বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ , ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

খেলা
  >
ক্রিকেট

খুলনাকে হতাশ করে বরিশালের টানা ৫ জয়

ক্রীড়া ডেস্ক ২৭ জানুয়ারি , ২০২৫, ১৮:৪৮:২৩

186
  • দারুণ খেলেন মালান- ছবি: ক্রিকইনফো

আগের দুই ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ডেভিড মালান। তবে সোমবার সেই তিনিই উপহার দিলেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। ইংলিশ ব্যাটসম্যানের ফিফটির সঙ্গে অন্য ব্যাটসম্যানদের কার্যকর ইনিংসে কঠিন চ্যালেঞ্জে জিতে গেল ফরচুন বরিশাল। 

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার খুলনা টাইগার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয়ের দেখা পেল ফরচুন বরিশাল। এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনা ২০ ওভারে তোলে ১৮৭ রান। বরিশাল জয় পায় ৫ বল বাকি থাকতে। ১০ ম্যাচে বরিশালের জয় এখন রংপুর রাইডার্সের সমান ৮টি। তবে রান রেটে গিয়ে রংপুর। এই দুই দলই খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে। খুলনার এটি ১০ ম্যাচে ষষ্ঠ হার। প্লে-অফ খেলা আরেকটু কঠিন হয়ে উঠল তাদের জন্য।

দারুণ খেলে ৩৭ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন মালান। কম-বেশি অবদান রাখেন দলের সব ব্যাটসম্যানই। তামিম ২৭, মুশফিক ২৪, মাহমুদউল্লাহ ২৪, ফাহিম ১৮*, ও নাবি করেন ১৫ রান। 

বরিশালের রান তাড়ায় তাওহিদ হৃদয় ব্যর্থ আরেকবার। একটি করে চার ও ছক্কায় ১১ রানেই শেষ হয় তার ইনিংস। সেই ধাক্কা বরিশাল সামাল দেয় মালানের দারুণ ব্যাটিংয়ে। তাকে সঙ্গ দেন তামিম ইকবাল। বরিশাল অধিনায়ক আউট হন ২৫ বলে ২৭ রান করে। জুটিতে রান আসে ৫৬ বলে ৯১, সেখানে মালানের রানই ৬১। সালমান ইরশাদের বলে সীমানায় দারুণ ক্যাচ নিয়ে তামিমকে ফেরান আফিফ। এরপর বল হাতে মালানকে ফিরিয়ে তিনি ম্যাচে ফেরান খুলনাকে।

তামিম-মালানের বিদায়ের পর বরিশালকে পথে রাখেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। তবে দুজনের কেউই কাজ শেষ করতে পারেননি। বদলি ফিল্ডার মাহমুদুল হাসান জয়ের সরাসরি থ্রো থামায় মাহমুদউল্লাহকে (১৩ বলে ২৪)। এরপর আবু হায়দারের বলে শর্ট কাভারে ক্যাচ দেন মুশফিক (১৭ বলে ২৪)।টানা দুই বলে অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কাজ বেশ কঠিন হয়ে যায় বরিশালের। ৩.৩ ওভারে তখন তাদের প্রয়োজন ৩৬ রানের। তবে ফাহিম আশরাফ ক্রিজে গিয়েই চার ও ছক্কা মেরে সমীকরণ সহজ করে ফেলেন। পরের ওভারে হাসান মাহমুদের বলে নাবির বিশাল ছক্কায় ম্যাচ চলে আসে নাগালে। ৬ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ফাহিম, ১০ বলে ১৫ রান করে নাবি।

এরআগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ-নাঈম শেখ ঝড়ে দারুণ শুরু পায় খুলনা। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে মিরাজকে (১৮ বলে ২৯) থামান ইবাদত হোসেন চৌধুরি। এরপর অ্যালেক্স রস দারুণ খেলেন। তাদের জুটিতে আসে ২০ বলে ৫২ রান। এরপর খুলনার রানের গতিও একটু কমে আসে পরের চার ওভারে। নাবির বলে রস বোল্ড হয়ে যান ১৫ বলে ২০ করে।

আফিফ হোসেনের শুরুটা ছিল মন্থর। ১৪ বলে তার রান ছিল ৯। পরে পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি রিশাদ হোসেন ও ইবাদতকে দুটি ছক্কা মেরে। তবে আগের বহুবারের মতো একবার ব্যর্থ হন ইনিংসকে পূর্ণতা দিতে (২৭ বলে ৩২)।

শেষে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সৌজন্যে দারুণ গতি বাড়ায় খুলনা। ১২ বলে ২৭ রান করেন তিনি। যে কারণে বড় পুঁজিই পায় খুলনা। তবে দিন শেষে সেই রান জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি দলটির। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৮৭/৫ (মিরাজ ২৯, নাঈম ৫১, রস ২০, আফিফ ৩২, বসিস্টো ২০*, নাওয়াজ ২, মাহিদুল ২৭*, ফুলার ৩-০-৩২-১, নাবি ৪-০-২২-১, ইবাদত ৪-০-৪৫-১, ফাহিম ৪-০-৪৯-২, তানভির ১-০-১৬-০, রিশাদ ৪-০-২২-০)।

ফরচুন বরিশাল : ১৯.১ ওভারে ১৮৮/৫ (হৃদয় ১১, তামিম ২৭, মালান ৬৩, মুশফিক ২৪, মাহমুদউল্লাহ ২৪, ফাহিম ১৮*, নাবি ১৫; মিরাজ ৪-০-২৯-০, আবু হায়দার ২.৪-০-৩৫-২, হাসান ৩.১-০-৩৬-০, বসিস্টো ১-০-৫-০, ইরশাদ ২.২-০-২১-১, নাসুম ৩-০-২৮-০, আফিফ ১-০-১৩-১, নাওয়াজ ২-০-১৮-০)

ফল: ফরচুন বরিশাল ৫ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা: ডেভিড মালান।

নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন