শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ , ১৯ রমজান ১৪৪৫

সাহিত্য

আজ বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন

নিউজজি ডেস্ক ২৪ অক্টোবর , ২০২০, ১৫:১৮:২৭

327
  • ছবি: ইন্টারনেট

ঢাকা : বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন আজ। ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালের ২৪ অক্টোবর বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলার পান্ডুল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বিপিন বিহারী মুখোপাধ্যায়। তার আদি নিবাস হুগলী জেলার চাতরা হলেও তার তিন পুরুষের বাস বিহারের দ্বারভাঙ্গায় ছিল। 

তিনি দ্বারভাঙ্গা পীতাম্বরী বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। দ্বারভাঙ্গা রাজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং রিপন কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। পরে তিনি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ধারার উপন্যাস ও গল্পের রচয়িতা। রসরচনায়ও রয়েছে তার অসামান্য দক্ষতা। তার কর্মক্ষেত্র ছিল বৈচিত্র্যময়। প্রথম দিকে তিনি ইন্ডিয়ান নেশন পত্রিকার কার্যাধ্যক্ষের পদে আসীন ছিলেন। পরে বিহারের দ্বারভাঙ্গায় মহারাজের সচিব হিসেবেও কাজ করেন। কিছুকাল শিক্ষকতাও করেছেন।

তার কর্মক্ষত্র ছিল বৈচিত্রময়। কর্মজীবনের প্রথম দিকে তিনি ইন্ডিয়ান নেশন পত্রিকার কার্যাধ্যক্ষের পদে আসীন ছিলেন। পরে বিহারের দ্বারভাঙ্গায় মহারাজের সচিব হিসাবেও কাজ করেন। আবার পরবর্তি কালে কিছুকাল শিক্ষকতাও করেছেন। ১৯১৬ থেকে ১৯৪২ পর্যন্ত কর্মজীবনে বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা, ধনী পরিবারে গৃহ-শিক্ষকতা করেছিলেন। শিক্ষকতা চলাকালীন তিনি নিজেকে লেখার কাজে নিয়োজিত করেন। সাহিত্যের বিভিন্ন ধারার উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের তিনি রচয়িতা। তার জনপ্রিয়তম উপন্যাসটি হলো নীলাঙ্গুরিয়। এছাড়াও তিনি অনেক কৌতুক ও রঙ্গরসের গল্পও লিখেছেন।

বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের কৌতুক গল্পের বই বরযাত্রী'র ছয় বন্ধু গণশা, ঘোঁতনা, ত্রিলোচন, গোরাচাঁদ, রাজেন আর কে. গুপ্ত বাংলা রসসাহিত্যের পরিচিত চরিত্র। অল্প দু চার কথায় জীবন্ত চরিত্র সৃষ্টি করা বা একটা সমাজকে এরকম সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরতেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়। কৌতুক রসের এরকম বই হিসেবে বরযাত্রী সিরিজ বাংলা সাহিত্যে অনন্য। কৌতুক রসের তার আরেকটি বিখ্যাত সৃষ্টি রানু সিরিজের গল্পগুলি। কিন্তু বিভূতিভূষণের প্রতিভা ছিল বহুমুখী। ছোটদের জন্য পুজোসংখ্যায় তিনি নিয়মিত লিখেছেন, পোনুর চিঠি ও অন্যান্য নানান গল্প - যা পরিণত মনস্ক পাঠকেরাও পরম উৎসাহে পড়েছেন।

তার প্রতিভা ছিল বহুমুখী। ছোটদের জন্য পুজো সংখ্যায় তিনি নিয়মিত লিখেছেন, যা পরিণতমনস্ক পাঠকও উৎসাহে পড়েছেন। ‘জীবনতীর্থ’ নামে তিনি একটি আত্মজীবনীও লিখেছেন। লেখার জন্য নানা পুরস্কারে তিনি ভূষিত হয়েছেন—আনন্দ পুরস্কার, শরত্স্মৃতি পুরস্কার, রবীন্দ্র পুরস্কার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি প্রদান করে। ১৯৮৭ সালের ৩০ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নিউজজি/এস দত্ত

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন