রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ , ৪ জিলকদ ১৪৪৫

শিল্প-সংস্কৃতি

গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীরকে শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা

নিউজজি প্রতিবেদক ২৪ জুলাই, ২০২১, ১৩:০৮:৩৮

306
  • গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীরকে শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা

ঢাকা: সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ (শনিবার) বেলা ১২টার সময় তার মরদেহ নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। ফকির আলমগীরকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন তার স্বজন, সহকর্মী, ভক্তসহ সাধারণ মানুষ। 

ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব জানান, বাবাকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আনা হয়েছে। তার আগে বেলা ১১টার দিকে খিলগাঁওয়ের পল্লীমা সংসদে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়। সেখানেই প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দ্বিতীয় জানাজা হবে খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া মাটির জামে মসজিদে। সবশেষ বাদ জোহর তালতলা কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।

এর আগে গতকাল রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে মারা যান ফকির আলমগীর। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফকির আলমগীর। ১৮ জুলাই চিকিৎসকেরা তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেয়। জানা গেছে, ১৪ জুলাই ফকির আলমগীরের করোনাভাইরাস পজিটিভ ফল আসে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ষাটের দশক থেকে তিনি বাংলা গান করছেন।বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি তার গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। ৬৯ এর গণ অভ্যুথান, ৭১ এ শব্দসৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রেও ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, অস্ত্র হাতে শত্রুর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে ও ৯০ এর সামরিক শাসন বিরোধী গণআন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন তার গান দিয়ে। 

স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন ৭১ বছর বয়সী এই শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এর মধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনও মানুষের মুখে।

কয়েকদিন ধরে ফকির আলমগীর জ্বর ও খুসখুসে কাশিতে ভুগছিলেন। পরে তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন, তিনি করোনা পজিটিভ। সেদিনই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর তাকে গ্রিন  রোডের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন পড়লে সেখান থেকে তাকে গুলশানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। যে কারণে জটিলতা বাড়তে থাকে। হাসপাতালে ভর্তির পর দুই ব্যাগ প্লাজমা দেওয়া হয়। কিছুটা ভালোও হয়। 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন