শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ , ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

সাহিত্য
  >
গল্প

সেই মেয়েটি (১ম পর্ব)

পি. আর. প্ল্যাসিড আগস্ট ১১, ২০২১, ১৩:৫০:২০

3K
  • সেই মেয়েটি

শীতের রাত।

ভাস্কর ঢাকা থেকে প্রাইভেটগাড়ি ভাড়া করে দিনের আলো থাকতেই রওনা দেয় টাঙ্গাইল মধুপুরের উদ্দেশ্যে। এলাকার নাম পঁচিশমাইল। সেখানে ভাস্করের অনেক বছর আগে পরিচয় হওয়া এক গারো মেয়ের বাড়ি।

টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত পুরো রাস্তা ট্রাফিক জ্যাম ছিল। যে কারণে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত আসতে তার অনেক সময় লেগে যায়। ঢাকা থেকে গাড়ি নিয়ে মনিদের বাড়ি যাবার কথা বলে রওনা দিয়েছে শুনে সেই তখন থেকে মনি অপেক্ষা করতে শুরু করে। বহু বছর পর তাদের দুজনের দেখা হবে তাই মনের ভিতর গলাকাঁটা মুরগির মতন দাপড়াচ্ছিল তার ইচ্ছে পাখিটা। যেকারণে একটু পরপর ফোন দেয় মনি ভাস্করকে। ফোন করে জানতে চায় তার অবস্থান। 

ভাস্কর থাকে দেশের বাইরে, বহু বছর পর দেশে তার মাকে দেখতে যায়। বাবা কিছুদিন আগে মারা গেলে দেশে গ্রামের বাড়িতে ভাস্করের বৃদ্ধা মা একা থাকেন। ভাস্কর চাইলেও মায়ের জন্য কিছু করতে পারে না। যেহেতু সে থাকে দেশের বাইরে তাই খুব বেশি হলে মায়ের দেখভাল করতে মাস শেষে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা আগের মতন নেই যে, টাকা দিলেই সবকিছু সম্ভব হবে। সে চায় বাড়িতে তার মায়ের দেখা শোনা করতে একজন মহিলাকে রেখে মায়ের সাথে দিন-রাত রাখতে এবং তাকে দিয়ে মায়ের সেবা করাতে।

ভাস্করের বৃদ্ধা মায়ের অসহায় অবস্থা দেখে মাঝে মধ্যে এলাকার গরিব কোনো পরিবার এগিয়ে আসে ভাস্করের মায়ের দেখা শোনা করতে কিন্তু নানান কারণে বেশিদিন তারা তার মায়ের সাথে গ্রামের বাড়িতে থাকতে পারে না।

ভাস্করের মায়ের বয়স নব্বই ছাড়িয়েছে। আগে সবার সাথে বেশ ভালো আচরণ করলেও বয়স বেশি হবার কারণে তাঁর মেজাজ কিছুটা খিটখিটে ধরনের হয়ে গেছে। ভাস্করের বাবা মারা যাবার পর একদিকে শোক অন্যদিকে এতবড় বাড়িতে একা থাকায় অনেকটা একাকিত্ব বোধের কারণে সবই তাঁর মনের অজান্তেই বদলে যায়। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে পরপর কয়েকবার স্ট্রোক করেছিল যে কারণে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। যারাই বাড়িতে কাজ করতে আসে তারা কিছুদিন কাজ করার পর ভাস্করের মায়ের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে কাজ ছেড়ে চলে যাবার কথা বলতে শুরু করে। টাকার প্রয়োজন আছে সবারই। টাকার বিনিময়ে এখানে স্বাধীন ভাবে থাকবে, খাবে, কাজ করবে মাস শেষে টাকা পাবে এমনটা মনে করে প্রথমে সবাই রাজি হয়। সবাই প্রথমে ভাবে বাড়িতে একজন বৃদ্ধা ছাড়া অন্য আর কেউ নেই তাই কাজটি করা হয়তো বেশ সহজ হবে।

  কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতে যখন বুঝতে পারে অন্য আর কোনো সমস্যা না হলেও বুড়ো মানুষের মন জয় করে চলা তাদের জন্য অত সহজ নয়। বলতে গেলে ধারণার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। তখনই ভিতরে ভিতরে ঠিক করে ফেলে এখানে আর থাকবে না। তাই কেউ হয়তো বলে সুন্দরভাবে বিদায় নিয়ে চলে যায় আবার কেউ হয়তো কাউকে কিছু না বলে, চলে যায় পালিয়ে। তখনই ভাস্করের মা, ভাস্কর ফোন করলে তার কাছে কান্নাকাটি করে অভিযোগ করতে শুরু করেন, বাড়িতে সে একা থাকে, তাকে কেউ দেখে না। কাজের লোকদের কথা বলেন, বাড়িতে কাজের লোক চুরি করে সব নিয়ে পালিয়ে গেছে।

  দেশে আসার আগে মনির সাথে ভাস্কর তার মায়ের এই বিষয়টি আলোচনা করেছিল। মনি সব কথা শোনার পর বলেছিল, সে তার মায়ের জন্য তারই এলাকার গরিব কোনো পরিবারকে বলে যেতে রাজি করে রাখবে। কিংবা গরিব বা অসচ্ছল কোনো মহিলার খোঁজ করে রাখবে, সে দেশে এসে তাদের এলাকায় গিয়ে চাইলে নিজে কথা বলে সে বাড়িতে মায়ের জন্য নিয়ে আসতে পারবে। এ জন্যই মনিদের এলাকায় যাবার গুরুত্ব দেয় ভাস্কর বেশি। ঢাকা থেকে রওনা দেবার আগে মনিকে বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েই তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া।

  এর আগে ভাস্কর গারো এলাকায় অনেকবার এসেছে। এমনকি তাদের বাড়িতে সেই ছোটবেলা থেকে গারো পুরুষ-মহিলাদের কাজ করতে দেখেছে সে। মনি যেহেতু গারো তাই তার ধারণা ছিল মনিকে বললে হয়তো সে একটা ব্যবস্থা করে দিতে পারবে, তাই মনিকে বলা।

  মনির পুরো নাম মনি ম্রং। মনির সাথে ভাস্করের পরিচয় ১৯৮০ সালে। সে বছর ভাস্কর সবে এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে অবসর সময় কাটাচ্ছিল। তখন খোঁজ নিয়ে জানতে পারে বনানী সাতাশ নম্বর রোডে অবস্থিত খ্রিষ্টানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেজর সেমিনারিতে খ্রিষ্টান ছেলে-মেয়েদের জন্য সঙ্গীত শিক্ষার কোর্স করানোর ব্যবস্থাকরা হচ্ছে। সেখানে ভাস্কর অংশ নিতে প্যারিসের প্রধান পাল পুরোহিতের সাথে যোগাযোগ করে। পরবর্তীতে ভাস্কর প্যারিসের পক্ষ থেকে সেই সঙ্গীত শিক্ষা কোর্সে অংশ নেয়।

  মনিও সেবার অংশ নিয়েছিল সেই একই প্রোগ্রামে। পুরো একমাস সময় চার দেয়ালের ভিতর দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা সময় কাটিয়েছে ওরা। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা করে সঙ্গীত শিক্ষা কোর্সের ক্লাসে যোগদান করতো। দুপুরে দুইঘন্টা সময় খাবার খেতে বিরতি পেয়ে দুপুরের খাবার খেতো এরপর গোসল করতো। বিকাল থেকে আবার ক্লাস, বিকাল বা সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্লাস করে পরের পুরো সময় ছুটি। সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত যে যার পছন্দের লোকের সাথে বসে নাস্তা করা, খাবার খাওয়া, গল্প এবং আড্ডা সবই চলতো নিয়মিত তাদের। কতদিন মধ্য রাত পর্যন্ত তারা বাউন্ডারির ভিতরে মাঠে সবুজ ঘাসের উপর পাশাপাশি বসে সময় কাটিয়েছে আড্ডা দিয়ে। সে সময় ভাস্কর মনিকে খুব পছন্দ করতো। পছন্দ করলেও কখনো মুখ খুলে বলেনি তার এই ভালো লাগা বা পছন্দ করার কথা।

  অনেকসময় ভাস্কর ইনিয়ে বিনিয়ে মনিকে বলতে চেয়েছে তাকে তার পছন্দ হয় বা ভালো লাগে কিন্তু মনি ভাস্করের কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে বারবার বলতে থাকে তার সাথে ঢাকার অন্য আরেক ছেলের সম্পর্ক থাকার কথা। কোর্স শেষ হবার পর শেষদিন ওরা যখন একজন আরেকজন থেকে আলাদা হয়ে যে যার মতো করে নিজের ঠিকানায় চলে যাচ্ছিল সেদিন ভাস্কর মনির সামনে অনেক সময় দাঁড়িয়ে থেকে চেষ্টা করেছিল তার দিকে মনির দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে। এমনকি ভাস্কর অনেকবার জানতে চেয়েছিল সে কোথায় যাবে বা কে আসবে তাকে নিয়ে যেতে, মনি বারবার বলছিল তাকে তার কোনো এক আত্মীয় নিয়ে যেতে আসবে।

  ভাস্করের এক ভাই তার পরিবার নিয়ে তখন ঢাকাতেই থাকে। ভাস্কর সেখান থেকে সরাসরি তার সেই ভাইয়ের বাসায় যে গিয়ে উঠবে আগেই ঠিক করে রেখেছিল। তাই ভেবেছিল, এই শহরে মনির পরিচিত কেউ না থাকলে তাকে সাথে নিয়ে ভাইয়ের বাসায়ই উঠবে। কিন্তু ভাস্করকে কোনোভাবে গুরুত্ব না দেবার কারণে তার সাথে মনিকে তার ভাইয়ের বাসায় নিয়ে উঠানোর কথা ভাবলেও মনির এমন তাচ্ছিল্য ভাব দেখে একসময় ভাস্করের বলার এই ইচ্ছেটা থেমে যায়।

ভাস্কর এবার যখন দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন হঠাৎ করেই একদিন মনি ফেইসবুকে ভাস্করকে নক করে। খুব সহজ করেইনবক্সে প্রথম একটা প্রশ্ন লিখে পাঠায়, আমি এক ভাস্করকে চিনি। আপনি সেই ভাস্কর কিনা?

প্রথম অপরিচিত মনে করে বিষয়টি ভাস্কর গুরুত্ব দেয়নি। পরে মনি ম্রং নাম দেখে সে বুঝতে পারে মেয়েটি যে গারো। তবে মনি ম্রং এর আরো একটি নাম ছিল, সেই নামটাই ভাস্করের মনে গেঁথে রয়েছে। মনি ম্রং নামটি ভাস্করের খেয়াল ছিলনা। যে কারণে প্রথম দেখার পর ভাস্কর বেশ কিছু সময় ভাবে, কে হতে পারে এই মনি ম্রং? তারপর সে পাল্টা প্রশ্ন লিখে পাঠায়, আমি মনি নামে একজনকে চিনতাম তুমি কি সেই মনি কিনা? তাই আবার লিখে পাঠায়, মনির পুরো নাম আমার মনে নেই যদিও তবে এটুকু মনে আছে মনির ডাক নাম ছিল ম্যাগি।

এরপর মনি তার উত্তর দেয়,"হ্যাঁ" লিখে।

যখন হ্যাঁ সূচক উত্তর দেয় তখনই ম্যাছেঞ্জারে ভাস্কর কল দেয় মনিকে। কল করার পর মনি রিসিভ করলে ভাস্কর বলে, কতকাল খুঁজেছি তোমাকে। আজ কিভাবে তোমাকে পেয়ে গেলাম। আছো কোথায়, কেমন আছো, কি করছো, আরো কত যে প্রশ্ন। প্রশ্ন বাণে ভাস্কর তখন ভাসিয়ে দেয় মনিকে। কথার এক পর্যায় আবেগাপ্লুত হয়ে সে জানিয়ে দেয় শীঘ্রই যে সে দেশে যাবে। দেশে গিয়ে এবার অবশ্যই সে তার সাথে দেখা করবে।

ভাস্করের মনে একটা বিষয়ই তখন কাজ করে, সে তার মনিকে পেয়েছে এতকাল পর। মনের ভিতর আনন্দ আর আনন্দ। মনের ভিতর একটা চিন্তাই কাজ করে তখন, সেই বনানীতে দেখা মনি এখনো কি সেই মনিই রয়েছে কিনা? ভাস্করের ধারণা, এখনও যেন তেমনই রয়েছে। আবেগ যখন শান্ত হয় তখন ভাস্কর সংক্ষেপে জানতে চায়, মনি কোথায়, কি করছে?

  এমন প্রশ্ন শুনে মনি প্রথম বলতে চায়নি। কৌশলে ভাস্কর জেনে নেয়, মনির বিয়ে হয়েছিল, ছেলে মেয়ে রয়েছে তিনজন কিন্তু এখন সে আর তার স্বামীর সাথে সংসার করে না। সন্তানরা সবাই এখন বেশ বড় হয়েছে। তাদের তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে প্রেম করে নিজের পছন্দে বিয়ে হয়েছে।বড় ছেলে সেও প্রেম করে নিজের পছন্দে বিয়ে করেছিল। সংসার টিকেনি। ছোট যে মেয়ে সে ঢাকায় হোস্টেলে থেকে কলেজ পড়ছে। একসময় ছোটখাটো একটা চাকরি করতো মনি। কর্মক্ষেত্রে কোনো একটা ঝামেলা হলেকাজটি ছেড়ে দিয়েছে। এখন আর কিছু করছে না। বলা যায় বেকার। বাড়িতে সে ছেলের ঘরে নাতি আছে দুজন, নাতিদের নিয়ে তার সময় কেটে যায় বেশ।

  দেশে যাবার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত তাই বেশি লম্বা করেনি তাদের কথা। মনিকে দেশে যাবার দিন তারিখ জানিয়ে বলে, এই সময়ের মধ্যে কোনো একদিন সে ফোন করে চলে যাবে মধুপুর তার বাড়িতে।

  এরপর সত্যি সত্যি দেশে গিয়ে একদিন ফোন দেয় ভাস্কর মনিকে। মনি ভাস্করের ফোন পেয়ে মনে মনে খুব খুশি হয়। মনি তার এতদিনের পুরোনো একজন বন্ধুকে পেয়ে যেন আনন্দে উত্তাল। সাথে সাথে সে তার ঠিকানা এস এম এস করে পাঠায় ঠিকানা বলতে প্রথমে শুধু লিখেছে মধুপুর এসে ফোন করলে জানিয়ে দিবে। তবে আসার আগে ময়মনসিংহ শহরে পৌছার পর যেন তাকে ফোন দেয়। ফোন দিলে বিস্তারিত বলবে। বলেই বলে, তোমার কোনো পছন্দের খাবার খেতে মন চাইলে আগেই বলে দিও, আমি করে রাখবো।

  সন্ধ্যার সময় ময়মনসিংহ পৌছে ভাস্কর ফোন দেয় মনিকে। ফোন দিলে মনি বলে, তুমি এক কাজ করো, ওখান থেকে আগে পঁচিশমাইল বাজার পর্যন্ত আসো। বাজার পর্যন্ত এসে আমাকে ফোন দিও। ফোন দিলে তোমাকে আনতে যাবো। আমার বাড়ি বাজারের একদম কাছেই।

পঁচিশমাইল জায়গার নাম শুনে অনেকটা অবাক হয়েইভাস্কর প্রশ্ন করে, আরে! পঁচিশমাইল আমি চিনি তো। ওখানে আমি গিয়েছি বেশ কয়েকবার। ওখানেই কি তোমার বাড়ি নাকি?

  হ্যাঁ, আমার বাড়ি পঁচিশমাইল বাজারের একদম সাথেই।

ততক্ষণে চারিদিক অন্ধকার। গাড়ির চালক রাস্তা ঠিক চিনতে পারছিল না, তাই জায়গায় জায়গায় গাড়ি থামিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বা হেঁটে যাওয়া পথচারিদের ডেকে তাদের কাছে জিজ্ঞেস করে করে পথ চলতে থাকে।

  একসময় ভাঙ্গা এক রাস্তা পেরিয়ে নীরব নীথর পথ দিয়ে গাড়ি চলার সময় গ্রামের দু'চারজন মানুষকে রাস্তার ধার দিয়ে চাদর মুড়িদিয়ে চলতে দেখে ভাস্কর চালককে প্রশ্ন করে, ভাই এই এলাকায় আজকাল ডাকাতি টাকাতি হয় কি না? আমার কিন্তু অন্ধকারের মধ্যে রাস্তার ধারের মানুষগুলো দেখে ভয় হচ্ছে খুব।

এক সময় এই এলাকায় দিনের বেলাতেও মানুষ হাঁটতে ভয় পেতো। এখন আর সেই দিন নেই। দেশে বর্তমান সরকার চুরি ডাকাতি সব বন্ধ করে দিয়েছে। দেশের মানুষ আগের থেকে এটুকু অন্তত শান্তিতে আছে। বলতে বলতে সামনে দেখে কয়েকজন পুলিশের লোক রাস্তায় টহল দিচ্ছে। চালক বলে, আপনার লোকদের কল দিয়ে বলেন, আমরা পঁচিশমাইল বাজারের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছি। আপনার লোক যেন বাজারে এসে দাঁড়ায়।

ভাস্কর বলে ভিন্ন কথা। চালকের কথায় ভাস্কর মনিকে ফোন না দিয়ে বলে, দেশে শুনেছি রাস্তায় এই টহল দেওয়া পুলিশ গুলোই নাকি ডাকাতির সাথে জড়িত বেশি। এই দেশে তো যা শুনি, রক্ষক পুলিশই বড় ভক্ষক এখন।

গাড়ি এসে পঁচিশমাইল বাজারের ঠিক মাঝখানটায় থামে। গ্রামের জন্য এসময় রাত গভীর। গাড়িতে বসেই ভাস্কর ফোন দেয় মনিকে। মনি ফোন কল রিসিভ করলে বলে, আমরা চলে এসেছি, বাজারের ঠিক মাঝখানে আছি এখন।

তোমরা পাশেই দেখো একটা হোটেল খোলা আছে, ওখানে একটু সময় বসো। আমি কয়েক মিনিটের মধ্যেই চলে আসছি।কিছুটা অস্থির হয়ে বলেই মনি ফোন রাখে।

চলবে...

 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন