শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ , ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

খেলা
  >
ক্রিকেট

রেকর্ড গড়া জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে নিউ জিল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক ১০ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫, ২১:৩৩:৫৭

207
  • ছবি: ক্রিকইনফো

ওয়ানডে অভিষেকে ম্যাথু ব্রিটস্কি ১৫০ রানের ইনিংস খেলে খেলেন গড়েন ইতিহাস। তবে তাকে হতাশ করেন কেন উইলিয়ামস (১৩৩)  ও ডেভন কনওয়ে (৯৭)। তাদের ব্যাটে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রেকর্ড গড়া জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করেছে নিউ জিল্যান্ড। 

সাড়ে পাঁচ বছরের বেশি সময়ের খরা কাটিয়ে অবশেষে সোমবার সেঞ্চুরির দেখা পেলেন উইলিয়ামসন। অল্পের জন্য শতকের দেখা পাননি ডেভন কনওয়ে। তাদের ব্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে, টানা দ্বিতীয় জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে  নিউ জিল্যান্ড।

লাহোরে সোমবার কিউইদের জয় ৬ উইকেটে। ৩০৫ রানের লক্ষ্য ৮ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় মিচেল স্যান্টনারের দল। ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয় এটি। ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে অকল্যান্ডে ২৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয় ছিল আগের সর্বোচ্চ।

নিউ জিল্যান্ডের নায়ক উইলিয়ামসন। ১৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ১১৩ বলে অপরাজিত ১৩৩ রানের ইনিংসে দলের জয় নিয়ে ফেরেন তিনি। তার ইনিংসটি গড়া ১৩ চার ও ২ ছক্কায়। চার মেরে ম্যাচের ইতি টেনে দেওয়ার পাশাপাশি ওয়ানডেতে দ্বিতীয় দ্রুততম ৭ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি। এজন্য তার লাগল ১৫৯ ইনিংস। ১৫০ ইনিংসে রেকর্ডটি হাশিম আমলার। ৯ চার ও এক ছক্কায় ১০৭ বলে ৯৭ রান করেন কনওয়ে।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে উইলিয়ামসন ও কনওয়ে করেন ১৮৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ জুটি এটি। ২০১৭ সালে হ্যামিল্টনে তৃতীয় উইকেটে মার্টিন গাপটিল ও রস টেইলরের ১৮০ রানের জুটি ছিল আগের সেরা।

গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বড় লক্ষ্য তাড়ায় ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে নিউ জিল্যান্ডের সুর বেঁধে দেন উইল ইয়াং ও কনওয়ে। ইয়াং ফেরেন ৩১ বলে ১৯ রান করে। তাকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেটের স্বাদ পান অভিষিক্ত ইথান বশ।

এরপরই কনওয়ে ও উইলিয়ামসনের জুটিতে নিউ জিল্যান্ডের জয়ের পথে এগিয়ে যাওয়া। কনওয়ে পঞ্চাশে পা রাখেন ৬৪ বলে। তাব্রেজ শামসিকে ছক্কায় উড়িয়ে ৪৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন উইলিয়ামসন। সেখান থেকে পরের পঞ্চাশে যেতে তার লাগে কেবল ২৮ বল। ৭২ বলের এই সেঞ্চুরি ওয়ানডেতে তার দ্বিতীয় দ্রুততম।

সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে অভিষিক্ত সেনুরান মুথুসামির চমৎকার ক্যাচে ফেরেন কনওয়ে। এরপর মুথুসামির পরপর দুই বলে ড্যারিল মিচেল ও টম ল্যাথামের বিদায়ের পর গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে বাকিটা সারেন উইলিয়ামসন। ৩২ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন ফিলিপস।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে টানেন অভিষিক্ত ব্রিটস্কি। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ২০ রান করে ফেরার পর দ্বিতীয় উইকেটে জেসন স্মিথের সঙ্গে ৯৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৫১ বলে ৪১ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন স্মিথ। দ্রুত বিদায় নেন কাইল ভেরেইনা।

২৬ বছর বয়সী ব্রিটস্কি এরপর ইনিংস সেরা ১৩১ রানের জুটি গড়েন ভিয়ান মুল্ডারকে নিয়ে। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি ১২৮ বলে। পরের ১৯ বলেই পৌঁছে যান দেড়শতে। তার ইনিংস শেষ হয়ে যায় সেখানেই। ১৪৮ বলের ইনিংস গড়া ১১ চার ও ৫ ছক্কায়।

ওয়ানডে অভিষেকে প্রথম দেড়শ ছোঁয়া ইনিংস এটি। অভিষেকে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড এতদিন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেসমন্ড হেইন্সের। ১৯৭৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। পরে মুল্ডারের ৬০ বলে ৬৪ রানের সুবাদে তিনশর ঠিকানায় পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তাদের হতাশা উপহার দিয়ে ঠিকই দাপটের সঙ্গে জিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওঠা সবার আগে নিশ্চিত করে নিউ জিল্যান্ড। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩০৪/৬ (ব্রিটস্কি ১৫০, বাভুমা ২০, স্মিথ ৪১, ভেরেইনা ১, মুল্ডার ৬৪, বশ ৭*, মুথুসামি ২, এমপোংওয়ানা ১*; হেনরি ১০-০-৫৯-২, ও’রোক ১০-০-৭২-২, সিয়ার্স ১০-০-৬৫-০, স্যান্টনার ১০-০-৬২-০, ব্রেসওয়েল ১০-০-৪৩-১)

নিউ জিল্যান্ড: ৪৮.৪ ওভারে ৩০৮/৪ (ইয়াং ১৯, কনওয়ে ৯৭, উইলিয়ামসন ১৩৩*, মিচেল ১০, ল্যাথাম ০, ফিলিপস ২৮*; এনগিডি ৭-০-৫৪-০, বশ ৭-০-৩৩-১, মুল্ডার ৬-১-৩২-০, ডালা ৮-০-৪৭-১, মুথুসামি ৮.৪-১-৫০-২, শামসি ৯-০-৬২-০, এমপোংওয়ানা ৩-০-২৫-০)

ফল: নিউ জিল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা: কেন উইলিয়ামসন

নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন