শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ , ১০ জিলকদ ১৪৪৫

বিদেশ

নিয়ান্ডারথাল নারীর মুখাবয়ব পুনর্গঠন

নিউজজি ডেস্ক ৪ মে , ২০২৪, ১৩:৩১:৩৭

34
  • ছবি : ইন্টারনেট

ঢাকা: যুক্তরাজ্যের প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল ৭৫ হাজার বছর আগের এক নিয়ান্ডারথাল নারীর খুলি থেকে তাঁর মুখাবয়ব পুনর্গঠন করেছেন। গত বৃহস্পতিবার সেই মুখাবয়বের ছবি প্রকাশ করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়ান্ডারথাল এ নারীর নাম দেয়া হয়েছে শানিদার জেড। যে গুহা থেকে খুলিটি উদ্ধার হয়েছে, সেটির নামানুসারে এ নামকরণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে ইরাকের কুর্দিস্তানের শানিদার গুহা থেকে তাঁর খুলি উদ্ধার হয়।

বিবিসি জানায়, মাথার খুলির ছিন্নভিন্ন অংশ একত্রিত করে মুখাবয়বটি পুনর্গঠন করা হয়। খুলির হাড়গুলো অত্যন্ত নরম ছিল। ধারণা করা হয়, শানিদার জেডের খুলিটি এই শতাব্দীতে নিয়ান্ডারথালদের পাওয়া দেহাবশেষগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুরক্ষিত অবস্থায় ছিল। তবে তাঁর খুলিটি দুই সেন্টিমিটার চ্যাপটা হয়ে গেছে। মৃত্যুর পরপরই একটি পাথরের আঘাতে এমন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

হাড়গুলো একত্রিত করার আগে, গবেষকদের প্রথমে সেগুলোকে শক্ত করতে হয়। এর পরে, বিশেষজ্ঞরা একটি ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করেন। ১৯৬০ সালে শানিদার জেডের কঙ্কালের নিচের অংশ উদ্ধার হয়েছিল। মার্কিন প্রত্নতাত্ত্বিক রালফ সোলেসকি এটি খুঁজে পান। গুহা খনন করে তিনি তখন নিয়ান্ডারথালদের কমপক্ষে ১০টি দেহাবশেষ খুঁজে পেয়েছিলেন।

দেহাবশেষগুলো খুঁজে পাওয়ার প্রায় পাঁচ দশক পর কেমব্রিজ ও লিভারপুল জন মুরস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে যাওয়ার অনুমতি পায়। 

শানিদার গুহা খননের কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কেমব্রিজের ম্যাকডোনাল্ড ইনস্টিটিউট ফর আর্কিওলজিক্যাল রিসার্চের অধ্যাপক গ্রায়েমে বার্কার। এএফপিকে তিনি জানান, তাঁর দল ওই গুহায় আরও নিয়ান্ডারথালের দেহাবশেষ পাবে বলে ধারণা করেনি।

শানিদার জেডের দেহাবশেষটি হলো ওই গুহার মধ্যভাগের পাথরের পেছনের সমাধিতে শনাক্ত হওয়া পঞ্চম দেহাবশেষ। প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, নিয়ান্ডারথালরা পাথরটিকে চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করত, যেন আর কেউ মারা গেলে তারা সেখানে নিয়ে আসতে এবং সমাহিত করতে পারে।

জন মুরস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস হান্ট বলেন, মৃতদেহগুলোকে একই জায়গায় জড়ো করে রাখা, একইভাবে একই দিকে মুখ করিয়ে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় এটি তাদের ঐতিহ্য।

শানিদার জেডের কঙ্কাল এবং আশপাশের ভাঙা অংশগুলোকে উদ্ধার করার আগে আঠার মতো এক ধরনের উপকরণ দিয়ে শক্ত করে তোলা হয়েছিল। পরে এগুলোকে জোড়া দেয়া হয়। এ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিও অ্যানথ্রোপোলজিস্ট এমা পোমেরয়।

তিনি বলেন, কাজটি খুব সাবধানে করতে হয়েছে। নিয়ান্ডারথালরা হলো আধুনিক মানুষের প্রাচীন নিকটাত্মীয়। পৃথিবী থেকে নিয়ান্ডারথালদের অস্তিত্ব পুরোপুরি হারিয়ে গেছে ৪০ হাজার বছর আগে।

নিউজজি/এস দত্ত

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন