সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ , ১৪ জিলকদ ১৪৪৬

খেলা
  >
ক্রিকেট

মেহেদীর ফাইফারের পরও পেছনে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক ২১ এপ্রিল , ২০২৫, ১৯:২৩:৫৯

146
  • ছবি: ইন্টারনেট

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় প্রথম দিন নিজেদের করে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে দলটি আশায় ছিল বোলারদের নৈপুণ্যে দ্বিতীয় দিনটি নিজেদের হবে। সোমবার তেমনটা হয়নি। উল্টো জিম্বাবুয়ে লিড বাড়িয়ে টাইগারদের বিপদে ফেলেছে। এদিন অবশ্য বল হাতে দারুণ ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি একাই নেন ৫ উইকেট। তবে দিন শেষে পেছনে থাকার আপেক্ষ রয়েছে এ অফস্পিনারেরও। 

প্রথম ইনিংসে ৮২ রানের লিড পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তাই পিছিয়ে থেকে শেষ বিকেলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নামে টাইগাররা। তবে এবারও শুরুটা ভালো হয়নি। সাদমান ইসলামকে হারিয়ে ২৫ রানে পিছিয়ে থেকেই দিনের খেলা শেষ করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান করেছে বাংলাদেশ। দুই অপরাজিত ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়ের সংগ্রহ ২৮ রান, আর মুমিনুল হকের ১৫ রান।

জিম্বাবুয়ের চেয়ে ৮২ রানে পেছনে থেকে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরে ফিরেন সাদমান। ওভারের চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের ওপর করেছিলেন মুজারাবানি। ইনসুইং করে ভেতরের দিকে আসা বলে ডিফেন্স করতে যান সাদমান, তবে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা শন উইলিয়ামস ভুল করেননি। ৪ রান করে সাদমান ফেরায় ভাঙে ১৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।

দ্রুত সাদমানকে হারানোর অর অবশ্য দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। তিনে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছেন মুমিনুল হক। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার এদিন কোনো সুযোগ দেননি। তবে আরেক ওপেনার জয়, ভাগ্যের কারণেই  অপরাজিত থেকেছেন। উইকেটের পেছনে তার সহজ ক্যাচ ফেলেছেন মায়াভো। জীবন পেয়ে ইনিংস লম্বা করার চেষ্টা করছেন এই তরুণ ওপেনার।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ৪৪ রান তুলেছেন জয় ও মুমিনুল। তবে এখনো ২৫ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। 

এর আগে দিনের শুরুতেই বাংলাদেশি পেসারদের তোপের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। শুরুতেই গতির ঝলক দেখালেন নাহিদ রানা। দিনের তৃতীয় ওভারে নাহিদের বাউন্সারে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন  বেন কারেন। ফিফটি তুলে নেওয়া বেনেটকেও বেশি সময় ক্রিজে টিকতে দেননি রানা। বেনেটকে বাধ্য করেছিলেন স্কয়ার কাট করার জন্য। আর সেটা ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ গেল জাকের আলীর কাছে।

খানিক বাদে উইকেটের মিছিলে যোগ দেন হাসান মাহমুদ। দারুণ এক ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ওয়েলচকে। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে দ্বিতীয় সেশনে দলের হাল ধরেন উইলিয়ামস-মাধেভেরে জুটি। দুজনের ৭৯ বলে ৪৮ রানের পঞ্চম উইকেট জুটিতে বেশ ভালোই প্রতিরোধ গড়ে দলটি। খালেদের বলে ইনসাইড এজড হয়ে ৩৩ বলে ২৪ রানের মাথায় ফেরেন মাধভেরে।

দলের লিড নিশ্চিত হওয়ার পর রান বাড়ানোর দিকেই হয়তো মনোযোগ ছিল শন উইলিয়ামসের। বড় শর্ট খেলতে গিয়েই উল্টো বিপদ বাড়ালেন। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লং অফ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামস। ঠিকঠাক ব্যাটে সংযোগ ঘটাতে পারলেন না। দারুণ ক্যাচ তালুবন্দী করেন মাহমুদুল হাসান জয়। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৮ বলে দুই ছক্কা ও ছয় চারের মারে ৫৯ রান করেছেন উইলিয়ামস।

দুইশর আগেই ৬ উইকেট হারালেও জিম্বাবুয়ের লেজের সারির ব্যাটাররা দারুণ প্রতিরোধ গড়েন। সাতে নেমে নায়াশা মায়াভো ৫৪ বলে করেন ৩৫ রান। নয়ে নেমে রিচার্ড এনগারাভা করেন অপরাজিত ২৮ রান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ১৭ রান করা ব্লেজিং মুজারাবানি। তাতে বড় লিড পেয়েছে সফরকারীরা।

মেহেদি হাসান মিরাজ বল হাতে ছিলেন উজ্জ্বল। এই অফ স্পিনার একাই শিকার করেছেন ৫ উইকেট। এ ছাড়া ৩ উইকেট পেয়েছেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। একটি করে উইকেট নিয়েছেন বাকি দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।

নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন