। আমরা যথেষ্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছি। প্রায় ৮-৯ বছর ধরে খেলেছি। যারা জুনিয়র আছে তাদের অবশ্যই পারফর্ম করতে হবে কীভাবে সেই সাজেস্টগুলো করব, আমরা যখন প্রথম দলে আসি, বড় ভাইয়েরা আমাদের যেভাবে সহায়তা করেছে, চেষ্টা করব ওইভাবেই সহায়তা করতে। ড্রেসিংরুম ওইভাবে রাখার জন্য। যে-ই ড্রেসিংরুমে থাকে না কেন, সে যেন অনুভব করে আমি এক নই, সবাই আছে।’

মিরাজ আরও বলেন, ‘তারা যেভাবে সিদ্ধান্ত নিতো, শক্তভাবে সিদ্ধান্ত নিতো, সে জিনিসগুলো আমি অনুসরণ করেছি যে কীভাবে নিতো। অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতিতে শক্তভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয় নিজের। অনেক সময় পক্ষে আসবে, অনেক সময় আসবে না। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত কীভাবে নিচ্ছেন সেটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।’

টেস্টে মিরাজ এরই মধ্যে শীর্ষ দুই অলরাউন্ডারের একজন হয়েছেন। ওয়ানডে অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়েও তিনি সেরা চারে আছেন। মোহাম্মদ রফিক, মাশরাফি বিন মর্তুজা আর সাকিব আল হাসানের পর মিরাজ ওয়ানডেতে ১০০ উইকেট ও ১ হাজার রানের কীর্তি গড়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে। তবে এবার পুরো দলের পারফরম্যান্স বের করে আনার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তার। এ ব্যাপারে নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন,  ‘বেশি লম্বা সময় থাকলে ভিশনটা ভালো থাকে, যেহেতু সামনে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এটা সম্পূর্ণ বোর্ড কীভাবে চিন্তা করছে, যেহেতু আমরা এখন একটু স্ট্রাগল করছি ওয়ানডেতে। হয়তো চিন্তা করছে, এক বছরে আমরা একটা জায়গায় দাঁড় করাই ওয়ানডে দলটাকে। তারপর হয়তো তারা পরবর্তী ধাপ বা পরিকল্পনা জানাতে পারবে। জিনিসটা কীভাবে করবে, কনটিনিউ করবে নাকি.... । নির্ভর করবে আমাদের আগামী এক বছরে অনেকগুলো খেলা আছে। আমাদের এখন সময় এসেছে ওয়ানডে দলটা একটা জায়গায় দাঁড় করানো।’

নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন