রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ , ১৭ শাবান ১৪৪৬

খেলা
  >
অন্যান্য

গর্ভে সাত মাসের সন্তান নিয়েই অলিম্পিকসের লড়াইয়ে মিসরের এক চিকিৎসক

ক্রীড়া ডেস্ক ৩০ জুলাই , ২০২৪, ১৪:০০:১৬

322
  • ছবি: ইন্টারনেট

২০১৬ ও ২০২০ অলিম্পিকসের অংশ নেওয়ার ধারাবাহিকতায় এবার প্যারিসেও আসেন নাডা হাফেজ। প্রথম ম্যাচে দারুণ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই থমকে গেলেন তিনি। তবে বাদ পড়ার পর মিশরের এই ফেন্সার যা জানালেন, তাতে সব ফলাফল ছাপিয়ে জিতে গেছেন আগেই। এবারের অলিম্পিকসের লড়াইয়ে নেমেছিলেন তিনি সাত মাসের গর্ভাবস্থায়!

নাডা হাফেজ পেশায় একজন চিকিৎসক। আরও স্পষ্ট করে বললে প্যাথলজিস্ট (রোগনিরূপণবিদ)। ২৬ বছর বয়সী এই মিসরীয় নারী এ নিয়ে টানা তিন অলিম্পিক ফেন্সিংয়ে মেয়েদের ব্যক্তিগত স্যাবরে ইভেন্টে অংশ নিলেন। প্যারিসের গ্রঁ পালাইয়ে কাল নিজের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তার্তাকোভস্কিকে ১৫–১৩ পয়েন্টে হারিয়ে শেষ ষোলোয় ওঠেন নাডা। তবে শেষ ষোলোয় দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিযোগী হা–ইয়াং জিওনের সঙ্গে পেরে ওঠেননি; হেরে যান ১৫–৭ পয়েন্টে।

প্যারিস অলিম্পিক থেকে বিদায় নেওয়ার সময় দর্শকদের করতালিতে সিক্ত হন নাডা। হাত নেড়ে দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দেওয়ার মুহূর্তে কেঁদেও ফেলেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে জানান তাঁর আবেগে ভেসে যাওয়ার কারণ, ‘পোডিয়ামে (বিজয় মঞ্চে) আপনারা দুজন খেলোয়াড়কে দেখেছেন, আসলে আমরা তিনজন ছিলাম! আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং আমার ছোট্ট সন্তান, যে এখনো পৃথিবীতে আসেনি!’

উত্তর আফ্রিকার দেশ মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে উঠে আসা এই ফেন্সার আরও লিখেছেন, ‘আমি ও আমার সন্তান শারীরিক ও মানসিকভাবে (প্রতিপক্ষকে) দারুণ চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছি। এটা গর্বের। এটা আমার সত্তাকে পূর্ণতা দিয়েছে।’

অন্তঃসত্ত্বা হয়েও প্যারিস অলিম্পিকে মিসরকে প্রতিনিধিত্ব করার পেছনে স্বামী ইব্রাহিম ইহাব ও পরিবারেরও অবদান আছে বলে মনে করেন নাদা, ‘গর্ভাবস্থার এই রোলারকোস্টার যাত্রা বেশ কঠিন। কিন্তু জীবন ও খেলাধুলার ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য এই লড়াই কোনো দিক থেকে কম তীব্রতর ছিল না। এটা আমার কাছে মূল্যবান। আমি ভাগ্যবান যে আমার স্বামী (ইব্রাহিম ইহাব) ও পরিবারের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি এবং এত দূর আসতে পেরেছি।’

নাডা হাফেজ ইনস্টাগ্রামে গর্ভে সন্তান নিয়ে খেলার কথা জানানোর ঘণ্টা দুয়েক পরেই প্যারিস অলিম্পিকে আফ্রিকাকে প্রথম সোনার পদক এনে দেন নারী সাঁতারু তাতিয়ানা স্মিথ। দক্ষিণ আফ্রিকার এই সাঁতারু মেয়েদের ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে ইভেন্ট জিততে সময় নেন ১ মিনিট ৫.২৮ সেকেন্ড।

নিউজজি/সিআর

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন