মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ , ৮ জুমাদাউস সানি ১৪৪৬

বিদেশ

ট্রাম্পকে বিজয়ী করতে কেনো এতো মরিয়া ইলন মাস্ক?

নিউজজি ডেস্ক ৪ নভেম্বর , ২০২৪, ১৯:০৫:৫৪

71
  • ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মার্কিন মসনদে বসাতে, রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। প্রচারণার শুরু থেকেই রিপাবলিকান নেতার পাশে এই টেক বিলিওনিয়ার। মাত্র ৩ মাসে, ট্রাম্প শিবিরের পেছনে খরচ করেছেন ৭৫ মিলিয়ন ডলার। কেবল অঢেল অর্থ অনুদানই নয়, প্রচারেও দিয়েছেন নিজের মূল্যবান সময়। ভোট আদায়ে, নিজেই বের করেছেন নানা কৌশল। তবেঁ, প্রশ্ন হচ্ছে ট্রাম্পকে বিজয়ী করতে কেনো এতো মরিয়া মাস্ক?

টেইলর সুইফট, জেনিফার লোপেজ, এমিনেম; ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিসের পক্ষে প্রচারণা চালানো তারকাদের তালিকা আরও অনেক লম্বা। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে যেন একাই একশ’ ধনকুবের ইলন মাস্ক।

রিপাবলিকানদের অন্যতম বড় ডোনার ইলন মাস্ক। গত তিন মাসে, রিপাবলিকান প্রচারণায় ব্যয় করেছেন অঢেল অর্থ। ভোটারদের আকর্ষণে আয়োজন করেছেন লটারি, ঘোষণা করেছেন বিশাল অংকের পুরস্কার। তবে এখানেই শেষ নয়, সরাসরি জনসভায় মাইক হাতে দাঁড়িয়েছেন ট্রাম্পের পাশে। সোশ্যাল মিডিয়া এক্সেও প্রচারণায় সরব তিনি।

রিপাবলিকান প্রার্থীকে জয়ী করতে মাস্কের এমন তোড়জোড়ের কারণ কী? এখানে চারটি ইস্যুকে বড় করে দেখছেন বিশ্লেষকরা। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ মাস্কের বিভিন্ন সরকারি প্রজেক্ট।

মাল্টি বিলিয়ন ডলারের বেশ কয়েকটি সরকারি প্রজেক্ট রয়েছে টেসলা ও স্পেসএক্সের সত্ত্বাধিকারী ইলন মাস্কের। এর মধ্যে ১২টি সরাসরি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত। নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, এসব প্রকল্পের আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ১৫.৪ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া বিভিন্ন সময় নাসা কিংবা মার্কিন স্পেস ফোর্সের পক্ষ থেকেও অর্থায়ন করা হয়েছে মাস্কের অ্যারোস্পেস কোম্পানি- স্পেসএক্সকে।

এসব মেগা প্রকল্প পরিচালনায় বেশ বেগও পেতে হচ্ছে মাস্কের দুই প্রতিষ্ঠানকে। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও চলছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে মাস্কের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি কমবে।

অর্থনৈতিক খাতে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সরকারের ব্যয় কমাতে বিশেষ বিভাগ গঠন আর এর দেখভাল করতে টেক বিলিয়নিয়ার মাস্ককে দায়িত্ব দেয়ার কথাও বলেছেন রিপাবলিকান নেতা। করের হার কমার পাশাপাশি ১০ বিলিয়ন ডলার শুল্কছাড়ও পেতে পারে তার প্রতিষ্ঠানগুলো।

নীতিগত দিক থেকেও অনেক ইস্যুতেই ট্রাম্পের সাথে সহাবস্থান ইলন মাস্কের। অনুপ্রবেশকারীদের দেশে ফেরত পাঠানোসহ কঠোর অভিবাসন নীতির পক্ষে দু’জনই।

নিউজজি/ এস দত্ত

 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন