বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ , ৮ জিলকদ ১৪৪৫

দেশ

মেম্বারকে টাকা দিয়েও ঘর না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভোক্তভোগীরা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:৫২:৩৭

90
  • ছবি : সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ: একটু মাথাগুজার ঠাঁই খুঁজতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গৃহহীন আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর পাওয়ার স্বপ্ন বুনে ছিলেন মুক্তা রানী সরকার, সালমা আক্তার, সাথী আক্তার, নয়ন মনিসহ বেশ কয়েকজন অসহায় নিম্ন মধ্যবিত্ত নারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

তাদের সেই স্বপ্ন পূরনে গোগনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের দাবি মোতাবেক প্রত্যেকেই তার হাতে দেড় লাখ টাকা করে তুলে দিয়েছিলেন। কেউ বা নিজের শখের গহনা বিক্রি করে, কেউ বা আত্মীয় স্বজন থেকে ধার নিয়ে, কেউ বা উচ্চ সুদে সমিতি থেকে ঋণ দিয়ে জাহাঙ্গির আলমের হাতে টাকা তুলে দিয়ে ছিলেন। সে সময় জাহাঙ্গির আলম তাদেরকে ঘর দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে ছিলেন। অন্যথায় তাদের টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে ছিলেন। কিন্তু প্রায় ২ বছর পাড় হয়ে গেলেও তাদেরকে ঘর দেয়া হয়নি। এমনকি তাদের কাছ থেকে নেয়া টাকাও ফেরত দেয়া হয়নি।

তাই ন্যায় বিচারের দাবিতে সেই সকল অসহায় পরিবার গুলো নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দপ্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি তারা।

ভোক্তভোগী মুক্তা রানী সরকারের অভিযোগ আমরা ইউএনও এর কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ দেয়ার পর উনি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ছিলেন। কিন্তু কেউ কোন প্রকার তদন্তে যায়নি। পরবর্তীতে আমরা আবারো ইউএনও এর কাছে গেলে ওনি আমাদের কাছে জানতে চেয়ে ছিলেন আমরা যে টাকা দিয়ে ছিলাম তার কোন প্রমান আছে কি না। প্রমান থাকার কথা জানালে ওনি আমাদেরকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

ভোক্তভোগী আরো একজন অভিযোগ করে বলেন, শুরুতে আমরা ৯ জন ভোক্তভোগী ইউএনও এর কাছে অভিযোগ দিয়ে ছিলাম। আজকে আমরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মাত্র ৫ জন আসতে পেরেছি। বাকি ৪ জনকে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে আসতে বাধা দেয়া হয়েছে। আমরা জাহাঙ্গির আলমকে টাকা দিয়ে এখন প্রতারিত হয়ে দিশেহারা। ঘর না পেয়ে তার কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি আমাদের বলেছেন টাকা চেয়ারম্যানের কাছে রয়েছে তিনি ফেরত দিলে তোমাদের টাকা দিবো।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বারান্দায় সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য দেয়ার সময় তাদের চোখে মুখে আতঙ্ক লক্ষ্য করা গেছে।

ভোক্তভোগীরা বলেন, এমনিতেই আমার টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছি। টাকা ফেরত পাচ্ছি না। আবার বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এখন এসব ঘটনার খবর প্রকাশিত হলে ওনারা কোন ক্ষতি করবে কি না সেই আতঙ্কে আছি।

এ বিষয়ে গোগনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গির আলম এর সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

উল্লেখ্য, ঘর দেয়ার নাম করে জাহাঙ্গির আলম ভোক্তভোগীদের কাছে থেকে টাকা নেওয়ার সময় তাদের দুজনের মধ্যকার টাকা লেনদেনের কথোপকথোনের একটি অডিও রেকর্ড সংবাদচর্চার পত্রিকার এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

 

নিউজজি/এসএম

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন