শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ , ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

খেলা
  >
ক্রিকেট

রিকেলটনের ‘অভিষেক’ সেঞ্চুরিতে শুভ সূচনা দ. আফ্রিকার

ক্রীড়া ডেস্ক ২১ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫, ২৩:১৬:৪৬

107
  • ছবি: ক্রিকইনফো

আগের ৬ ম্যাচে নড়বড়ে নব্বইয়ে থেমেছিলেন একবার। রায়ান রিকেলটন এবার ভুল করেননি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সপ্তম ম্যাচেই পেয়ে গেলেন অভিষেক সেঞ্চুরির দেখা। তার দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে বড় পুঁজি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।  পরে বল হাতে শুরু থেকেই আফগানিস্তানকে চেপে ধরে প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত লুঙ্গি এনগিডি-কাগিসো রাবাদাদের বোলিং নৈপুণ্যে সহজেই আফগানদের হারিয়ে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শুভসূচনা করল দক্ষিণ আফ্রিকা। 

করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ম্যাচে শুক্রবার আফগানিস্তানকে   ১০৭  রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন  টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অভিষেক ম্যাচটি নিজের জন্য স্মরণীয় করে রাখলেন রায়ান রিকেলটন। প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটা পেয়ে গেলেন একেবারে আইসিসি ইভেন্টে। বাঁহাতি এই ওপেনারের ১০৩ রানের ইনিংসে বড় স্কোরের ভিত্তি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর আরও তিন ব্যাটারের ফিফটিতে দলটি গড়ে ৬ উইকেটে ৩১৫ রানের পুঁজি। পরে বল হাতে আফগানিস্তানকে  ৪৩.৩ ওভারে ২০৭ রানে গুটিয়ে দেয় প্রোটিয়ারা। আফগানদের হয়ে ৯০ রান করে পরাজযের ব্যবধান কমান রহমত শাহ। দক্ষিন আফ্রিকার রাবাদা ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া এনগিডি ও মালডার নেন ২টি করে উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় এক রহমত শাহ ছাড়া আফগানিস্তানের আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। বিপর্যয়ের শুরুটা হয় রহমানউল্লাহ গুরবাজকে (১০) দিয়ে। দলীয় ১৬ রানেই তিনি লুঙ্গি এনগিডির বুক সমান বাউন্সে খেলতে গিয়ে ঠিকঠাক ছোঁয়াতে পারেননি ব্যাট, লেগস্লিপে দাঁড়ানো কেভশ মহারাজ ডাইভ দিয়ে সেটি তালুবন্দী করেন।

গুরবাজের পর আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানও কাগিসো রাবাদার সোজাসুজি আসা একটি বলে বোল্ড হয়ে বসেন। এর আগে তার ব্যাটে আসে ১৭ রান। এভাবে নিয়মিত বিরতিতে আউট হয়েছেন সেদিকউল্লাহ অটল (১৬), অধিনায়ক শহিদী (০) ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইরা (১৮)। একপ্রান্তে রহমত শাহ অটল থাকলেও, আরেকপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন মোহাম্মদ নবি (৮), গুলবাদিন নাইব (১৩) ও রশিদ খান (১৮)।

এরআগে শুক্রবার টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম খেলতে যাওয়ার আগেই হেইনরিখ ক্লাসেনের ছিটকে যাওয়ার সংবাদ দেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। যদিও তার অনুপস্থিতি কেবল এই ম্যাচের জন্য। ক্লাসেনের এই না থাকাটা অবশ্য এদিন খুব একটা বুঝতে দেননি রিকেলটন। যে কারণে দুর্দান্ত জয়ে শুরু হল দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযান। 

ব্যাটিংয়ে নেমে শুক্রবার শুরুতে ওপেনার টনি ডি জর্জিকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ২৮ রানে বাঁ-হাতি এই ব্যাটারকে (১১) আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মোহাম্মদ নবি। তবে তাতে প্রোটিয়াদের কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। দ্বিতীয় উইকেটে সেটাই প্রমাণ করেছেন রিকেলটন-বাভুমা জুটি। দুজন মিলে দলীয় স্কোরবোর্ডে ১২৯ রান যোগ করেন। যদিও প্রোটিয়া অধিনায়ক ছিলেন কিছুটা ধীরস্থির। নবির বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ৭৬ বলে ৫টি চারে ৫৮ রান করেন। এরপর ডুসেনের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন রিকেলটন। তবে ওয়ানডেতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির পর দুর্ভাগ্যের রানআউটে কাটা পড়েছেন এই বাঁ-হাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তার আগে ১০৬ বলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় ১০৩ রান করেন রিকেলটন। এরপর ডুসেন-মার্করামের ৪৭ ও মার্করাম-ডেভিড মিলারের ৫০ রানের জুটি প্রোটিয়াদের সঠিক গন্তব্যেই রেখেছিল। তবে দ্রুত শেষ কয়েকটি উইকেট হারায় বাভুমার দল। বিশেষ করে মিলারকে (১৮ বলে ১৪) ঠিক ছন্দে দেখা যায়নি, মার্কো জানসেনও আউট হয়ে যান প্রথম বলে। ডুসেন আউট হয়ে গেলেও তার সমান ৫২ রান করে অপরাজিত ছিলেন মার্করাম।

আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি। এ ছাড়া ফারুকি, ওমরজাই এবং নুর আহমেদ ১টি করে উইকেট নেন।

নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন