শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ , ৯ জিলকদ ১৪৪৫

দেশ

রাজশাহীতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

রাজশাহী প্রতিনিধি ২ মে, ২০২৪, ১৩:০৬:৫৭

89
  • রাজশাহীতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

রাজশাহী: রাজশাহী মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে শ্রমিকদের চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে বাস টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।

সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন বলে সাংবাদিকদের জানান ইউনিয়নের সভাপতি হামিদুল আলম সাজু। এর প্রতিবাদে বুধবার (০১ মে) বেলা ১১ টায় রাজশাহী বাস টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।

এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাজশাহী বাস টার্মিনালের সামনে প্রধান সড়ক বাস ও বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। যানবাহন চলাচলে দেয়া হয় বাধা। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে বেলা বারোটার দিকে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ উঠিয়ে নেন।

রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হামিদুল আলম সাজু অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান, রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন। তার কাছে শ্রমিকদের পাওনা ৪ কোটি টাকার বেশি। তাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকদের অর্থ ফেরত না দেয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ তারা আজকের এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।

তারা টাকা ফেরত না পেলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিবেন। তবে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব চৌধুরী বলেন, আমি কোন অন্যায় করিনি কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি। যা আয় সেটি নিয়ম মতো শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

এর আগেও শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০২২ সালে সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনের সাবেক কোষাধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম জনি। তিনি বলেন, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বিভিন্ন নেতাকে শ্রমিকেরা নির্বাচিত করেছেন তাদের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়নের জন্য। কিন্তু হাজার হাজার শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করে জীবন ও জীবিকা নিয়ে খেলায় মেতেছেন ইউনিয়নের নেতারা। সংগঠনের আয় হলেও জমার খাতায় কারচুপি।

প্রতিদিন রাজশাহীর মিনিবাস থেকে আঞ্চলিক কমিটির নামে প্রায় ২০০ গাড়ি থেকে ২০ টাকা করে নেয়া হয়। ঢাকার লোকাল গাড়ি থেকে ৩১০ টাকা করে তোলা হয়। কিন্তু খাতায় জমা হয় মাত্র ১০০ টাকা। ঢাকা কোচ থেকে প্রতিদিন হাজার টাকা আদায় করা হলেও জমার খাতায় নেই। রাজশাহীর বাইরে বগুড়া ও রংপুর অঞ্চলের গাড়িপ্রতি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা তোলা হলেও জমা হয় না। ১০১ জন শ্রমিকের নামে ৩০ টাকা করে তোলা হয়। জমার খাতায় যোগ হয় মাত্র ২০ টাকা করে।

নিউজজি/নাসি

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন