মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ , ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

দেশ

গরমে হাসপাতালে বাড়ছে রোগী

নিউজজি ডেস্ক ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ২৩:৫১:১১

79
  • গরমে হাসপাতালে বাড়ছে রোগী

ঢাকা: তীব্র গরমে রাজধানীর শিশু হাসপাতাল ও মহাখালী কলেরা হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সর্দি, জ্বর-কাশি শ্বাসকষ্ট টাইফয়েড ও ডায়রিয়ার লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে আসছে শিশু ও বৃদ্ধরা। গরম বাড়লে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে, তাই গরমের এই সময়ে শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা। 

মহাখালী আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে তীব্র গরমের এই সময় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে রোজ চারশ থেকে পাঁচশ রোগী আসছেন। এপ্রিল ও মে'র গরমের সময় পানিবাহিত রোগের সংক্রমণ বেড়ে যায়। সেই লক্ষণই এখন শুরু হয়েছে। রোগীদের বেশিরভাগই ১২ মাসের নীচের, আর আছেন ষাট বছরের বেশী বয়সী রোগী। 

রোগীদের ভীড় বেড়েছে শিশু হাসপাতালেও। সর্দি, জ্বর-কাশি শ্বাসকষ্ট আর খিঁচুনি নিয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগীরা। অতিরিক্ত গরমে টাইফয়েড, পানিবাহিত হেপাটাইটিস বা জন্ডিসের প্রবণতাও বাড়ছে। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে শিশুদের শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়ে পানি শূন্যতা তৈরী হচ্ছে। এই অবস্থায় হিট স্ট্রোকের শঙ্কাও দেখা দেয়। 

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা: জাহাঙ্গীর হোসেন জানান শিশুদের শরীরে তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিকশিত না থাকায় অধিক তাপ প্রবাহে তাদের নানা সমস্যা দেখা দেয়। তীব্র রোদে রাস্তার খোলা খাবার, পানি, শরবত ও কেটে রাখা ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ দূষিত খাবার থেকেই জন্ডিস, টাইফয়েড আর হেপাটাইটিসের মতো রোগ ছড়ায়। 

আইসিডিডিআরবির গবেষক ডা: সাইদা হক পরামর্শ দিলেন রোদে বেশীক্ষণ না থাকার। আর বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করার। এসময় সাথে স্যালাইনের শরবত রাখার পরামর্শ দেন তিনি। 

প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে দেশ। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান পরামর্শ দিয়ে বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে।

অপরদিকে, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ধান রক্ষার জন্য ধানের শীষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই ৫-৭ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখুন। এ সময় জমিতে যেন পানির ঘাটতি না হয়। এদিকে, তীব্র গরমে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকেই গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন