শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ , ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

খেলা
  >
ক্রিকেট

শিরোপা ভারত না নিউ জিল্যান্ডের?

ক্রীড়া ডেস্ক ৯ মার্চ , ২০২৫, ১৩:২২:২৯

164
  • ছবি: ইন্টারনেট

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের লড়াই রোববার দুপুরে। প্রতিপক্ষ ভারত-নিউ জিল্যান্ড। এ দুই দলের শক্তিমাত্তার জায়গায় প্রায় সমান। তবে আজ তাদের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে স্পিনাররা। কেননা দুবাইয়ে উপকেট মন্থর। যে সকারণে শিরোপা জয়ের মঞ্চে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে ভারত। যদিও কোনভাবেই ছেড়ে কথা বলবে না নিউ জিল্যান্ড। 

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোববার মাঠে নামছে ভারত ও নিউ জিল্যান্ড। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর তিনটায়। তার আগে ফিরে আসছে ২৫ বছর আগের স্মৃতিই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নাম যখন ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ, ২০০০ সালে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে নাইরোবিতে ফাইনালে খেলেছিল এই দুই দল। সেবার ভারতকে চার উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউ জিল্যান্ড। ভারত সেই আক্ষেপ ঘুচিয়েছিল পরের আসরেই শিরোপা জিতে। পরে ২০১৩ সালেও ট্রফি জয় করে তারা। এবার জিততে পারলে প্রথম দল হিসেবে তিনবার শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়বে ভারত। সেই সম্ভাবনাও প্রবল। পরিষ্কার ফেভারিট হয়েই ফাইনালে নামছে রোহিত শার্মার দল। টুর্নামেন্টের একমাত্র দল হিসেবে একই শহরে থেকে একই মাঠে অনুশীলনের সুবিধা তারা পেয়েছে। 

কন্ডিশনে অভ্যস্ততা, স্পিনের শক্তিতে এগিয়ে থাকা, ছন্দ, ক্রিকেটারদের সবার ব্যক্তিগত ফর্ম, সব বিবেচনায় এগিয়ে ভারত। তবে ফাইনাল ম্যাচে তো অনেক সমীকরণই বদলে যায়! স্নায়ুর চাপে খেই হারিয়ে ফেলেন অনেকেই।

এই ব্যাপারে শুভমান গিল বলেন, ‘বড় ম্যাচের চাপ সবসময়ই থাকে। যেহেতু বড় ম্যাচ, চাপের ম্যাচ, যে দল চাপ বেশি ভালোভাবে সামলাতে পারবে, উপলক্ষকে যারা দমিয়ে রাখকে পারবে এবং এটা ভাববে না যে ম্যাচটি ফাইনাল, তাদের জয়ের সুযোগই বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতিহাসের ভালো দলগুলির সম্পর্কে এটিই বলা হয় । ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ছিল এরকম, অস্ট্রেলিয়া ছিল এমন। ওই দলগুলি উপলক্ষের চাপকে পাত্তা দিত না এবং নকআউট বা ফাইনালে নিজেদের সেরাটা মেরে ধরত। নিজেদের থেকে চাপটা সরিয়ে নিত তারা। বলাটা সহজ, করাটা কঠিন। কারণ একটি ম্যাচের ওপর এত কিছু নির্ভর করে, তখন তা ভাবনায় আসেই। তবে ভালো দল তারাই, যারা এসব ম্যাচে স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারে।’

ফাইনালের উইকেটে ভিন্ন কিছু আশা করছে না ভারত। যেটির মানে, আরেকবার স্পিন-ট্রায়ালের সামনে পড়তে হবে নিউ জিল্যান্ডকে, ‘ওই ম্যাচটি (ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচ) চ্যালেঞ্জিং ছিল। ভারত খুব ভালো খেলেছি। তবে আমরাও কিছু ব্যাপার খুব ভালো করেছিলাম। ওই ম্যাচ থেকে আমরা শিখেছি অনেক কিছু। ভারত সম্ভবত একই দল নিয়ে নামবে। আশা করি আমাদের ছেলেরা এবার আরও ভালো করবে। উইকেট যেমনই হোক, যে চ্যালেঞ্জই আসুক দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে আমাদের।’

গিল আরও বলেন, ‘আমরা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি স্পিনার নিয়ে খেলছি এবারই। বল হাতে সবাই ভিন্ন কিছু মেলে ধরে। আমি ও রাচিন রাভিন্দ্রা বোলিং করি আলাদা রকম, মাইকেল ব্রেসওয়েল ও গ্লেন ফিলিপসও তেমনই। আমরা সবাই অলরাউন্ডার হওয়ায় পর্যাপ্ত সিমারও আমরা খেলাতে পারছি। দলের সবাই কোনো না কোনো ম্যাচে নানা সময়ে ভালো করেছে, এটা সবচেয়ে সন্তুষ্টির।’

ফাইনালের আগে নিউ জিল্যান্ডের জন্য খানিকটা দুভার্বনা বয়ে এনেছে ম্যাট হেনরির চোট। টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০ উইকেট ও ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচটিতে ৫ উইকেট শিকারি এই পেসার সেমি-ফাইনালে ক্যাচ নিতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন কাঁধে। তার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে দল।

অধিনায়ক হিসেবে প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্টেই দলকে ফাইনালে তুলে এখন দেশের ক্রিকেটের বড় এক আক্ষেপ ঘোচানোর হাতছানি স্যান্টনারের সামনে। তবে তার আগে দেখার বিষয় স্পিন সামলে কোন দল পৌঁছাতে পারে কাঙ্খিত লক্ষ্যে। 

নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন