মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ , ৬ জিলকদ ১৪৪৫

বিদেশ

তাপদাহে বিপর্যস্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

নিউজজি ডেস্ক ২৮ এপ্রিল , ২০২৪, ২০:২৪:৩৩

63
  • তাপদাহে বিপর্যস্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

ঢাকা: শুধু বাংলাদেশই নয়, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে লাখো মানুষ এখন উত্তপ্ত তাপমাত্রার মুখোমুখি। ভারত, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডে তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভারতের ওডিশায় তাপমাত্রা উঠেছে ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। অস্বাভাবিক গরম আবহাওয়ার কারণে অনেক দেশ স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। 

এপ্রিল ও মে মাস সাধারণত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য উষ্ণতম মাস। তবে চলতি বছরে তাপমাত্রা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এই তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচনের ভোট। শুক্রবার দেশটিতে দ্বিতীয় দফার ভোট দিতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েন ভোটাররা। 

পূর্ব ভারতে তাপমাত্রা ধারবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় একাধিক রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। এরইমধ্যে উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব রাজ্যগুলিতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে।

ওড়িশার বারিপদাতে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস না থাকলেও আগামীতে সেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি হবে । বিহার, পূর্ব মধ্য প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং পন্ডিচেরির একাধিক অঞ্চল-সহ পূর্ব উত্তর প্রদেশের বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। 

ফিলিপাইন বইছে তীব্র তাপদাহ। সারাদেশে হাজারো স্কুল বন্ধ রাখতে হয়েছে। দেশটির ৮২ প্রদেশের অর্ধেকজুড়েই খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া অন্য এলাকাগুলোতেও পানি শুকিয়ে গেছে। এই পরস্থিতিতে দেশটিতে এবার ফসল উৎপাদন কমারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলাসহ দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে হাজারো স্কুল বন্ধ রাখতে হয়েছে। দেশটির ৮২ প্রদেশের অর্ধেকজুড়েই খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া অন্য এলাকাগুলোতেও পানি শুকিয়ে গেছে। দেশটিতে এবার ফসল উৎপাদন কম হবে।

থাইল্যান্ডের এ বছর এখনপর্যন্ত হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ৩০ জন মারা গেছে। এ সময় তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে লোকজনকে বাড়ির বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক করা হয়েছে। শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। ফলেণ দেশটিতে বিদ্যুতের চাহিদার নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। 

থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে লোকজনকে বাড়ির বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক করা হয়েছে। দেশটিতে বিদ্যুতের চাহিদার নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। রাজধানী ব্যাংককে গত বুধবার তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। এতে শিক্ষা ও কৃষি খাতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনোর কারণে মানবসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতা অস্থায়ীভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পৃথিবীর নানা প্রান্তে তৈরি হতে পারে খাদ্য, পানি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ঝুঁকি। জাতিসংঘও বলছে, আবহাওয়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশগুলোকে প্রস্তুত করতে বড় ধরনের সহায়তার প্রয়োজন পড়বে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনো এমন এক প্রাকৃতিক ঘটনা, যা প্রতি দুই থেকে সাত বছর পর ঘটে। এল নিনোর কারণে মানবসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতা অস্থায়ীভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পৃথিবীর নানা প্রান্তে তৈরি হতে পারে খাদ্য, পানি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ঝুঁকি।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন