বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩২ বৈশাখ ১৪৩১ , ৭ জিলকদ ১৪৪৫

দেশ

শ্রীপুরে তীব্র তাপপ্রবাহে শ্রমিক সংকট, ধান কাটতে পারছে না চাষিরা

মহিউদ্দিন আহমেদ, শ্রীপুর (গাজীপুর) ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:০২:০৯

110
  • ছবি : নিউজজি

গাজীপুর: শ্রীপুরে তীব্র তাপ প্রবাহে কারণে শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে পারছে না ধান চাষিরা। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সময় তাপমাত্রা যেন কোনো ভাবেই কমছে না। তবে কোন ভাবেই দেখা নেই বৃষ্টির। সকাল থেকে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। দেশজুড়ে চলা গত কয়েক দিনের তীব্র তাপ প্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শ্রীপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। গরমে দিশাহারা হয়ে পড়েছে মাঠে থাকা কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ।

বিশেষ করে এ সময় চরম বিপাকে পড়েছেন এ উপজেলার ইরি-বোরো ধান চাষিরা। তীব্র গরমে মাঠে ধান কাটার শ্রমিক সংকট, আর শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাদের বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। এদিকে ক্ষেতের পর ক্ষেত ধান পেকে গেছে আবার কিছু কাঁচা ধান কেটে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে চাষিরা। তীব্র তাপ প্রবাহের পর যদি বৃষ্টি শুরু হয় খেতে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এই উপজেলায় ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ১১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশ জমির ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, গরমের কারণে ভোর থেকেই ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু করেছে অনেক চাষি। তবে দুপুর ১২টার পর তীব্র গরমে মাঠে কাজ করতে পারছে না কৃষকরা। কিছু সময় কাজ করলেই হাঁপিয়ে উঠছেন। ঘামে পরনের কাপড় ভিজে একাকার। কাজের মাঝে বারবার বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। এতে কাজের গতি কমে যাচ্ছে। গরমের কারণে ধান কাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। আর শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাদের পারিশ্রমিক বেশি দিতে হচ্ছে। এদিকে ভারী বৃষ্টিপাত হলে ইরি-বোরো ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। তাই তীব্র গরমকে সাথে নিয়েই ধান কাটছেন কৃষকরা।

উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বদনী ভাংগা গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই নিজে নিজেই ধান কাটছি। ভারী বৃষ্টিপাত হলেও ধান তলিয়ে যেতে পারে এ জন্য কিছু কাচা থাকলে কেটে ঘরে তুলতে হবে।

গরমে শ্রমজীবী মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা হয় উপজেলার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের ডা. নজরুল ইসলাম সাথে। তিনি বলেন, গরমে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এ জন্য প্রত্যেককে অবশ্যই সঙ্গ পানি রাখা উচিত। গরমে শরীরে যাতে পানির ঘাটতি দেখা না দেয় এজন্য পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, বৃষ্টিহীন পরিবেশ থাকলে কৃষকের ধান কাটা থেকে শুরু করে পরবর্তী ধাপে যেতে সহজ হয়। এজন্য এই পরিবেশকে কৃষক ইতিবাচক ভাবেই নেয়। কিন্তু তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে কৃষকদের দুপুরের সময়ে মাঠে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

 

নিউজজি/এসএম

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন